শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকুম, শীতের জন্য পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করা এবং এই মৌসুমে অসুস্থতার সংখ্যা কমানোর একটি নিশ্চিত উপায়। শীতে অনেকেই সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, জ্বরে আক্রান্ত হন।

শীতে-আমাদের-কোন-ধরনের-খাবার-খাওয়া-উচিত

আবার শীতের শুষ্ক বৈরী আবহাওয়ায় ত্বকে নানান ধরনের রোগ দেখা দেয়। তাই ‘শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত’ এই শিরোনামের উপর আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো, ইনশাল্লাহ।

পেজ সূচিপত্রঃ শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?

শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?

প্রতি বছর আমাদের দেশে ঋতুর পরিবর্তন- প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আর এর ফলশ্রুতি  হিসেবে প্রতি বছর শীত ঋতুর আগমন ঘটে থাকে আমাদের দেশে। তাই শীতে দেহকে উষ্ণ রাখার জন্য কিছু বিশেষ পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়।

আপনি কি জানেন যে, শীতকাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার জন্য সেরা ঋতু? এই সময়ে, মানুষ নিজেকে বেশি বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করে। তাছাড়া শীতের সময় ফ্লু, ঠাণ্ডা, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ শরীরকে সহজেই কাবু করে ফেলতে পারে। তাই শীতে সুস্থ থাকতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সকালের নাস্তা না খেলে কি হয় - বিস্তারিত জানুন

আশ্চর্যজনকভাবে, শীতে দেহের হজম প্রক্রিয়া আরও ভাল কাজ করে এবং খাবারগুলি আরও ভালভাবে হজম হয়। এটি দেহকে আরও পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে।  বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের শরীরের সচলতা অনেকাংশেই নির্ভর করে যথাযথ জ্বালানী সরবরাহের উপর। ঠিক ঠিক জ্বালানি দিতে না পারলে দেহের ভিতর শীতটাও বেশি চেপে বসবে। 

শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখতে পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকাও আছে। শীত উপভোগ করতে, দেহ গরম করতে এবং দেহ সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় রাখা চাই পুষ্টিকর খাবার। তাই শীতে দেহের সুস্থতায় আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এবং শীত তাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের কথা আলোচনা করা যাক।

শীতে শিশুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার জেনে নিন

শিশুদের জন্য শীতের সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারসমূহ-
  • মূল শাক-সবজি এবং শীতকালীন শাক-সবজি।
  • গাজর, বিটরুট, পালং শাক, মেথি (মেথি), এবং সরষে (সরিষার শাক)- এতে  ভিটামিন এবং ফাইবারে ভরপুর।
শীতে-শিশুদের-কিছু-গুরুত্বপূর্ণ-খাবার
  • স্যুপ, পরোটা বা মিশ্র সবজির তরকারি।
  • বিভিন্ন ধরণের বাদাম, বীজ এবং শুকনো ফল।
  • খেজুর, ডুমুর এবং তিলের লাড্ডু একটি সাধারণ শীতকালীন খাবার যা শরীরকে চর্বি এবং উষ্ণতা প্রদান করে থাকে।

শীতে দেহকে উষ্ণ রাখতে নানান খাবারসমূহ

শীতে দেহকে উষ্ণ রাখার জন্য চাই বিশেষ কিছু পুষ্টিকর খাবার। চলুন জেনে নেই, কোন কোন খাবার- শীতে আপনার দেহকে গরম বা উষ্ণতা দিতে সাহায্য করবে।

শীতে-দেহকে-উষ্ণ-রাখতে-নানান-খাবারসমূহ

বাদাম: শীতে দেহকে উষ্ণ রাখার জন্য বাদাম হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী খাবার। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- পেস্তাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা দেহের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বা তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া বাদামে রয়েছে অধিক মাত্রার কেলোরি। তাই অতিরিক্ত বাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি হওয়া সম্ভবনা থাকে। এজন্য কাঁচা বাদামের পরিবর্তে আমরা রোস্ট করে খেতে পারি।

মধু ও আদা দিয়ে চা: মধু ও আদা দেহের তাপমাত্রা উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি একটি ডায়াফরোটিক খাবার যা দেহকে উষ্ণ রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। এমনকি সর্দি-কাশির মতো রোগ প্রতিরোধ করতে বা নিরাময় করতে মধু ও আদার জুড়ি নেই। তাই আমরা শীতে দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচাতে চা পাতার সঙ্গে আদা মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে তাতে মধু যোগ করে পান করতে পারি।

ঘি: শীতে প্রতিদিনের খাবারে অল্প পরিমাণ ঘি আমরা রাখতে পারি। কারণ, ঘি হচ্ছে একটি স্নেহ বা চর্বি জাতীয়সুষমা খাদ্য। এতে থাকা ফ্যাটি এসিড গুলো দেহের তাপ ও শক্তি সরবরাহ করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়ও ঘি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ দুধ, মধু ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম-বিস্তারিত জানুন

তাছাড়া বিভিন্ন সবজি, ডাল, বার্লি ও প্রোটিন যোগ করে স্যুপ বানালে তা পেট ভরতে সাহায্য করবে আবার পুষ্টিও দেবে। শীতে মসলাদার খাবার খেতে পারেন। কিছু মসলা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে, যেমন আদা, জিরা, দারুচিনি, গোলমরিচ, তিল ইত্যাদি।

শীতে গাজর, মুলা, শালগম ও বিটের মতো মাটির নিচে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়। মৌসুমি সবজি হিসেবে ঘরে ঘরে এদের কদরও রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এই সবজিগুলো শীতের দিনে দেহে তাপ ও শক্তি জোগাতে সাহায্য করে থাকে।

শীতে দেহকে সুস্থ রাখতে বিবিধ খাবারসমূহ

শীতের কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই বুঝে শুনে অথবা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে খাবার গ্রহণ করা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই নিচে কিছু শীতের খাবার নিয়ে আলোচনা করা যাক-

ডিম: ডিম হচ্ছে একটি আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার। শীতে ভালো প্রোটিন খেতে হয়।  শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখতে পারেন। শুধু শীত নয়, সারা বছরই ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। তাছাড়া ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-বি১২, ভিটামিন-ই এবং আরো রয়েছে ফসফরাস, জিংক ও মিনারেল।

তৈলাক্ত মাছ: শীতে বিভিন্ন ধরণের তৈলাক্ত মাছ খাওয়া যেতে পারে।  তৈলাক্ত মাছ, যেমন-স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন এর মধ্যে ওমেগা-৩ তেল থাকে, যা পুরো দেহের জন্য এক নম্বর প্রদাহ বিরোধী। এগুলিতে সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন-ইও রয়েছে - যা গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী। এগুলি কেবল শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে না, বরং সুস্থ মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও অপরিহার্য।

টক জাতীয় ফল:  শীতে বেশি করে টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। এসব ফল দেহের ফাইবারের ঘাটতি এবং ভিটামিন-সি এর অভাব পূরণ করে থাকে। যেমন বরই, পেয়ারা, কমলা, জলপাই, চালতা ইত্যাদি। বিশেষ করে বরই ও পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অনেকাংশে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।

মাশরুম: শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে মাশরুম খুব উপকারী একটি খাবার। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। মাশরুম সবজি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন যা দেহের পুষ্টির যোগান দেবে। তাই শীতের খাবার হিসেবে মাশরুম আপনার খাবারতালিকায় রাখতে পারেন।

নানান শাক-সবজি: ছোটবেলার থেকেই দেখে আসছি শীতের খাবার মানেই বিভিন্ন ধরনের সবজির তরকারি, সালাত, বাজি আর নানা ধরণের শাক। তাই শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিন সবুজ পাতার শাক-সবজি রাখুন আপনার খাদ্য তালিকায়। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, এ ছাড়া আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও পলিস্যাকারাইড নামের শর্করা। বিশেষ করে অল্প সিদ্ধ শাক-সবজিতে পরিপূর্ণ পুষ্টি পাওয়া সম্ভবনা থাকে বেশি। সবুজ সবজির মধ্যে রয়েছে- পালংশাক, শিম, মটরশুঁটি, বাধাঁকপি, পুঁইশাক, পাটশাক, সরিষা শাক ইত্যাদি।

ব্রোকলি: ব্রোকলি ফাইবার সমৃদ্ধ এই সুপার সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম এবং ফোলেটের সাথে দেহের পুষ্টি বৃদ্ধি সাধন করে।

বেরি: শীতে বেরি হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। যেমন- স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং রাস্পবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ভিটামিন-সি, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন-কে১ সমৃদ্ধ। নাস্তা হিসেবে বেরি খেতে পারেন অথবা সকালের নাস্তায় দই এবং ওটমিলের সাথেও খেতে পারেন।

মূল জাতীয় সবজি: শীতে মূল জাতীয় সবজি আমাদের দেহের ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মূল জাতীয় সবজি যেমন-শালগম, গাজর, বিট ইত্যাদি।

রসুন: রসুন দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে। এটি হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ফ্লু ও ঠান্ডা, জ্বরে উপকারী বলে ধারণা করা হয়। রসুনে বিদ্যমান অ্যালিসিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করে। তাই শীতের সময় রসুন খান। তাছাড়া রসুন আচার হিসেবেও খেতে পারেন।

আদা: শীতে আদার খাওয়ার গুরুত্ব অনেক।  ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা মতে, আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সাপোর্ট করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গোটা আদা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। তরকারিতে বা চায়ে গোটা আদা ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী।

আরো পড়ুনঃ দৈনিক লবঙ্গ খাওয়ার নানাবিধ উপকারিতা - বিস্তারিত আলোচনা

স্যুপ: শীতে আপনার দেহ গরম রাখার পাশাপাশি হাইড্রেট রাখাও জরুরি। স্যুপ হতে পারে এই দুটোরই সমাধান। এ সময় টমেটো, গাজরের মতো তাজা-রঙিন সবজি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্যুপ। এতে প্রচুর ভিটামিনও পাবেন। এ ছাড়া ডাল, বার্লি ও মুরগি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন।

ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেটের প্রধান উপাদান হচ্ছে- কোকো, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং আপনার খাদ্যতালিকায় একটি দুর্দান্ত সংযোজন। ৭০% এর বেশি কোকোযুক্ত চকলেট খান এবং এর মিল্ক চকলেটের তুলনায় কম চিনির পরিমাণ থাকলে আপনি সর্বাধিক স্বাস্থ্য উপকার পাবেন। তাই শীতে আপনি ডার্ক চকলেটও খেতে পারেন।

এছাড়া শীতে আরো যেসব খাওয়া উচিত- মিষ্টি আলু, আপেল, গুড়, শুকনা ফল, গ্রীন টি ইত্যাদি।

আর শীতে আমাদের দেহের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে- পানি। কারণ, শীতের শুরু ও শেষের সময়ে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে আমাদের পানি পান করা কমে যায়। তবে শীত যতই বৃদ্ধি পাক না কেন আমাদের পানি পান করা যেন কমে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।  যারা ঠাণ্ডা পানি খেতে পারেন না তারা হালকা কুসুম গরমপানি খেতে পারেন।

প্রশ্ন ও উত্তরঃ শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?

১. প্রশ্ন:
শীতে আমাদের কোন কোন খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো?

উত্তর:
ঠান্ডা বা ফ্রীজের পানীয়, অতিরিক্ত মিষ্টি এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।

২. প্রশ্ন:
শীতে কীভাবে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি নিশ্চিত করা যাবে?

উত্তর:
সকালের সূর্যালোক (১৫-২০ মিনিট) এবং ভিটামিন-ডি, সংরক্ষিত খাবার স্বাস্থ্যকর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৩. প্রশ্ন:
শীতের রাতে খাবার কি হওয়া উচিৎ?

উত্তর:
স্টু, মরিচ, ভাজা মাংস এবং শাক-সবজি, ক্রিমি স্যুপ এবং ক্যাসেরোল, এবং গরম রুটি। এই খাবার গুলো সূক্ষ্ম মশলা সমৃদ্ধ স্বাদ এবং ভরাট উপাদানের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রচুর উষ্ণতা এবং স্বাদ প্রদান করে।

উপসংহারঃ শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?

‘শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত’  উপরে উল্লেখিত এই শিরোনামের আর্টিকেলটি আলোচনা করে আমরা জানতে পারলাম যে, শীতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের    খাবার অবশ্যেই রাখা প্রয়োজন। তবে বিভিন্ন ধরনের ফল-মূল, শাক-সবজি ও অন্যান্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শীতে নিয়মিত শরীরচর্চা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, শীতের সময় দেহের সুস্থার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় এবং যত্ন নিতে হয়। সর্বোপুরি, যে কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আমাদেরকে একজন চিকিৎসকের বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url