শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা - বিস্তারিত আলোচনা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, প্রিয় পাঠক-  আসসালামু আলাইকুম,  আমাদের দেশে ঋতু পরিবর্তনের পরিক্রমায় গরমের পরে শীতের আবির্ভাব প্রতি বছর স্বাভাবিক ঘটনা। আর এই শীতের সময় শিশুদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ঠান্ডাজনিত সমস্যা একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দেখা দেয়।

শীতে-শিশুর-ঠান্ডাজনিত-সমস্যা-বিস্তারিত-আলোচনা

এসব সমস্যার মধ্যে সাধারণত যেগুলো প্রায় দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে নিউমোনিয়া, হাঁপানি বা এজমা, ডায়রিয়া, ত্বক শুষ্কতা ও ত্বকে রেশ, সাধারণ ঠান্ডা যেমন- সর্দি, কাশি, ভাইরাল জ্বর বা Flu ইত্যাদি। আজকে আমরা উক্ত আর্টিকেলে শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যার প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব, ইনশাল্লাহ।

পেজ সূচিপত্রঃ শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা - বিস্তারিত আলোচনা

শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা - বিস্তারিত আলোচনা

আমাদের এই বাংলাদেশে শীতে শিশুদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা একটি কমন সমস্যা। শীত এলে বড়দেরই ঠান্ডা সারতে চায় না। আর শিশুদেরতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয় এই মৌসুমে। খুব সাবধানে সচেতন থেকে ওদের যত্ন নিশ্চিত করতে হবে। একবার ঠান্ডা লেগে বুকে কফ বসে গেলে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

আমরা দেখেছি, সাধারণ সর্দি-কাশি ও ভাইরাল জ্বর বা Flu-এর সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা দেয় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই কয়েক মাসে। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের বছরে অন্তত নয়বার এ রকম ঠান্ডা, সর্দি-কাশি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত সমস্যা এবং তেমন কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সাত থেকে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে এই সময় শিশুদের নিউমোনিয়া, হঠাৎ বেড়ে যাওয়া হাঁপানি ইত্যাদিরও প্রকোপ যাবে বেড়ে।

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাদের মতে, নবজাতক শিশুর ঠান্ডা লাগার জন্য ২০০ টি ভাইরাস দায়ী, এর মধ্যে যেকোনো একটি দ্বারা সংক্রমিত হলেই শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা লাগার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে রাইনো ভাইরাস। সাধারণ ঠান্ডা নাক এবং গলাকে সংক্রমণিত করে থাকে।

আজকে আমরা শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যার বিভিন্ন প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

শিশুর ঠান্ডা লাগলে বোঝার উপায়

শীতকালে শিশুর ঠান্ডা লাগলে সাধারণত আমরা কিছু লক্ষণ দেখতে পাই।

শিশুর-ঠান্ডা-লাগলে-বোঝার-উপায়

এর মধ্যে প্রধান কিছু লক্ষণ হচ্ছে, নাক দিয়ে পানি পড়া, সর্দি-কাশি, হাঁচি, গলা ব্যাথা বা অস্বস্তি, ক্লান্তি অনুভব করা, খাবারের প্রতি অনীহা. খিটখিটে ভাব, গায়ে জ্বর আসা ইত্যাদি

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে

আবার কিছু কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসাকে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যেমন:

  • যদি ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট অথবা ৩৮.৩ সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি জ্বর থাকে বিশেষ করে তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে যে কোন জ্বর।
  • শিশুর ঠোঁট জ্বিবা বা ত্বক কালচে বা বিবর্ণ দেখা দিলে।
  • যদি শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হয়।
  • শ্বাস নেওয়ার সময় যদি বুকের খাঁচার নিচের অংশ ভিতরের দিকে ঢুকে যেতে থাকে।
  • যদি শিশু একেবারে খেতে বা কোন কিছু পান করতে না পারে।
  • যদি সর্দি বা কাশি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে বা অবনতি ঘটে।

শিশুর ঠান্ডা-জ্বর হলে যা জানা জরুরী ও করণীয়

মানবদেহের জ্বর একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া যা জীবাণুর  বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সাধারণত বেশিরভাগ ঠান্ডা লাগা জ্বর ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে এবং প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে এই সাধারণ ঠান্ডা জ্বর ভালো হয়ে যায়।

শিশুর-ঠান্ডা-জ্বর-হলে-যা-জানা-জরুরী-ও-করণীয়

জ্বর আসলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার বা পানীয় নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। বিশেষ করে জ্বর বা বমি হলে পানির শূন্যতা রোধ করতে।

জ্বর আসলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল বা আইবো প্রফেন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শিশুর ওজন ও বয়স অনুসারে সঠিক ডোজ দেওয়া।

শীতে শিশুর ঠান্ডা-জ্বর হলে করণীয়-

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব শিশু রোগীর সুস্থতায় বাড়িতে বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। এজন্য-

  • শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নিতে দিন।
  • প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার দিন। দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ঘন ঘন মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত।
  • শিশুর অস্বস্তি বা জ্বর বেশি হলে (১০০°F বা তার বেশি), চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন দিন।
  • ঠান্ডা খাবার বা রিফ্রিজারেটরের খাবারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
  • ফুল স্পিডে ফ্যান ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
  • নির্দিষ্ট সময় পরপর দেহের তাপ কমাতে কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দেয়া উচিত।
  • ঘাম মুছে দেয়া
  • কয়েল ও সিগারেটের ধোয়া থেকে দূর রাখা উচিত।
  • বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা খুবই জরুরী।
  • দীর্ঘ সময় নিয়ে গোসল না করানো।
  • শিশুকে হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরান। অতিরিক্ত কাপড় বা কম্বল জড়াবেন না।

শিশুর ঠান্ডা-কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

শিশুর ঠান্ডা-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বা কফ সিরাপ খাওয়ানো উচিত নয়। 

  • ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের কফ সিরাপ একেবারেই দেওয়া উচিত নয়, কারণ এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। আবার কিছু নির্দেশিকায় ৪ বছর পর্যন্তও কফ সিরাপ না দেওয়ার কথা বলা হয়।
  • বিভিন্ন কারণে শিশুদের কাশি হতে পারে, তবে এগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে Flu বা ঠান্ডা লাগা। গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা এবং গলা ও শ্বাসনালি ফুলে যাওয়ায় সৃষ্ট অস্বস্তির কারণে কাশি হয়ে থাকে।
  • শিশুদের ঠান্ডা লাগার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাক ও চোখ থেকে পানি পড়ে। প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়। এমনকি কখনো কখনো সর্দির কারণে জ্বরও আসতে পারে।
  • Flu-এর সংক্রমণ হলে সাধারণ ঠান্ডা-কাশির মতোই লক্ষণ দেখা দেয়। এ অবস্থায় শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়ে। কখনো কখনো জ্বর এমনকি ডায়রিয়া বা বমিও হতে পারে। Flu-এর কারণে কাশি সাধারণত শুষ্ক হয়ে থাকে।

শীতে শিশুর ঠান্ডা-কাশি হলে যে সমস্ত পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে:

  • বুকের দুধসহ স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যাওয়া।
  • শিশুকে গরম রাখার জন্য পর্যাপ্ত কাপড় পরিধান করানো।
  • হালকা গরম শস্যের তেল বা অলিভ-ওয়েল দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করা।
  • ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ানো।
  • শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
  • প্রচুর পরিমাণে কুসুম গরম তরল খাবার খাওয়ানো যেতে পারে যেমন কুসুম গরম পানি  এবং তরল খাবার দিতে হবে। এতে করে শিশু রিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পেতে পারে এবং গলার শ্লেমা পাতলা করতে সাহায্য করবে।
  • নাকে গরম পানির ভাফ দেওয়া যেতে পারে এতে বুকে জমে থাকা কফ কমতে সাহায্য করবে।
  • মধু খাওয়ানো যেতে পারে যদি শিশুর বয়স এক বছরের বেশি হয়। এই মধু কাশি কমাতে, গলা ব্যথা প্রশমিতা করতে সাহায্য করবে

বিশেষ ক্ষেত্রে বা জরুরী ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। যেমন:

  • শিশুর ঠান্ডা-কাশি এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে।
  • কাশির সাথে রক্ত আসলে।
  • জ্বর বেশি বা জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে।
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বা খুব দ্রুত শ্বাস নিলে।
  • শিশু যদি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

শিশুর ঠান্ডায় বমি হলে করণীয়

  • বমি হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল বেরিয়ে যায় তাই আপনার শিশুকে সে সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল বা পানীয় খাবার দিতে হবে। যেমন খাবার স্যালাইন ঘন ঘন খাওয়াতে হবে এছাড়া পানি, ডাবের পানি দেওয়া যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, ফলের জুস, কোমল পানীয়, কফি এবং চিনিযুক্ত চা এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো ডায়রিয়া বা ডিহাইড্রেশন বাড়াতে পারে।
  • শিশুর বমি বন্ধ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে হালকা ও সহজে  হজম হয় এমন খাবার দিতে হবে যেমন নরম রুটি, কলা, যাও ভাত ইত্যাদি। তবে একবার বেশি না দিয়ে অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পর পর খাওয়ান।
  • এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে দিন।
  • যদি শিশু অনবরত বমি করে, তবে বমি যেন শ্বাসনালিতে না যায়, তার জন্য শিশুকে বাম কাত করে অথবা উপুড় করে শোয়াবেন। বমি পরিষ্কার করার পর সোজা করে শোয়ানো যায়।

বিশেষ ক্ষেত্রে বা জরুরী ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।যেমন:

  • যদি বমি অনবরত চলতে থাকে এবং শিশু কোনো তরলই ধরে রাখতে না পারে।
  • যদি জলশূন্যতার গুরুতর লক্ষণ দেখা যায় (যেমন: শুকনো ঠোঁট, খুবই কম বা গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব, অতিরিক্ত দুর্বলতা, চোখ কোটরগত হওয়া)।
  • যদি বমির সাথে রক্ত বা সবুজ/হলুদ পিত্ত (bile) আসে।
  • যদি বমির সাথে তীব্র পেট ব্যথা, জ্বর বা অন্যান্য গুরুতর উপসর্গ থাকে।
  • যদি শিশু ৬ মাসের কম বয়সী হয়।

শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১. নবজাতকের কি ঠান্ডা লাগতে পারে?

উত্তর: সাধারণত ঠান্ডা ছোট বড় বা নবজাতক সবারই হয়ে থাকে। নবজাতকের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে তাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এ ব্যাপারটা অতি সাধারণ তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন ২. নবজাতকের নিউমোনিয়ার লক্ষণ কী কী?

উত্তর: নবজাতকের নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, দ্রুত বা কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস, কাশি (কফ সহ বা ছাড়া), এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। এছাড়াও বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্টের কারণে কান্না বা কথা বলতে অসুবিধা, এবং প্রতিটি শ্বাসের সাথে শব্দ করাও দেখা যায়।

তাছাড়া অন্যান্য কিছু লক্ষণও দেখা যায় যেমন:

মাথা ব্যাথা, বুক ব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, শ্বাসকষ্টের কারণে কথা বলতে সমস্যা।

প্রশ্ন ৩. শীতকালে শিশুর ঠান্ডা লাগে কেন?

উত্তর: স্বাভাবিকভাবে শীতকালে মানুষের শরীরের তাপমাত্রার তুলনায় আশে পাশের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকে । অর্থাৎ বাইরের তাপমাত্রা কম থাকায় মানুষের শরীর থেকে তাপ শোষণ করে যার ফলস্বরূপ, মানুষের শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং তাই, শীতকালে আমরা ঠান্ডা অনুভব করি।

প্রশ্ন ৪. শিশুদের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা ভাইরাস কোনটি?

উত্তর: শিশুদের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা ভাইরাস হলো রাইনোভাইরাস। বেশিরভাগ রাইনোভাইরাস সংক্রমণের কোনও লক্ষণ থাকে না বা কম ক্ষেত্রে দেখা যায়। এগুলি গুরুতর অসুস্থতার কারণও হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হাঁপানি বা অন্য কোনও অন্তর্নিহিত চিকিৎসা অবস্থা থাকে।

আরো পড়ুনঃ শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয় - বিস্তাারিত আলোচনা

পোস্ট উপসংহারঃ শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা - বিস্তারিত আলোচনা

উপরের উল্লেখিত আলোচনার সার-কথা হিসেবে আমরা বলতে পারি, শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা - আপাতত দৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও এটি আমাদের জন্য খুবই চিন্তা বা  উদ্বিগ্নের বিষয়। যেটা প্রতিটি বাবা-মাকে দুশ্চিন্তায় রাখে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত। বিশেষ করে মাকে প্রচুর কষ্ট সহ্য করতে হয়। তাই শিশুর যেকোনো শারীরিক সমস্যায় বা অসুখে যথাসম্ভব ঘরোয়া উপায়ে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা অন্যথায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক। কারণ, আমরা সবাই চাই আমাদের শিশুরা যেন নিরোগ, সুস্থ-সবল হয়ে বেড়ে ওঠুক।

বিশেষকথা: এই পোস্টে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান এবং তথ্যের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, এবং এটি চিকিৎসা পরামর্শ নয়। যেকোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্বেগের জন্য বা আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সর্বদা একজন যোগ্যতাসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url