দুধ, মধু ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম-বিস্তারিত জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক-

মানবদেহের সুস্থতা ও শক্তি ধরে রাখতে আমাদেরকে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের খাবার গ্রহণ করতে হয়। এর মধ্যে কিছু প্রাকৃতিক খাবার আছে যেমন-দুধ, মধু ও খেজুর একসঙ্গে খেলে শরীরে-যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তা দূর হয়, এনার্জি বোস্ট করে খুব তাড়াতাড়ি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হাড় মজবুত করে, শারীরিক ক্লান্তি দূর করে।

দুধ-মধু-ও-খেজুর-খাওয়ার-নিয়ম-বিস্তারিত-জানুন

আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে দুধ, মধু ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দুধ, মধু ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম-বিস্তারিত জানুন।

দুধ, মধু ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম-বিস্তারিত জানুন

আমরা যে সমস্ত প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে থাকি সেসবের মধ্যে গাভীর দুধ, মধু ও খেজুর আমাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া কালোজিরাও এক বিশাল ভূমিকা রাখে- যাকে বলা হয় সর্বরোগের মহা ঔষধ। দুধ, মধু ও খেজুর একসঙ্গে খেলে শরীরে-যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তা দূর হয়, এনার্জি বোস্ট করে খুব তাড়াতাড়ি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হাড় মজবুত করে, শারীরিক ক্লান্তি দূর করে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে

দুধ, মধু ও খেজুর খেলেই যে আমাদের শরীরে ভালো কাজ করবে তা ভাবা কিন্তু মোটেও উচিৎ নয়। এই খাবার গুলো খাওয়ার জন্য সঠিক কিছু নিয়ম আছে যা সমস্ত শরীরকে পর্যাপ্ত উপকারী উপাদান প্রদান করে থাকে।

দুধ, মধু ও খেজুর আমরা যেভাবে খাবো- রাতের বেলা দুধের সাথে ২-৩টি খেজুর ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে তার সাথে এক চা চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে খেলে সর্বোচ্চ ফল পাওয়া যেতে পারে। মিশ্রণটি-এভাবে খেলে শরীরে যেসমস্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে তা নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক-

  • দুধ, মধু ও খেজুরের মিশ্রণটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে।
  • খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা এবং দুধে পোটিন থাকায় এই দুই উপাদান একসঙ্গে পান করলে আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি বোস্ট করবে।
  • দুধে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকায় দেহের হাড় ও দাঁত শক্ত করবে।
  • খেজুরে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকায় দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হ্রাস করতে  এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
  • আমরা যদি রাতে খেজুর ও দুধ খেয়ে ধুমাই তাহলে হজম শক্তি ভালো হয়। ফলে ভালো ঘুম হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।

দুধ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা বিস্তারিত জানুন

নবজাত শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ, দুধ সকলের জন্যই উপকারী কারণ এটি একটি সুষম খাবার- যদি দুধে এলার্জি না থাকে অথবা দুধ খেলে গ্যাস হয়। দুধ কোন সময় খাচ্ছেন এবং কতটুকু খাচ্ছেন তা জানা জরুরি। যেমন-

আমাদের অনেকেই দুধ সকালে খেয়ে ফেলেন-ফলে গলা-বুক জ্বালা শুরু হয়। কারো গ্যাস থাকলে তারা সকালে দুধ না খাওয়াই ভাল। বরং খেতে হবে রাতে। সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ খেলেই উপকার বেশি পাওয়া যাবে। দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে  দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ত্বক উজ্জ্বল হয়, হাড় মজবুত হয়, হজমশক্তি ভালো থাকে।

দুধ-খাওয়ার-নিয়ম-ও-উপকারিতা

শিশুদের জন্য আবার দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালবেলা। তবে রাতে ঘুমোনোর আগে দুধ খেলে ঘুমের সমস্যা যেমন দূর হয়, তেমনই শরীর অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে।

ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটটামিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ দুধ তখনই শরীরের উপকারে লাগবে যখন তা সঠিক সময়ে ও যথাযথ পরিমাণে খাওয়া হবে। বিশেজ্ঞদের মতে, যদি এক জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী দিনে দেড় থেকে দুই কাপ দুধ আর পুরুষ দিনে ৩-৪ কাপ দুধ খান, তা হলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তো হবেই না, বরং নানাবিধ শারীরিক সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।

আবার শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিমাপ আলাদা হতে পারে। ১বছর থেকে ২ বছরের শিশু দিনে ২-৩ কাপ দুধ খেতে পারে। ২ থেকে ৫ বছরের শিশু দিনে দুই থেকে আড়াই কাপের বেশি দুধ খাবে না। ৫ থেকে ৮ বছর বয়সের শিশুরাও দিনে আড়াই কাপের মতো দুধ খেতে পারে।

৯ বছরের উপরে দিনে ৩ কাপের মতো দুধ খাওয়া যেতেই পারে। যদি গরুর দুধে এলার্জি থাকে, তা হলে বিকল্প হিসেবে উদ্ভিদজাত দুধ খাওয়া যেতে পারে যেমন- বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ওট্স, নারকেল ও সয়াবিন থেকে এই দুধ পাওয়া যায়। আমন্ড মিল্ক, কোকোনাট মিল্ক, ওট্ মিল্ক এবং সয়া মিল্ক সবচেয়ে পরিচিত।

প্রাণিজ দুধের বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে এই দুধ। তবে শিশুদের দুধ খাওয়ানোর আগে দেখে নিতে হবে, তারা দুধ হজম করতে পারছে কি না।

আরো পড়ুনঃ চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে ও চিরতা কতদিন খাওয়া যায়

মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও কখন খাওয়া উচিৎ নয়

আমাদের উচিত মধু সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়া- এতে করে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে বিশেষ করে নতুন মধুর চেয়ে পুরাতন মধু বেশি কার্যকরী। প্রাকৃতিক মধু তথা খাঁটি মধুতে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি থাকে যা চর্বি ও প্রোটিন মুক্ত এটি খাওয়ার সাথে সাথে শরীরে এনার্জি এনে দেয়।

মধু-খাওয়ার-সঠিক-নিয়ম-ও-কখন-খাওয়া-উচিৎ-নয়

মধুতে আছে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান: মধু হচ্ছে প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক, মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান বিদ্যমান থাকে। মৌমাছিরা যে মধু সংগ্রহ করে এতে থাকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ গ্লোকোজ, ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ ফ্রোক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মল্টোজ ৷ এছাড়াও প্রায় ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, প্রায় ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং প্রায় ১১ শতাংশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক এনজাইম৷ খাঁটি মধু চর্বি ও প্রোটিনমুক্ত । ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি 

আমাদের উচিৎ নিয়মিত মধু খাওয়া অভ্যাস গড়ে তোলা যার ফল হিসেবে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী হবে অনেকাংশে। নিম্নে কিছু মধু খাওয়ার কিছু নিয়ম আলোচনা করা হলো :

  • আমরা প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে কমপক্ষে ১-২ চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো অথবা সরাসরি খেতে পারলে বেশি ভালো।
  • কুসুম গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
  • চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তবে চিনির পরিবর্তে।
  • সকালের নাস্তায় পাউরুটির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন যা বিভিন্ন জটিল রোগের মহাঔষধ।
  • মধুর সাথে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যায় উপকার হয়।
  • ভিজানো ছোলার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের দুর্বলতা কাটে।
  • সাধারণত ছোট শিশুদের (১ থেকে ১২ মাস বয়সী) যথাসম্ভব মধু খাওয়ানো থেকে বিরত থাকাই ভালো। কারণ তাদের হজমের সমস্যা হতে পারে।
  • আমরা দিনের যেকোন সময়েই মধু খেতে পারি অর্থাৎ যখনই আপনি ক্লান্তি অনুভব করবো তখনই খাওয়া যাবে। এতে শরীরে উপস্থিত শক্তি পাওয়া যাবে।

খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম বিস্তারিত জেনে নেই

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খেজুর পছন্দ করতেন আর আরববাসীদের প্রধান খাবারের মধ্যে-খেজুর ছিল অন্যতম।

খেজুর-খাওয়ার-নিয়ম-বিস্তারিত-জানুন

প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে খেজুর হচ্ছে একটি পুষ্টিকর ফল ও অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার। এতে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা, ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থ। খেজুর থেকে এসমস্ত উপাদান পেতে হলে সঠিক নিয়মে খেতে হবে। নিম্নে আমরা কিছু খেজুর খাওয়ার নিয়ম আলোচনা করবো-

  • সাধারণভাবে প্রতিদিন ৩-৪টা খেজুর খেলে আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবার এর পরিমাণ বেশি হলে ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে।
  • সকাল অথবা বিকালে শরীর চর্চার পর খেজুর খাওয়া যেতে পারে এতে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং শক্তির মাত্রা ঠিক রাখে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, খেজুরে ‍সুগার বেশি থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। আবার গর্ভবতী নারীদের পরিমিত খেজুর খাওয়া উপকারী। তবে খেজুর খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • খেজুর কুচি কুচি করে কেটে সালাদের সাথে যোগ করে খাওয়া যায়।
  • খেজুর বাদাম এবং বীজের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় যা শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বির যোগান দেয়।
  • খেজুর দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে কাজ করে।

পুরুষদের জন্য খেজুর এত গুরুত্বপূর্ণ কেন

খেজুর শুধুমাত্র একটি সুস্বাদু ফলই নয় বরং এটি নানা গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক খাবার যা আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত ‍উপকারী। এটি আমরা সারা বছর খেতে পারি বিশেষ করে আমরা যারা পুরুষ তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার যা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর পছন্দের খাবারের তালিকায় প্রথম সারির খাবার।

সারা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির খেজুর রয়েছে। এর মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতি তাদের স্বাদ, পুষ্টিগুণ এবং গুণগত মানের জন্য বেশি বিখ্যাত। যেমন: আজওয়া, মজনুন, মরিয়ম সক্কারি, খুদবি, দেগলেত, নূর, সাফাওয়ি ইত্যাদি খেজুর।

পুরুষের খেজুর খাওয়ার গুরুত্ব:

খেজুর আদি কাল থেকেই প্রাকৃতিক যৌনশক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে আসছে। খেজুরে থাকা এমাইনো এসিড এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে করতে সাহায্য করে থাকে। দুধে ভিজিয়ে রেখে খেজুর খেলে যৌন সমস্যা দূর হয়। রাতে ভিজিয়ে রাখা খেজুরের সাথে ১ গ্লাস পানি অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে: নিয়মিত খেজুর খেলে কাজের প্রতি আগ্র বাড়ে এবং ক্লান্তি দূরীভূত করে। খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা, যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রকক্টোজ এবং সুক্রোজ থাকে, যা শরীরে এমার্জেনসি শক্তি যোগায়।

হজমশক্তি ভালো রাখে: নিয়মিত খেজুর খেলে পেটের হজমশক্তি ভালো রাখে। বদহজম কম হয়। এবং কুষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

হার্ট ভালো রাখে: খেজুর খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। কারণ এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

ইমিউন সিস্টেমকে উন্নতি করে: খেজুর পুরুষের দেহকে তথা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলে। কারণ এতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

সর্বোপুরি পুরুষের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে খেজুর।

পাঠকের কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ

১. প্রশ্ন: দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার কি উপকারী?

উত্তর: আমাদের শরীরের জন্য অবশ্যই দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া অত্যন্ত ‍উপকারী । কারণ, এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হাড় মজবুত করে, হজম শক্তি ভালো থাকেএবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে।

২. প্রশ্ন: সকালে খালি পেটে দুধ খেলে কি হয়?

উত্তর: আমাদের খালি পেটে দুধ খেলে গ্যাস বা এসিডিটি বা বমি বমি ভাব হতে পারে। তবে যারা এই সমস্যা হয় না তারা নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।

৩. প্রশ্ন: কখন দুধ খাওয়া ভালো-খাবারের আগে না পরে?

উত্তর: সাধারণত যেকোন সময় দুধ খাওয়া যেতে পারে কারণ, সে সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট ‍সুপারিশ নেই।

৪. প্রশ্ন: দুধের সাথে খেজুর খেলে কি হবে?

উত্তর: দুধ আর খেজুর উভয় খাবারই আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর, শক্তিবর্ধক এবং দেহের ক্লান্তি দূরীভূত করে থাকে।

৫. প্রশ্ন: মধু মিশ্রিত দুধ খেলে কি হয়?

উত্তর: দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক উজ্জ্বল করে, ঘুম ভালো হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রশমিত হয়।

৬. প্রশ্ন: মধু খেলে কি মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: হ্যাঁ , মায়েরা পানির সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে এটি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

পোস্টে শেষ মন্তব্যঃ দুধ, মধু ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম

উপরের সকল আলোচনা সাপেক্ষে বলা যায় যে- অর্গানিক বা প্রাকৃতিক খাদ্য- দুধ, মধু ও খেজুর খেলেই যে আমাদের শরীরে ভালো কাজ করবে তা ভাবা কিন্তু মোটেও উচিৎ নয়। এই খাবার গুলো খাওয়ার জন্য সঠিক কিছু নিয়ম আছে- যা সমস্ত শরীরকে পর্যাপ্ত উপকারী উপাদান প্রদান করে থাকে। আমরা চেষ্টা করবো উক্ত খাদ্য গুলো সঠিকভাবে খাওয়ার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url