বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা- বিস্তারিত আলোচনা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকমু, বাদাম সারাবিশ্বে খুবই পরিচিত সুস্বাদু, উচ্চপুষ্টিগুণ সমৃ্দ্ধ ও মুখরোচক একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার তুলনা হওনা। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, নোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং খনিজ। তাছাড়া কাঁচা বাদামে রয়েছে, ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান।

বাদামের-পুষ্টিগুণ-ও-উপকারিতা--বিস্তারিত-আলোচনা

বাদামের পুষ্টিগুণ হাড় গঠনে, মাংসপেশি মজবুত রাখতে, ব্রেইনের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে, ক্যানসার প্রতিরোধ ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে ‘বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা ’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো, ইনশা-আল্লাহ্।

পেজ সূচিপত্রঃ বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা- বিস্তারিত আলোচনা

বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা- বিস্তারিত আলোচনা

বাদাম এমন একটি খাবার যা ছোট-বড় সকলেই খেতে পছন্দ করে। কারণ, এটি একটি মুখরোচক, মজাদার, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর উপকারী খাবার। আমরা সাধারণত বাদাম কাঁচা ও ফ্রাই বা রান্না করেও খেয়ে থাকি। তবে রান্না করে খাওয়াতে স্বাদের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ দৈনিক পুষ্টিকর খাবার কি হওয়া উচিত - বিস্তারিত জানুন

পুষ্টিগুণ ও উপকারিতায় বাদামের কোন জুড়ি নেই। বিভিন্ন রকমের বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, নোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং খনিজ। তাছাড়া কাঁচা বাদামে রয়েছে, ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান।

পুষ্টিগুণ-ও-উপকারিতায়-বাদামের-কোন-জুড়ি-নেই

বাদামে থাকা ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন দেহের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে থাকে। তবে বিভিন্ন খাবারের মতো বাদাম খাওয়ারও কিছু নিয়ম নীতি আছে। নিয়ম করে বাদাম খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার এর বিপরীতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায় খাওয়ার তারতম্যের কারণে।

ইসলামী ব্যাংক হসপিটাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারের পুষ্টিবিদ তাসরিয়ার রহমান বলেন,

বাদামে আছে প্রচুর মনো ও পলি অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাটস, প্রোটিন ও ডায়েটারি ফাইবার যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। প্রধানত ভিটামিন-ই, ভিটামিন-বি-কমপ্লেক্স এবং আরও কিছু মিনারেলস যেমন- ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ, কপার, সেলেনিয়াম আছে বাদামে।

তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তি দিনে ৩০ গ্রাম বাদাম খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন - আমাদের যা যা করণীয়

স্বাস্থ্যরক্ষায় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ বিভিন্ন বাদামসমূহ

আমরা সাধারণত চার প্রকারের বাদাম খেয়ে থাকি। যেগুলোতে রয়েছে আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ। যেমন- চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম ও কাজু বাদাম। এছাড়াও আখরোটসহ  বাজারে আরো অনেক রকমের বাদাম পাওয়া যায়।

চিনা বাদাম: এটি শরীরের অনেক উপকার করতে সক্ষম। এটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং খেতেও বেশ মজা। চিনা বাদামের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন- বাদামের অসাধারণ কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ বি-৩ আছে যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। । তাছাড়া, এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একমুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে।

প্রতি আউন্স চিনা বাদাম রয়েছে- ১৬১ ক্যালোরি, ৪.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭.১ গ্রাম প্রোটিন, ১৩.৬ গ্রাম ফ্যাট।

কাঠ বাদাম: কাঠ বাদাম হলো প্রকৃতির অমূল্য উপহার, যার পুষ্টিগুণ- স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এক অসাধারণ খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

কাঠ-বাদাম-হলো-প্রকৃতির-অমূল্য-উপহার

দৈনিক সকালে ৪–৫টি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে শরীরে পাবেন প্রাকৃতিক শক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ড থেকে শুরু করে হাড় পর্যন্ত সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা। আবার দুধ, শরবত, সালাদ অথবা বিভিন্ন রকম রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন বাদাম।

আরো পড়ুনঃ সকালের নাস্তা না খেলে কি হয় - বিস্তারিত জানুন

প্রতি আউন্স কাঠ বাদামে রয়েছে- ১৬১ ক্যালোরি , ৫.৯ গ্রাম প্রোটিন, ১৩.৮ গ্রাম ফ্যাট।

পেস্তা বাদাম: পেস্তা বাদাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। এতে রয়েছে, প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। এটি হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে, হজম শক্তি উন্নত করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

প্রতি আউন্স পেস্তা বাদামে রয়েছে- ১৫৯ ক্যালোরি, ৭.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫.৭ গ্রাম প্রোটিন, ২.৯ গ্রাম ফাইবার, ১২.৪৯ গ্রাম ফ্যাট, ভিটামিন বি ৬- ২৪% আরডিআই।

কাজু বাদাম: কাজু বাদামও একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। এটি রক্তকে শুদ্ধ করে। নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে রোগমুক্ত থাকা সম্ভব। এতে থাকা ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট দেহের বিভিন্ন উপকার করে থাকে।

কাজু-বাদাম-একটি-অত্যন্ত-পুষ্টিকর-এবং-সুস্বাদু-খাবার

যেমন-

  • দেহের ক্লান্তি দূর করে।
  • পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়।
  • হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
  • ব্রেন শক্তিশালী করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে্
  • হজম শক্তিশালী কর্।
  • মন ভালো রাখে।

প্রতি আউন্স কাজু বাদামে রয়েছে ১৫৭ ক্যালোরি, ৮.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫.১ গ্রাম প্রোটিন, ০.৯ গ্রাম ফাইবার, ১২.৩ গ্রাম ফ্যাট।

আরো পড়ুনঃ দুধ, মধু ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম-বিস্তারিত জানুন  

হার্টের স্বাস্থ্যরক্ষায় বাদাম

যান্ত্রিক অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, অত্যাধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ ইত্যাদি সব কিছুই হৃদরোগের সমস্যার প্রধান কারণ। তাছাড়া আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, বিভিন্ন রকমের প্রক্রিয়াজাত অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- সুস্বাদু ফাস্ট ফুড, বাইরের তেল-চর্বি খাবার, প্রসেস করা খাবার ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের হৃদরোগের বা হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে।

হৃদরোগ বা হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে বাদাম হতে পারে একটি ভালো খাবার বা উপায়। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ফাইবার, ভিটামিন-ই হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এবং হৃদপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

নিয়মিত সকালের নাস্তায় অল্প পরিমাণে বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। বিশেষ করে আমন্ড, আখরোট, কাজুবাদাম, পেস্তা ও চিনাবাদাম প্রাকৃতিকভাবে হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী উপাদানে ভরপুর।

বাদাম গুড়া খেলে কি হয়

বাদাম গুঁড়া একটি গুরুত্বপূর্ণি পুষ্টিকর খাবার। এই গুড়া খেলে বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য উপকারিতা আমরা দেখতে পাই, যেমন - হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।

তাছাড়া বাদাম গুড়া, কাশি এবং হাঁপানি উপশম করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়, ফুসফুস ভালো রাখে, বিভিন্ন ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে, দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

এটি স্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ফাইবার, ভিটামিন-ই, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-১৭ যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।

তবে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তাররা দেন না।

কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেলে আমাদের দেহে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান প্রবেশ করে। কাঁচা বাদাম পিষে তা থেকে দুধ বের করে নিয়ে খেতে পারেন। না হলে সরাসরি কাঁচা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা চিবিয়েও খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ যেমন- প্রোটিন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন-ই, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিংকের উৎস।

কাঁচা বাদামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। যেমন-

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
  • পেশীর গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
  • দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে
  • ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ করে এবং
  • চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজ করে থাকে।

সুস্বাস্থ্যরক্ষায় প্রতিদিন কয়টা কাজু বাদাম খাওয়া উচিত

আমাদের দেহের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাতটি কাজুবাদাম খাওয়া উচিত এবং নিরাপদ।

এতে আমরা কাজুবাদাম থেকে যে সমস্ত উপকার পেয়ে থাকি তা নিম্নরূপ:

  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  • হৃদ্‌যন্ত্র বা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
  •  হাড় ও দাঁতের শক্তি বাড়ায়
  • ত্বক ও চুলের জন্য ভালো কাজ করে
  • যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে ভালো কাজ করে 
  • দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
  • কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
  • মুখগহ্বরের রোগ প্রতিরোধ করে
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

বাদাম খাওয়ার ঝুঁকি বা অপকারিতা

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বাদাম মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী খাবার। নিয়মিত বাদাম খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যায় তেমনি অতিরিক্ত বা অনিয়ম করে খেলে এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বা দেহের স্বাস্থ্যরক্ষায় ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

বাদামে বেশিমাত্রায় ক্যালোরি  থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তবে বাদাম আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আবার অতিরিক্ত পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট স্ট্রোব, হার্ট অ্যাটাক, হজমে সমস্যা,  ধমনি বন্ধের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এছাড়া অতিরিক্ত বাদাম খাওয়াতে আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। যেমন-

  • এলার্জির সমস্যা
  • শ্বাসকষ্ট বা নাক বন্ধ হওয়া
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
  • উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা
  • দেহে প্রদাহ সৃষ্টি করে
  • দেহের ওজন বৃদ্ধি করে
  • মিনারেল শোষণে বাধা দেয়।

প্রশ্ন ও উত্তরঃ বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা- বিস্তারিত আলোচনা

১. প্রশ্ন:
বাদাম খেলে কি পেট ভরে?
উত্তর:
সকালে বাদাম খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

২. প্রশ্ন:
পুরুষদের জন্য বাদাম খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যকর ?

উত্তর:
বিভিন্ন জাতের বাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, খনিজ এ সমস্ত কিছু পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি এবং পেশী শক্ত রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৩. প্রশ্ন:
বাদাম খেলে কি দেহের চর্বি বাড়ে?

উত্তর:
প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে চর্বি বাড়ে না বরং দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে তারাই তারা রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ফাইবার।

৪. প্রশ্ন:
কাঁচা বাদাম খেলে কি গ্যাস্টিক হয়?

উত্তর:
না, কাঁচা বাদাম খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না তবে যাদের দেহ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার প্রক্রিয়াজাতকরণে অভ্যস্ত না তাদের ডায়রিয়া এবং পেট ফাঁপা হতে পারে।

পোস্টের শেষ-কথাঃ বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা- বিস্তারিত আলোচনা

পরিশেষে, ‘বাদামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা- বিস্তারিত আলোচনা’ এই শিরোনামের আর্টিকেলটি আলোচনা করে আমরা বলতে পারি যে, বিভিন্ন জাতের বাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর যা আমাদের দেহের স্বাস্থ্যরক্ষায় বা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাধিক উপকারী। তবে প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি বেশীমাত্রায় বা অপরিমিত পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন জাতের বাদাম রাখুন। সর্বোপুরি, যে কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় একজন চিকিৎসকের বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url