সকালের নাস্তা না খেলে কি হয় - বিস্তারিত জানুন
পেজ সূচিপত্রঃ সকালের নাস্তা না খেলে কি হয় - বিস্তারিত জানুন
- সকালের নাস্তা না খেলে কি হয়
- সকালের নাস্তা দেরিতে খেলে কি হয় - জেনে নিন
- সকালের নাস্তা না করলে কি আলসার হয়
- স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত
- সকালে না খেলে কি ওজন কমে?
- সকালে খালি পেটে কি খেলে গ্যাস হবে না
- আমরা কি জানি - সকালে ভাত খেলে কি হয়?
- সকালে কি ধরনের নাস্তা খেলে ওজন কমে
- নাস্তায় চিয়া সিড খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে
- নবীজি (সা.) সকালের নাস্তায় কী কী খাবার খেতেন
- কিছু প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
- পোস্টের শেষ কথাঃ সকালের নাস্তা না খেলে কি হয়
সকালের নাস্তা না খেলে কি হয়
আমরা বাঙালি আমাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ছিল ঘুম থেকে উঠে সকাল সকাল নাস্তা খেয়ে কাজে বের হয়ে যাওয়া। তবে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে এই স্মার্ট যুগে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতের বেলা অনেকটা সময় মোবাইলে পার করে দেই।
ফলস্বরূপ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা দেরি হয়ে যায় আর নাস্তা করতে করতে দুপুরের খাবারের সময় চলে আসে। অনেক সময় দেখা যায় সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার একসাথে হয়ে যায়।
অনেকেই আছেন যারা একটু স্বাস্থ্যবান তারা স্বাস্থ্য কন্ট্রোল করতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা ওজন কমাতে সকালের নাস্তা বাদ দেন বা অবহেলা করে খান না। তারা মনে করেন নাস্তা কম করলে বা না খেলে ওজন কমবে বা নিয়ন্ত্রণ থাকবে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।তাই একদিনের জন্যও নাশতা বাদ দেওয়া অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা ও অসুখে ভুগতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ বিস্তারিত জানুন
সকালের নাস্তা দেরিতে খেলে কি হয় - জেনে নিন
আমরা অনেকেই আছি যারা সকালে নাস্তা করতে পছন্দ করি না। আবার অনেক বাচ্চারা আছে সকালে খেতেই চায় না। যারা স্কুলে পড়ালেখা করে দেখা যায় তারা সকালে নাস্তা না করেই স্কুলে চলে যায়। এটা মোটেই ভালো লক্ষণ না স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। সকলের নাস্তা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী বিষয়।
সকালের খাবার দেরিতে খেলে যে সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে-
- প্রথমত গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেয়
- প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয়
- রক্তে ইনসুলিন- এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
- রাগ বাড়তে থাকে
- বুদ্ধি কমে যায়
- হজমের ক্ষমতা কমে যায়
- হার্টের ক্ষতি হয়
- স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে
- চুলের ক্ষতি হয়
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি দেখা দেয়।
সকালের নাস্তা না করলে কি আলসার হয়
আমরা বাঙালি স্বাভাবিকভাবেই তিন বেলা আমাদের খেতেই হয় সকালের খাবার দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার। আমরা প্রতিদিন যে খাবার যে সময় খাই সেই সময় পার হয়ে গেলে আমাদের শরীরে এক ধরনের টানটান অনুভূত হয়। এই টান টান অনুভূত হওয়ার কারণ আমাদের শরীর নির্দিষ্ট সময়ে হজমে অভ্যস্ত আর হজমের জন্য পাকস্থলীতে পাচক রস ক্ষরণ হয়।
এই রস সময় মত খাবার না পেলে পাকস্থলীর দেয়ালের ভিতরে ধীরে ধীরে ক্ষয় করতে শুরু করে। এর ফলস্বরূপ পাকস্থলীতে আলসার বা ঘাঁয়ের সৃষ্টি করে। তাই আমাদের উচিত সকালের নাস্তা সময় মত খেয়ে নেওয়া।
স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত
আমরা বাঙালি সারাদিন সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন সকালের খাবার খাওয়া আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস। তবে অনেকেই আছেন সময়ের অভাবে বা ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছা থাকলেও খেতে পারেন না সকালের খাবার। কিন্তু শরীরের সুস্থতা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য নাস্তা অবশ্যই দরকার।
সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা কি হওয়া উচিত চলুন দেখি-
রাতের দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘণ্টা সময় ঘুমের মধ্যে থাকার কারণে ঘুম থেকে জেগে উঠার পর শরীরে এনার্জিসহবিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা বেশি থাকে আর এ সময় সুষম বা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। সকালের কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার :
ডিম, ওমলেট, রুটি, কাঠবাদাম, চিয়া সিড ও বিভিন্ন রকমের ফল।
সকালে না খেলে কি ওজন কমে?
সকালে না খেলে কি ওজন কমে, এ কথাটা একেবারেই ঠিক না বরং উল্টো শরীরের বিভিন্ন রকমের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা আসলে নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের খাবার কিভাবে খাচ্ছেন বা কতটা সুষম খাবার বা পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন তার ওপর।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অন্তত পাকস্থলীকে বা পেটকে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা খালি রাখতে হবে।
আর আমরা সাধারণত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকি। রাতের খাবার যদি আটটা বা নয়টার দিকে খাই তাহলে সকালের নাস্তা অবশ্যই নয়টা - দশটার মধ্যে আমাদেরকে খেতে হবে। এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে অর্থাৎ দুই থেকে তিন ঘণ্টা সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ব্যায়াম করতে হবে। ফলস্বরূপ আমাদের দেহের বাড়তি চর্বি বা মেদ হ্রাস পাবে।
আরো পড়ুনঃ চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে ও চিরতা কতদিন খাওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে গ্যাস হবে না
সাধারণত খালি পেটে কিছু খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তবে কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে একেবারে গ্যাস হওয়া সম্ভব না তাকে বরং শরীরে বিভিন্ন রকমের উপকার পরিলক্ষিত হয়।
প্রকৃতি আমাদেরকে বিশেষ বিশেষ কিছুখাবার উপহার দিয়েছে যেগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিকের বা পেটের গ্যাস হওয়ার সম্ভবনা একেবারেই থাকে না বা গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেগুলো হচ্ছে:- কলা: কলা আমাদের পেটের গ্যাস দূর করার প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে। আমরা কম বেশি সবাই কলা খাই, মূলত সকালের নাস্তার টেবিলে কলা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। তাই যদি কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে প্রতিদিন অন্তত দুইটা করে কলা খেতে পারেন।
- কিসমিস: যাদের পেটে বদহজম আছে তাদের জন্য কিসমিস হচ্ছে একটি মহা ঔষধ। কারণ এটি এসিডিটি কমায় আর অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। তাই প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাতটা কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন।
- এছাড়া পুদিনা পাতা, জিরা পানি ও আধা পানি সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
আমরা কি জানি - সকালে ভাত খেলে কি হয়?
আমাদের মধ্যে অনেকেেই আছেন যারা নিয়মিত সকালে ভাত খান। আবার কেউ কেউ প্রতিদিন কাজে যাবার আগে নিয়ম করে ভাত খান। আসলে সকালের নাস্তায় ভাত খেলে কি শরীরের কোন উপকার হয়, না কোন ক্ষতি হয় সেটাই আজকে জানবো।
সাধারণত আমরা সকালে সাধারণ সাদা চালের ভাত খেয়ে থাকি এতে দেহে যেমন শক্তি পাওয়া যায় না তেমনি পুষ্টির অভাবও পূরণ হয় না।
অন্যদিকে আমরা যদি লাল চালের ভাত অথবা বিভিন্ন রকমের ভর্তা এবং ভাজি দিয়ে যদি পান্তা ভাত খাই তাহলে সারাদিন শরীরে অনেক শক্তি পাবো এবং কাজ করতে উৎসাহ পাবো। এবং হাত - পায়ের ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যাথাও থাকবে না।
সকালে কি ধরনের নাস্তা খেলে ওজন কমে
আমরা যারা স্বাস্থ্যবান অর্থাৎ দেহে প্রচুর পরিমান চর্বি তাদের জন্য শরীরে বাড়তি ওজন দুশ্চিন্তায় ভোগায়। তাই তাদের জন্য এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরের ওজন কমবে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
নিম্নে সকালে যে সকল খাবার খেলে ওজন কমবে তা দেওয়া হলো:
- সিদ্ধ ডিম
- রুটি
- বিভিন্ন রকমের সবজি
- বিভিন্ন ফল যেমন- পেয়ারা, আপেল, কলা প্রভৃতি
এসব খাবার গুলোর মধ্যে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ উপাদান যেমন- ভিটামিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি১২, ফাইবার প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যেটা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ আয়রন ট্যাবলেট খেলেই কি ওজন বাড়ে? জানুন সত্যি না মিথ্যা!
নাস্তায় চিয়া সিড খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে
চিয়া সিড হচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি উপকারী খাবার। সকালের নাস্তায় যদি খাওয়া যায় তাহলে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারীএকটি খাদ্য উপাদান হবে। চিয়া সিডে রয়েছে দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম আর পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন - লোহা, সামুদ্রিক মাছের চেয়েও আট গুণ বেশি ওমেগা থ্রি।
এটাকে সুপার ফুডও বলা হয়ে থাকে। চিয়া সিডে সে সকল উপকারিতা রয়েছে:
- চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
- চিয়া সিড হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- মলাশয় পরিষ্কার রাখতে বা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- যাদের গ্যাস্ট্রিক আছে তারা যদি হালকা কুসুম গরম পানিতে চিয়া সিড মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুই তিন মিনিটের মধ্যেই সমাধান।
- শরীরের টক্সিন দূরীভূত করতে সাহায্য করে
নবীজি (সা.) সকালের নাস্তায় কী কী খাবার খেতেন
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে সমস্ত আমল করেছেন সেগুলো নিয়মিত পালন করাই মানুষের জন্য অনুকরণীয় ও শিক্ষনীয় বিষয়। নবীজির খাওয়া-দাওয়া, হাঁটাচলা, ঘুম সব কিছুর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।
নবীজি (সাঃ) যে সমস্ত খাবার খেতেন তা ছিল সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
তিনি দুধ, মধু, খেজুর, মাশরুম, অলিভ, অয়েল ওয়েল, ভিনেগার, বার্লি, লাউ, ডুমুর, তরমুজ পছন্দ করতেন।
তবে এসব খাবার মধ্যে নবীজি সাতটি খেজুর ও দুধ দিয়ে সকালের নাস্তা করতেন। এ বিষয়ে সাহাবারা নবীজি (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাতটি খেজুর ও দুধ দিয়ে নাস্তা করা মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এরপরে সাহাবিরাও সাতটি খেজুর ও দুধ দিয়ে নাস্তা করতেন।
রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না (বোখারি)।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
উত্তর: আমরা যারা মোটা বা শরীরে মেদ বেশি তারা যদি দ্রুত ওজন কমাতে চাই তাহলে কম ক্যালরিযুক্ত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে অবশ্যই। যেমন: সবুজ শাকসবজি, ফল, চর্বিহীন প্রোটিন অর্থাৎ মাছ-মাংস অথবা বিভিন্ন রকমের বাদাম। এছাড়াও ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। তবে চিনিযুক্ত খাবার ও বিভিন্ন কোমল পানীয় এভয়েট করতে হবে।
২. প্রশ্ন: ৭ দিনে পাতলা হওয়ায় উপায় কি?
উত্তর:
- খাবারে ডায়েট পরিকল্পনা
- নিয়মিত শারীরিক চর্চা অনুশীলন করা
- পানির খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো
- ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো
- সঠিকভাবে খাবার বাছাই করা
- প্রতিদিন আলাদাভাবে অল্প অল্প খাবার খাওয়া
- সতর্কতা পালন করা
উত্তর: দুটো খাবারই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ - তাই দুটি খাবারই খাওয়া ভালো তবে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যার যেটা দরকার সেটা খাওয়াই উচিত।
উত্তর: সকালের নাস্তা সাধারণত ঘুম থেকে ওঠার আধ বা এক ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া ভালো। এতে করে শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাকযন্ত্র সক্রিয় হয় এবং সারাদিনের যথেষ্ট শক্তি পাওয়া সম্ভব।
পোস্টের শেষ কথাঃ সকালের নাস্তা না খেলে কি হয়
পোস্টের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে - সকালের নাস্তা না খেলে কি হয়। শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে, সকালবেলা কারণ এ সময় পাকস্থলী খালি থাকে। আর তখন যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না খাই তাহলে নানামুখী সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে ব্যক্তিগতভাবে সকালের নাস্তা - কার কেমন হবে তা একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। পোস্টটি পড়ে আপনার যদি ভাল লাগে বা উপকৃত হন সেটােই আমার লেখার বা কষ্টের সার্থকতা। ভাল থাকবেন।
গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url