চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকুম, চিনা বাদাম মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর খাবার। এই খাবারটি সহজলভ্য হওয়ায় যে কোন সময় যে কেউ খেতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি।
দৈনিক ১৫-২০টি চিনা বাদাম খেলে ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ নানা রকম মরণব্যাধি থেকে দূরে থাকা যায়। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে, ‘চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়’।
পেজ সূচিপত্রঃ চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
- চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
- মানবদেহে চিনা বাদামের ভূমিকা সম্পর্কে জনুন
- চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়
- খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
- চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জানুন
- ভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- চিনা বাদাম কাঁচা খেলে কি হয় জানুন
- চিনা বাদাম গুড়ো করে খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- চিনা বাদামের অপকারিতা জেনে নিন
- প্রশ্ন ও উত্তরঃ চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
- পোস্টের ইতি-কথাঃ চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে নানান ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার এবং এটিকে কখনো কখনো সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। কারণ, এটি কাঁচা, ভেজে, পানিতে ভিজিয়ে অথবা গুড়ো করে খাওয়া যায়। চিনা বাদাম খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
এতে উচ্চমানের প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন-ই, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি শরীরের শক্তি জোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এক প্রতিবেদনে নিউ-ইয়র্ক ভিত্তিক পুষ্টিবিদ জিয়ান্না মাসি বলেন, “চিনা বাদামে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় মনো-আনস্যাচুরেইটেড এবং পলি-আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটস। যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।”
এগুলো খারাপ কোলেস্টরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
তাছাড়া পুষ্টিবিদ মুডি বলেন, “এক কাপ চিনা বাদাম থেকে দৈনিক চাহিদার ৩০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করা সম্ভব।” যা মানবদেহের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হৃদ সংক্রান্ত কার্যক্রম দৃঢ় করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
এবং হার্ভার্ড নিউট্রিশন রিভিউতে উল্লেখ আছে যে, বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হরমোনের ভারসাম্য রাখতে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। বাদামের ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ই কোষের প্রদাহ কমাতে সহায়ক এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ চোখের এলার্জি দূর করার দোয়া ও প্রতিরোধের ১২টি টিপস
মানবদেহে চিনা বাদামের ভূমিকা সম্পর্কে জনুন
মানবদেহে চিনা বাদামের ভূমিকা বলে শেষ করা যাবে না। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান। যেমন-
- চিনা বাদাম থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ই এবং জিঙ্ক শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে থাকে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবার যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিনাবাদাম খেলে অনেকক্ষণ পেটভরা অনুভূতি দেয়। ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর সার্বিকভাবে ক্যালরি গ্রহণ কম হয়। এবং দেহের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- চিনা বাদামের মনো-স্যাচুরেটেড এবং পলি-স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- প্রোটিন বা আমিষের একটি চমৎকার উৎস হচ্ছে চিনা বাদাম। এটি দেহের পেশী গঠনে সাহায্য করে থাকে।
- মুডি বলেন, “চিনাবাদামে রয়েছে নানান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ কমাতে পারে।”
- ফাইবারের উৎস হচ্ছে চিনা বাদাম যা হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ সম্পর্কে মাসি ব্যাখ্যা করেন, “হজমতন্ত্রের নিয়মিত কার্যক্রম উন্নতি ঘটিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে বাদাম। আর আঁশ অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়োম’য়ে সাহায্য করে। ফলে হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।”
- চিনা বাদাম রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ সম্পর্কে মুডি বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে চিনা বাদাম-সহ অন্যান্য বাদাম খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।” তাছাড়া, রাতে ১০-১৫ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী।
চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়
চিনাবাদাম আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন। চিনাবাদামে থাকা রেজভেরাট্রল ও নিয়াসিন হৃদ্যন্ত্র ও মস্তিষ্কের সুস্থতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সকাল, বিকেল বা যেকোনো সময়ই আপনি এটি খেতে পারেন। গবেষণা বলছে, নিয়মিত বাদাম খাওয়া দীর্ঘমেয়াদে হৃদযন্ত্রকে উপকার দেয়, তবে এর জন্য ধারাবাহিক অভ্যাস প্রয়োজন।
চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়, পরিমাণ ও উদ্দেশ্য বুঝে শোনে খাওয়া উচিত। খালি পেটে খাওয়ার ক্ষেত্রে এক মুঠো বা তার কম পরিমাণ নিরাপদ ধরা হয়, কারণ অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা বা অস্বস্তি বাড়তে পারে।
সকালের নাস্তা হিসেবে বাদামে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাট দেহকে স্থিতিশীল শক্তি দেয় এবং রক্তে শর্করার আকস্মিক ওঠানামা কমায়। তাই সামান্য বাদাম অনেকের জন্য উপকারি হতে পারে। কিন্তু এসিডিটি প্রবণতা থাকলে বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হলে খালি পেটে বাদাম না খেয়ে খাওয়ার পর খাওয়াই উত্তম।
খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়া আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। যেভাবে খেলে উপকার পাওয়া যাবে- সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করার পর খেলে, ভেজানো বাদাম খেলে, বাদাম চিবিয়ে খেলে, পরিমিত পরিমাণে খেলে। নিম্নে এর চিনা বাদামের বিভিন্ন উপকারিতা উল্লেখ করা হলোঃ
- এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে কারণ, এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার বা আঁশ ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে পেট ভরাভরা অনুভূত হয় এবং এর ফলস্বরূপ দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে হজমের গতি ও ক্ষমতা বাড়ে কারণ দেহের পাচনতন্ত্র তখন বেশ সক্রিয় থাকে।
- এতে থাকা ভিটামিন-ই, জিংক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে দেহের সামগ্রিক সুরক্ষা বৃদ্ধি পায়।
- চিনা বাদামে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট , দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে এবং হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
-
এটি বিশেষ করে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে অর্থাৎ ত্বকের
বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
কারণ, চিনা বাদামে রয়েছে, ভিটামিন-ই ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জানুন
লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে- ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-বি এবং ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস চিনাবাদাম। এককথায় বলতে গেলে, পুষ্টির পাওয়ার হাউস চিনাবাদাম।
শুধুমাত্র শুকনো বাদামই উপকারি নয়, ভেজানো চিনা বাদামেরও রয়েছে একাধিক উপকারিতা। প্রতিদিন সকালে ভেজানো চিনাবাদাম খেলে শরীরের কী কী উপকার হতে পারে তা জেনে নেয়া যাক-
- পানিতে ভিজিয়ে রাখলে চিনা বাদামের ফাইটিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায়। ফলে চিনা বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন, জিঙ্কের সঙ্গে বিক্রিয়ায় যে সল্ট তৈরি করে,তা খাদ্যনালীতে দ্রবীভূত হয় না। এই ফাইটিক অ্যাসিড শরীরে পেপসিন, ট্রিপসিন উৎসেচকের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন পরিপাকেও বাধা দেয়।
- যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা জিমে যান, তাদের জন্য প্রতিদিন সকালে ভেজানো চিনা বাদাম খাওয়া অত্যন্ত উপকারি। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা বডি বিল্ডিং-এ সাহায্য করে।
- ভেজানো চিনা বাদাম হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন যদি হার্টের রোগীরা ভেজানো চিনা বাদাম খান তাহলে তাদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির মতো রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
- চিনা বাদামে থাকা আয়রন, ফোলেট, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করতেও সাহায্য করে।
- প্রতিদিন গুড়ের সঙ্গে ভেজানো চিনা বাদাম খেলে ব্যাক পেইনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- ভাজা চিনা বাদামে স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা আপনার হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- এতে থাকা ভিটামিন-ই আপনার ত্বককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ এটি আপনার ত্বককে সতেজ, স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর দেখাতে সাহায্য করে।
- ভাজা চিনা বাদাম পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা ফোলেট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির মতো পুষ্টি উপাদানের কারণে, আপনার মস্তিষ্ককে সমর্থন করতে এবং আপনার মেজাজকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
- আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভাজা চেনা বাদাম অনেক উপকারী একটি পুষ্টিকর খাবার।
চিনা বাদাম কাঁচা খেলে কি হয় জানুন
চিনা বাদাম কাঁচা ও ভাজা দুটোই মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চিনা বাদাম কাঁচা খেলে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যেমন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। এটি খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবৃদ্ধি করে, দেহের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, দেহের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ শীতে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?
চিনা বাদাম গুড়ো করে খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
চিনা বাদাম কাঁচা, ভেজে বা পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায়, তেমনি গুঁড়ো করে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের সাথে মিশিয়ে খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। দৈনিক ৩০-৪০ গ্রাম চিনা বাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে স্মুদি, দই, ওটমিল, সালাদ বা ফলের সাথে খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা বা ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
সকাল বা বিকালের নাস্তায় চীনা বাদামের গুড়ো যোগ করতে পারেন। এভাবে খাওয়াতে আপনার দেহে হৃদরোগ ও রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে, দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, মস্তিষ্ক শক্তিশালী হবে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে, হজমে সহায়তা করবে।
চিনা বাদামের অপকারিতা জেনে নিন
যে কোন খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে
অতিরিক্ত পরিমাণে বা অনিয়ম করে খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকারীই হওয়ার সম্ভাবনা
বেশি থাক। তেমনি চিনা বাদামের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি ভাবে,
হজমের সমস্যা হবে, এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিবে, ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যা
হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে-
নিয়মিত বাদাম খেলে অ্যালার্জির পরিমাণ বাড়তে থাকে। যা একসময় মারাত্মক আকার ধারণ করে। যদিও একেক জনের শরীরে অ্যালার্জির প্রভাব ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। তাই যদি শরীরে অ্যালার্জির কোনো উপসর্গ টের পান, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনি যদি থাইরয়েডে ভুগে থাকেন। তবে বাদাম খাওয়া উচিত নয়। বাদামে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এতে প্রচুর অ্যাফ্লেটক্সিন রয়েছে, যা লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আর্থ্রাইটিসে বা বাতরোগে যারা ভুগছেন; তারা যেকোনো বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে জয়েন্টের ব্যথা বাড়তে পারে।
প্রশ্ন ও উত্তরঃ চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
পোস্টের ইতি-কথাঃ চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
পরিশেষে, ‘চিনা বাদাম খেলে মানবদেহে যেসমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়’ শিরোনামের এই আর্টিকেলটি আলোচনা করে আমরা বলতে পারি যে, চিনা বাদাম নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। চিনা বাদাম কেবল খাদ্য হিসেবে নয়, পিনাট বাটার, তেল এবং নানা ধরনের মিষ্টান্নেও ব্যবহৃত হয়। পুষ্টি উপাদানে ভরপুর বলে স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে চিনা বাদাম একটি দারুণ খাবার। সঠিক উপায়ে বাদাম খেলে তা আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে অতিরিক্ত এবং লবণ দেওয়া বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। [সর্বোপুর, একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে যেকোন খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।]



গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url