প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকুম, ডিম হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক ও সুষম খাদ্য যার মধ্যে পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাবিশ্বে শিশুর মেধা বিকাশে সুপার ফুড হিসেবে কাজ করে ডিম। ডিমের পুষ্টিগুণ শিশুর শুধু মেধাই বিকাশ করে না, চোখেরও শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
ডিমে রয়েছে- প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, তামা, খনিজ পদার্থ, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-ই ও ভিটামিন-বি১২ অন্যতম। তাই আজকে আমরা ‘প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়’ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করার চেষ্টা করবো, ইনশা-আল্লাহ্।
পেজ সূচিপত্রঃ প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়
- প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়
- কোন বয়স থেকে শিশুকে ডিম খাওয়ানো উচিত
- শিশুকে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময়
- ডিম কি শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর
- শিশুকে ডিম খাওয়ার নিয়ম
- শিশুর প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া উচিত
- সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- উপসংহারঃ প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়
প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়
ডিমকে প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের শক্তির উৎসও বলা হয়ে থাকে। যে সমস্ত সুষম খাদ্যে পুষ্টি উপাদানে ভরপুর - ডিম তাদের মধ্যে অন্যতম পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য। এটি শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। গবেষকদের মতে, “অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের দিনে একটি করে ডিম খাওয়ালে তারা দ্রুত লম্বা হয় এবং তাদের মানসিক বৃদ্ধি সাধনে ভুমিকা রাখে।”
আপনার শিশুকে সপ্তাহে অন্তত চার থেকে পাঁচটি ডিম খাওয়ান তবে প্রতিদিন খাওয়ালে
ডিমের হলুদ কুসুম অংশটুকু বাদ দিয়ে খাওয়ান। কারণ, ডিমের হলুদ কুসুম বেশি মাত্রা
খেলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়া সম্ভবনা থাকে। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে খাওয়ানো উচিত। কেননা, সব শিশুর শারীরিক অবস্থা এক নয় যেমন, অনেকের
এলার্জি, হজমের সমস্যা বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বয়স অনুযায়ী আমাদের খাদ্যাভ্যাস কি হওয়া উচিত?
এবং আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার যে, আধা-সিদ্ধ ডিম বা কাঁচা ডিম আপনার শিশুকে
কখনোই খাওয়াবেন না। কারণ, কাঁচা ডিমে সালমোনেলা নামক এক ধরণের
ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা শিশুর দেহের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কোন বয়স থেকে শিশুকে ডিম খাওয়ানো উচিত
ডিম হচ্ছে এমন একটি খাবার যা থেকে সহজেই প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। কোন বয়স থেকে শিশুদের ডিম খাওয়ানো যেতে পারে? এই বিষয়ে পুষ্টিবিদদের মতামত হলো- যে বয়স থেকে শিশু কঠিন খাবার চিবিয়ে খেতে শিখবে, তখন থেকেই শিশুদের ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। অর্থাত্ ছয় মাস বয়স থেকেই শিশকে আপনি ডিম খাওয়াতে পারেন। তবে আগে ডাক্তাররা ২ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের ডিম খাওয়াতে মানা করতেন।
তাছাড়া চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে- যে সব খাবারে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব খাবার শিশুদের তাড়াতাড়ি খাওয়ানো শুরু করা উচিত। কারণ, অ্যালার্জি জাতীয় খাবার শিশুকে যত দেরিতে খাওয়ানো শুরু করা হবে ততই শিশুর অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ডিমসহ অন্যান্য খাবার যেমন- বেগুন, গরুর দুধ, চিংড়ি মাছ এই জাতীয় শিশুকে দেওয়া শুরু করুন।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকসের মতে শিশুকেকে নির্দিষ্ট একটি সময় যেকোনও একটি নতুন খাবারের সঙ্গে ভালো করে পরিচিত হতে দিন। আবার ২-৩ দিন পরে নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করান। এই ২-৩ দিন লক্ষ্য রাখুন শিশুর কোনরকম অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা।
ডিম খাওয়ার পর যদি শিশুর শরীরে কোনরকম লাল দাগ, চুলকানি, হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, বমি ও ডায়রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শিশুকে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম হল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানের প্রোটিনের উৎস। ডিমে থাকা খনিজ, ভিটামিন এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টি সমৃদ্ধ যা বিভিন্ন দিক থেকে শিশুদের জন্য উপকারী। ডিমের সাদা অংশ, পটাসিয়াম এবং প্রোটিন শিশু দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারীতায় সাহায্য করে। যেমন-
মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা: ডিমে থাকা হলুদ কুসুমে কোলাইন এবং কোলেস্টেরল শিশুদের বিকাশের সাথে সম্পৃক্ত। উক্ত কোলাইন কার্ডিওভাস্কুলার এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক ক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে আবার কোলেস্টেরল ফ্যাট হজমে সহায়তা করে এবং হরমোনও তৈরি করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ জন্মের পর শিশুকে টিকাদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ- বিস্তারিত আলোচনা
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে: ডিমে থাকা হলুদ কুসুমে ফসফোলিপিড থাকে যা সঠিক ভাস্কুলার ফাংশনে সহায়তা করে এবং কোলেস্টেরল পরিচালনায় শিশুর হার্টকে সহায়তা করে।
দেহে শক্তি বৃদ্ধি ও হাড়ের বিকাশে সহায়তা: ডিমে থাকা সাদা অংশ অর্থাৎ প্রোটিন গুলি শিশু দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে। তাছাড়া এতে থাকা রাইবোফ্লোবিন যা শর্করা থেকে শক্তি মুক্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার ডিমে থাকা ভিটামিন-এ, ডি, ই এবং কে হল ফ্যাটযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিন, যা হাড়ের বিকাশে সহায়তা করে।
হজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: ডিমে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন-আয়রন, সেলিনিয়াম, জিংক এগুলো শিশুদেহে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। ডিমের সাদা অংশগুলি শিশুদের তাদের দেহে সঠিক সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম সামগ্রী বজায় রাখতে সহায়তা করে। বিশেষত ডিমের কুসুম শিশুদের খাওয়া এবং হজম করার জন্য সহজ।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে: ডিমে রয়েছে ল্যুটেইন এবং জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ক্ষতিকারক খারাপ আলো এবং অতিবেগুনী আলো দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতির হাত থেকে শিশুর চোখকে রক্ষা করে। এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
রাতের খাবার বেছে নেওয়া মানে কেবল ক্ষুধা মেটানো নয়, বরং স্বাস্থ্যও ধরে রাখা। বেশির ভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, বেশির ভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম।
যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ। এ ছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও জিয়াস্যানথিন নামে দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান।
আরো পড়ুনঃ শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয় - বিস্তাারিত আলোচনা
তাছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন রাতে একটি সিদ্ধ ডিম খেলে শরীর নানা ভাবে উপকৃত হয়। এটি সহজে হজমযোগ্য, প্রোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ এবং আপনার রাতের খাদ্যাভ্যাসকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। রাতে ডিম খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা:
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
- দেহের পেশী সুগঠিত করতে সহায়ক
- মস্তিষ্ক ও নার্ভ শক্তিশালী করে তোলে
- ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- চুল ও দেহের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে
- হার ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময়
ডিম খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই তবে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সকালের নাস্তা বা দিনের বেলায়। কারণ এটি সারাদিন দেহের শক্তি যোগায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আবার রাতে ঘুমানোর আগে একটি সিদ্ধ ডিম খেলে তা হজমে সাহায্য করে এবং ঘুমের মান উন্নত করতে পারে, কারণ এতে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন বি-৬ মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়।
ডিম কি শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর
ডিম খাওয়া শিশুর জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। এটি শিশুর সঠিক দৈহিক ও মানসিক বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার। যাতে রয়েছে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কোলিন, এন্টি অক্সিডেন্ট এবং নানান ভিটামিন।
ডিমে থাকা এই সমস্ত পুষ্টি উপাদান শিশুর মস্তিষ্ক, হাড় ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা - বিস্তারিত আলোচনা
শিশু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল-
- সন্তানকে যদি বুদ্ধিমান করতে চান, তাহলে তার খাদ্যতালিকায় ডিম যোগ করুন।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শিশুকে ডিমের কুসুম খাওয়ানো জরুরি।
- ডিম খাওয়ালে শিশুর মনঃসংযোগের ক্ষমতা বাড়বে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়বে।
-
ডিমের সাদা অংশের প্রোটিন শিশুর দেহে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
শিশুকে ডিম খাওয়ার নিয়ম
পুষ্টিবিদদের মতামত হলো- যে বয়স থেকে শিশু কঠিন খাবার চিবিয়ে খেতে শিখবে, তখন থেকেই শিশুদের ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। অর্থাত্ ছয় মাস বয়স থেকেই শিশকে আপনি ডিম খাওয়াতে পারেন। সকালে নাস্তা সময় বা দিনের বেলা অথবা রাতে আপনার শিশুকে সিদ্ধ ডিম খাওয়ান।
আপনার শিশুকে প্রতিদিন ডিম খাওয়ান তবে নিয়ম করে। যেসব শিশুর বয়স ৫ বছরের নিচে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তারা সহজেই ডিমের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তাই এসব দিক বিবেচনা করে শিশুকে আধা সেদ্ধ বা অল্প সেদ্ধ ডিম না খাওয়ানোই ভালো।
শিশুর প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া উচিত
বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার তার মতে, ‘নিয়মিত ডিম খেলে পুষ্টির ঘাটতি মেটে। এতে উপস্থিত ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনের গুণে শরীর থাকে সুস্থ-সবল। তাই শিশুদের ডায়েটে ডিম থাকা মাস্ট।’
কিন্তু প্রশ্ন হল, দিনে কতগুলি ডিম শিশুদের খাওয়ানো যেতে পারে? এর উত্তরে এই পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, ‘যে কোনও সুস্থ শিশু, যার শরীরে কোনও অসুখ নেই, ওজন ঠিক ঠাক রয়েছে, নিয়মিত শরীরচর্চা করে, সে নিয়মিত ২টি ডিম খেতেই পারে। তাতে শরীরের উপকারই হবে। তবে যারা স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত, প্রতিদিন অনেক পরিশ্রম করে, পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে তাদের আরও বেশি সংখ্যক ডিম সংখ্যা ডিম খাওয়ানো যেতে পারে।’
অপরদিকে তিনি আরো বলেন, যাদের ওজন বেশি, জন্মগত হার্টের অসুখ রয়েছে বা অন্য কোনও ক্রনিক অসুখ রয়েছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ডিম খাওয়াতে হবে। তাহলেই ওজন থাকবে বশে।
সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় গঠনে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। কেননা ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। আবার কুসুমে আছে ভিটামিন ডি, যা হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
একটি গবেষণায় দেখা গিছে যে, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একটা বা দুটি সিদ্ধ ডিম খেলে দেহের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ছোট-বড় সব রোগই দূরে পালাতে শুরু করে অর্থাৎ দেহের ভিতর কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে: ডিমে থাকা প্রোটিন হজম হতে সময় নেয়, ফলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগবে না। এতে সকালে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি: ডিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন A, D শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। তাই প্রতিদিন সকালে একটা করে সিদ্ধ ডিম খেলে শরীর সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়: প্রতিদিন সকালে একটা করে সিদ্ধ ডিম খেলে ডিমে থাক লুয়েটিন এবং জিয়াক্সেনথিন নামে দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির থেকে চোখকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে রেটিনার কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে ছানিসহ একাধিক চোখের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পেতে শুরু করে।
চুল ওত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়: ডিমে থাকা ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, স্কিন এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য প্রতিদিন সকালে একটা করে সিদ্ধ ডিম খেলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত উপকার পাওয়া যায়।
দাঁত ও হাড়কে শক্তশালী করে: ভিটামিন ডি-তে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে নিয়মিত সকালে সিদ্ধ ডিম খেলে হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। সেইসঙ্গে এই উপাদানটি হজম ক্ষমতা এবং হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ থাকে।
উপসংহারঃ প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়
পরিশেষে ‘প্রতিদিন শিশুকে ডিম খাওয়ালে কি হয়’ এই শিরোনামের আর্টিকেলটি আলোচনা করে আমরা জানতে পারলাম যে, ডিম এমন একটি পুষ্টিগুণসম্পূর্ণ সুষম খাদ্য যা ছোট বড় সকলের জন্য খুবই উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার শিশুকে প্রতিদিন না হলেও অন্তত সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ডিম শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন। এবং যতদূর সম্ভব সিদ্ধ করে খাওয়ান। তবে সকল শিশুর শারীরিক অবস্থা একরকম নয়। অনেক শিশু আছে যাদের শরীরে এলার্জি বিদ্যমান বা হজমে সমস্যা থাকে। তাই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করে আপনার শিশুকে নিয়মিত ডিম খাওয়াতে পারেন।
উক্ত আর্টিকেলটিতে যে সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা শুধুমাত্র আপনাদের জানানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্নওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন আর উপকৃত হলে দোয়া করবেন।




গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url