যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকুম, মানুষ এই দুনিয়াতে কেউ অভাবে বা অসফল থাকতে চায় না। আর এই অভাব দূর করতে বা সফলতার জন্য আল্লাহর দেওয়া বিধি-নিষেধ না মেনে দুনিয়া অর্জনে কিংবা ক্ষণস্থায়ী সুখ-সচ্ছন্দের নেশায় আমরা আমাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতায় ফেলে দিয়েছি এবং পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার দেওয়া নির্দেশনাগুলো ভুলে গিয়েছি।
তাই আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো- যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না তা নিয়ে।
পেজ সূচিপত্রঃ যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না
- যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না
- সালাম না দিয়ে ঘরে ঢুকলে ঘরের অভাব লেগেই থাকে
- হাত না ধূয়ে খাবার খেলে অভাব দূর হয় না
- বিসমিল্লাহ না বলে খাবার খেলে কি হয় জানুন
- মাগরিবের পর ও এশার আগে ঘুমিয়ে পড়লে কি হয়
- সূর্য্য উঠার পরও ঘুমিয়ে থাকলে কি ঘরে অভাব আসবে
- স্বামী বা পুরুষ উপুর হয়ে শুয়ে থাকলে জাহান্নামী হওয়ার লক্ষণ
- কবরাস্থানে গিয়ে হাসাহাসি করলে কি হয়
- মেহমান আসায় মন খারাপ করলে আল্লাহ তায়ালার নাখুশ
- ঘরে কুরআন তেলাওয়াত না করলে অভাব অনটন লেগেই থাকে
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করলে কি মানুষ অভাবী হয়ে যায়
- পোস্টের শেষ-কথাঃ যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না
যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, “অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা জুমা: ১০)
তিনি আরো বলেছেন, “আমি জিন ও মানুষকে কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা কেবল আমার ইবাদত করবে।” (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৫৬)
অনেকে প্রচুর অর্থ-সম্পদ উপার্জন করেও কাঙ্খিত সুখ-শান্তি বা মানসিক পরিতৃপ্তি পাই না কিংবা অভাব দূর হয় না বা টানাটানি লেগেই থাকে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন, “হে আদম সন্তান! তুমি (উপার্জনের উপায় অবলম্বনের পাশাপাশি) আমার ইবাদতের জন্য নিবিড়ভাবে নিজেকে নিবিষ্ট কর, আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব দূর করে দিব। আর যদি তা না কর, আমি তোমার দু’হাত কর্মব্যস্ততায় পরিপূর্ণ করে দিব অথচ তোমার অভাব-অনটন দূর করব না।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং- ২৪৬৬)
অর্থাৎ এখানে বুঝা যায় যে, যারা মুমিন বান্দা মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে প্রকৃত স্বচ্ছলতা, মানসিক সুখ এবং অনাবীল প্রশান্তি তখনই দান করবেন যখন সে ইবাদতে নিবিড়ভাবে নিবদ্ধ থেকে উপার্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আরো পড়ুনঃ আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের নেক আমল ও জান্নাত লাভ
তাই যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না তা নিয়ে আলোচনা করা যাক-
সালাম না দিয়ে ঘরে ঢুকলে ঘরের অভাব লেগেই থাকে
সালাম শব্দের অর্থ শান্তি। তাই সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে মহান আল্লাহ তায়ালা রহমত ও বরকত লাভ হয়, যা অভাব দূর করতে সাহায্য করে। আর এর বিপরীতে, সালাম ছাড়া ঘরে প্রবেশ করলে আল্লাহ তায়ালার রহমত ও বরকত লাভ হয় না বরং অভাব অনটন লেগেই থাকে।
সালাম না দিয়ে ঘরে প্রবেশ করা একটি ইসলামী নীতিবিরুদ্ধ কাজ এবং অনুমতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আল্লাহর সুরক্ষা ও রহমতকে আমন্ত্রণ জানায়।
হাত না ধূয়ে খাবার খেলে অভাব দূর হয় না
ইসলামে খাবার গ্রহণের আগে ও পরে হাত ধোয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এবং এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সুন্নাহ পালনের অংশ। হাত ধূয়ে বিসমিল্লাহ বলে খাবার খেলে ঘরের অভাব দূর করতে সাহায্য করে।
তাছাড়া নিয়মিত হাত ধুয়ে খেলে বিভিন্ন রোগ যেমন- ডায়রিয়া, নিমোনিয়াসহ
অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। আর অপরিষ্কার হাত বা হাত
না ধূয়ে খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা
থাকে।
বিসমিল্লাহ না বলে খাবার খেলে কি হয় জানুন
খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ না বললে সেই খাবারে শয়তান অংশ নিতে পারে এবং খাবারে
বরকত চলে যায়। কারণ প্রতিটি ভালো কাজে আগে বিসমিল্লাহ বলা উচিত যেন আল্লাহর রহমত
ও নিরাপত্তা নিশিত করে। আর আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে বঞ্চিত মানে ঘরে অভাব অনটন
লেগে থাকা।
💚রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে খাবারে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়না, শয়তান সেই খাবারকে তার জন্যে হালাল মনে করে।” (সহীহ বুখারীঃ ৩২৮০, সহীহ মুসলিমঃ ২০১৭, সুনানে তিরমিযীঃ ১৮১২, সুনানে আবু দাউদঃ ৩৭৩১।)
তাই আমাদের অবশ্যই উচিত খাওয়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহী ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহী’ বলা আর বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে খাবারের মাঝখানে ‘বিসমিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী’ বলা আর খাওয়ার শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা।
আরো পড়ুনঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ৩০ জন মহিলা সাহাবীদের নাম
মাগরিবের পর ও এশার আগে ঘুমিয়ে পড়লে কি হয়
সারাদিন শারীরিক পরিশ্রম মানসিক ক্লান্তি দূর করার জন্য রাতের বেলায় ঘুম সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম। এটি আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও নেয়ামত। তাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, “তোমাদের নিদ্রাকে করেছি— ক্লান্তি দূরকারী।” (সুরা নাবা, আয়াত : ০৯)
তিনি আরো বলেন, “তিনি রাতকে মানুষের প্রশান্তির উপায় হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।” -(সুরা আনআম : ৯৬)
তাছাড়া অসময় ঘুমালে আল্লাহ তায়ালা রিজিকের বরকত কমিয়ে দেন। ফলে ঘরে অভাব আসতে
পারে বা দূর হয় না।
হজরত আবু বারযা আল আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর কথাবার্তা বলাকে অপছন্দ করতেন। ’ (সহিহ বুখারী: ৫৭৪)
সূর্য্য ওঠার পরও ঘুমিয়ে থাকলে কি ঘরে অভাব আসবে
ঘুম হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ অনুগ্রহ ও নিয়ামত। ঘুম ব্যতীত কোনো মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। খাদ্য ও ঘুম একে অন্যের পরিপূরক। এটা দেহের ক্লান্তি দূর করে, মনে প্রশান্তি আনে এবং কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
💚মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্রাম, করেছি রাতকে আবরণ।” (সূরা : নাবা, আয়াত : ৯-১০)
ফজরের নামাজের পর অর্থাৎ সূর্য্য উঠার পর সকালের ঘুম জীবন-জীবিকার বরকত নষ্ট করে দেয় অর্থাৎ ঘরের অভাব চলে আসে বা অভাব দূর হয় না। কারণ, দিনের শুরুটা ঘুমে কেটে যাওয়ার ফলে দিন সংকীর্ণ হয়ে যায়। কাজের সময় ও পরিধি কমে যায়।
সাখর আল-গামিদী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, “হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন।” তিনি কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই প্রেরণ করতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রা.) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তাঁর পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে পাঠানোর ফলে অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৮)
আবার মহান আল্লাহ দিনকে বানিয়েছেন মানুষের জীবন-জীবিকা ও সার্বিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য। 💚আল্লাহ বলেন, “এবং করেছি দিনকে জীবিকা আহরণের সময়।” (সুরা : নাবা, আয়াত : ১১)
তাই ফজরের নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং ইশরাকের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে দিনের কর্মকাণ্ড শুরু করতে পারলে দিন বরকতময় ও কর্মময় হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
স্বামী বা পুরুষ উপুর হয়ে শুয়ে থাকলে জাহান্নামী হওয়ার লক্ষণ
ঘরের অভাব দূর হয় না হওয়ার পিছনে স্বামী বা পুরুষ উপুর হয়ে শুয়ে থাকাটা একটা কারণ। কখনো কখনো এটি বিপদের কারণ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এভাবে শোয়া সাময়িক আরামদায়ক মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাস-প্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।
রাসুল (সা.) এভাবে শুতে নিষেধ করেছেন। এর কারণ হিসেবে হাদিস শরিফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক. মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া পছন্দ করেন না। দুই. এটি জাহান্নামীদের শোয়া।
পবিত্র কোরআনে জাহান্নামীদের ব্যাপারে এরশাদ হয়েছে, “যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে; সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর।” (সূরা : কমার, আয়াত : ৪৮)
কবরাস্থানে গিয়ে হাসাহাসি করলে কি হয়
কবরাস্থানে গিয়ে হাসাহাসি করা বা হইচই করা মোটেও ঠিক নয়। কারণ, এটি মৃত্যুর মতো একটি গুরুতর বিষয়কে উপহাস করার শামিল, অসম্মানজনক আচরণ যা ইসলামে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
মেহমান আসায় মন খারাপ করলে আল্লাহ তায়ালার নাখুশ
ইসলামে মেহমান আপ্যায়নকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও সওয়াবের কাজ হিসেবে দেখা হয়।মেহমান আসলে তাদের সঙ্গে আন্তরিক হওয়া এবং তাদের আপ্যায়ন করা একজন মুসলমানের দায়িত্ব। বাড়িতে মেহমান আসায় মন খারাপ করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হতে পারেন, কারণ এটি আল্লাহর আদেশ ও রাসূলের সুন্নতের পরিপন্থী।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়িতে মেহমান আসার সম্পর্কে বলেছেন,“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।” (সহীহ বুখারী:৬০১৮)
এবং নবীজী আরো বলেছেন, “মেহমানের সামনে যতক্ষণ দস্তরখানা বিছানো থাকে, তা না ওঠা পর্যন্ত ফেরেশতারা তোমাদের উপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে।” (, সহীহ মুসলিম হাদিস নং- ২৩১১)
ঘরে কুরআন তেলাওয়াত না করলে অভাব অনটন লেগেই থাকে
সর্ব অবস্থায় মহান আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে। তাঁর কাছেই অভাব-অনটন থেকে মুক্তি চাইতে হবে। আর এজন্য পবিত্র কোরআনে দোয়াও রয়েছে। দোয়াটি হলোঃ
اللّٰهُمَّ رَبَّنَاۤ اَنۡزِلۡ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَكُوۡنُ لَنَا عِیۡدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنۡكَ ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ
অর্থাৎ, “হে আল্লাহ, হে আমাদের রব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাজিল করুন, যা আমাদের জন্য আনন্দের কারণ হবে; আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্যও। আর আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। এছাড়া আমাদের রিজিক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।” (সুরা মায়েদা, আয়াত: ১১৪)
তাছাড়া মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, “যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেছিলেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দান করব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।” (সুরা ইবরাহিম, আয়াত নং: ৭)
সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম যে, ঘরে কুরআন তেওয়াত করলে যেমন আল্লহ তায়ালার যেমন, রহমত, বরকত পাওয়া যায় তেমনি ঘরে কুরআন তেলাওয়াত না করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রোজী রোজগারের রহমত, বরকত দিবেন না অর্থাৎ ঘরে অভাব অনটন লেগেই থাকবে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করলে কি মানুষ অভাবী হয়ে যায়
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার পরিণতি ইহকাল ও পরকাল উভয় ক্ষেত্রেই মারাত্মক, যা কুরআন ও হাদীসে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। এটি বান্দা ও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তায়ালার মাঝে সংযোগ স্থাপনকারী এক শক্তিশালী মাধ্যম। এবং প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ।
নামাজ হলো আল্লাহ্র তায়ালার স্মরণ, যা ছেড়ে দিলে জীবন সংকীর্ণ হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য থাকবে এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামতের দিন অন্ধ করে উঠাব।” (সূরা ত্ব-হা, ২০: ১২৪)
এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজকে মুমিন ও কাফিরের মাঝে প্রধান পার্থক্যকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
নামাজ ছেড়ে দিলে আল্লাহ্ তায়ালা সেই জীবন থেকে বরকত (কল্যাণ) তুলে নেন। ফলে সম্পদ, সময়, স্বাস্থ্য সবকিছু থাকা সত্ত্বেও জীবনে এক ধরনের শূন্যতা ও অতৃপ্তি কাজ করে।
ফলস্বরূপ, যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে তাদের ঘরে অভাব অনটন লেগেই থাকে।
পোস্টের শেষ-কথাঃ যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না
‘যে সমস্ত কারণে ঘরের অভাব দূর হয় না’ এই শিরোনামের আলোচনা করে আমরা বুঝতে পারলাম যে, আল্লাহ তায়ালার দেয়া বিধি-নিষেধ এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নাহ বা হাদিস মোতাবেক আমাদের জীবন পরিচালিত না হলে, আল্লাহর রহমত ও বরকত আমরা তো পাবোই না বরং আমাদের ঘরে অভাব অনটন লেগেই থাকবে। আসুন, আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের দেয়া বিধান ও নবী করিম (সা.) এর সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনকে পরিচালিত করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন।

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url