গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকুম, দীর্ঘ নয় মাস গর্ভাবস্থায় মায়েদের
শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে কিছু কিছু খাবারে
তাদের অনিহা দেখা যায়। আবার কিছু কিছু খাবার খেতে বেশ আগ্রহ করে তোলে। এই সময়
গর্ভবতী মায়েরা টক জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে থাকে। যেমন- তেঁতুলের টক।
তাই গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে উপকার না অপকার হয়, নিরাপদ না অনিরাপদ, খাওয়া উচিত
না অনুচিত ইত্যাদি সমস্ত কিছু- আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানার
চেষ্টা করব- ইনশাল্লাহ।
পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটুকু নিরাপদ?
- তেঁতুলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুলের আচার খাওয়া যাবে কি?
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা তেঁতুল খেলে কি হয়?
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার ঝুঁকি
- তেঁতুল খেলে কি মিসক্যারেজ হয়?
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া ভালো নাকি খারাপ?
- গর্ভাবস্থায় কতটুকু পরিমাণে তেঁতুল খাবেন- জানুন
- প্রশ্ন ও উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
- পোস্টের শেষ-কথাঃ গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
তেঁতুল পছন্দ করে না এমন নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গর্ভধারণের প্রথম সময়ের দিকে
অনেকে তেতুল কিংবা তেঁতুলের তৈরি খাবার খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এ সময় তেঁতুল
খাওয়া ভালো নাকি খারাপ তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন।
এই প্রসঙ্গে ডা: পূরবী মুখোপাধ্যায় বলেন,
“বছরের পর বছর মুখে মুখে এই কথাটা চলে আসছে। আর আমিও গর্ভবতীদের তেঁতুল খেতে
বারণ করি। কারণ, এই টক জাতীয় ফল খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
এমনকী হতে পারে পেটে ব্যথাও। আর গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হওয়া কোনও ভাবেই কাম্য
নয়। তাই এই সময় তেঁতুলের থেকে দূরে থাকতে হবে। ব্যস, এই নিয়মটা মেনে চললেই
গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেটে ব্যথার মতো সমস্যা প্রতিরোধে এগিয়ে থাকবেন। তবে
তেঁতুলের জন্য গর্ভপাত হয় না। এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা।”
- বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি তেঁতুল খাওয়া গর্ভধারণের পর শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষত, প্রথম ট্রাইমেস্টারে অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া উচিত নয়।
- সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গেছে, তেঁতুল গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের উৎপাদন অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এর কারণ তেঁতুলে অত্যাধিক মাত্রায় থাকা ভিটামিন সি রয়েছে।
- আর প্রোজেস্টেরনের উৎপাদন কমে গেলে শিশুর সময়ের আগে জন্ম অর্থাৎ প্রিটার্ম বার্থের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এছাড়াও মায়ের গর্ভপাতও হতে পারে। এর পাশাপাশি অত্যাধিক ভিটামিন সি ভ্রুণের কোষ নষ্ট করে দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটুকু নিরাপদ?
আপনার গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটুকু নিরাপদ- এ প্রসঙ্গে ডা,
“বছরের পর বছর মুখে মুখে এই কথাটা চলে আসছে। আর আমিও গর্ভবতীদের তেঁতুল খেতে বারণ
করি। কারণ, এই টক জাতীয় ফল খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী হতে
পারে পেটে ব্যথাও। আর গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হওয়া কোনও ভাবেই কাম্য নয়।
তাই এই সময় তেঁতুলের থেকে দূরে থাকতে হবে। ব্যস, এই নিয়মটা মেনে চললেই গ্যাস,
অ্যাসিডিটি এবং পেটে ব্যথার মতো সমস্যা প্রতিরোধে এগিয়ে থাকবেন। তবে তেঁতুলের
জন্য গর্ভপাত হয় না। এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা।”
- তেঁতুল - ভিটামিন এ ও সি এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর শর্করার একটি উৎস।
- এটি ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে পারে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। প্রাণীদের নিয়ে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে তেঁতুল রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে পারে, তবে মানুষের এবং বিশেষত গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এটি সঠিকভাবে বলা যায় না।
- তেঁতুল প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিনের মতো নির্দিষ্ট ওষুধগুলির সাথে প্রতিক্রিয়া করে, তাই আপনি যদি এই ওষুধগুলি নিয়মিত গ্রহণ করে থাকেন তবে আপনি ওষুধ খাওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে আপনি তেঁতুল খেতে পারেন।
- তবে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া যাবে কিনা তার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
তেঁতুল একটি অত্যন্ত সুস্বাদু উপাদান যা এর স্বাদের কারণে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত
হয়। বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতায় ঔষধির উদ্দেশ্যেও তেঁতুল ব্যবহার করা হয়েছিল
– তেঁতুলের কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে; তবে যা এটিকে একটি আকর্ষণীয় উপাদান করে তোলে
তা হল এর পুষ্টিগুণ।
তেঁতুল- পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েডস, পটাসিয়াম, আয়রন, ডায়েটরি ফাইবার, ভিটামিন এ,
সি ও কে এবং আরও অনেক খনিজ সমৃদ্ধ।
তেঁতুলে আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। গর্ভাবস্থায় অনেক মেয়ে গোড়ালিতে
ব্যথা ও শরীরে ফোলাভাবের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত
তেঁতুল খান। গর্ভাবস্থায় অনেকেই টক খেতে পছন্দ করেন।
এই সময় তেঁতুল খেলে তা স্বাদের জন্য শুধু নয়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতেও বেশ
উপকারী। এটি শরীর ফোলা ভাব কমানোর সঙ্গে পেশীর ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুলের আচার খাওয়া যাবে কি?
গর্ভাবস্থায় তেঁতুলের আচার খাওয়া যেতে পারে পরিমতি পরিমাণে। কারণ, এতে
আছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদানের
উৎস। তেঁতুল শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে থাকে।
তবে এখানে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে বাজারে যে
তেঁতুলের আচার পাওয়া যায় সেগুলো একেবারে খাওয়া যাবে না। কারণ, এতে চিনি এবং
লবণের পরিমাণ বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
গর্ভবতী অবস্থায় তেঁতুলের আচার খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
ভালো।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা তেঁতুল খেলে কি হয়?
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল পরিমিত পরিমাণে খাওয়া গেলেও কাঁচা তেঁতুল খাওয়া একেবারে
উচিত নয়। কারণ, এতে থাকা এসিড- বুক জ্বালা ও বমি বমি ভাবও বাড়াতে পারে। বিশেষ
করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তুলতে
পারে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমানে তেঁতুল খেলে মা এবং গর্ভের শিশুর উভয়ের জন্য উপকার
রয়েছে। যেমন-
- তেঁতুলে থাকা পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম পুষ্টিগুণগুলোর কারণে কিছুটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- পরিমিত পরিমানে তেঁতুল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরীভূত করে এবং ডায়রিয়া রোধ করতে সাহায্য করে
- গর্ভাবস্থায় মায়েদের বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তেঁতুলের টক-ঝাল স্বাদ বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- তেঁতুলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে গোড়ালি ব্যাথা ও শরীরে ফোলাভাব এবং পেশীর ব্যথাগুলি কমাতে সহায়তা করে।
- তেঁতুলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে অনেকাংশে সাহায্য করে থাকে।
- তেঁতুল একটি ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ খাবার, যা গর্ভকালীন মায়েদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- গর্ভাবস্থায় মিষ্টি তেঁতুল তার ল্যাক্সিট বৈশিষ্ট্যের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার ঝুঁকি
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ায় যেমন উপকার রয়েছে, তেমনি এর ঝুঁকিও রয়েছে বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তেঁতুল প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিনের মতো নির্দিষ্ট ওষুধগুলির সাথে প্রতিক্রিয়া করে থাকে।
- যারা এসব ওষুধ গ্রহণ করেন তারা একই সাথে তেঁতুল খেলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বা ঝুঁকি থাকে। তবে ২০ থেকে ২৪ ঘন্টা পর তেঁতুল খেতে পারেন।
- বেশি পরিমাণে তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনার রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
- যদি আপনার গর্ভাবস্থায় ফ্লোরোসিস হয় তবে কাঁচা, তরল বা পাতলা না করা তেঁতুল ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে।
তেঁতুল খেলে কি মিসক্যারেজ হয়?
তেঁতুল খেলে মিসকারেজ হয় এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত
তেঁতুল খেলে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- শরীরে জ্বালাপোড়া করতে পারে,
রক্তে শর্করা মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, বমি
বমি ভাব হতে পারে।
পরিমিত পরিমানে তেঁতুল খেলে মিসকারেন্স তো হবেই না বরং গর্ভের শিশু এবং গর্ভবতী
মায়ের বিশেষ উপকারই হয়ে থাকে। তবে তেঁতুল খাওয়ার এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ সবার শারীরিক অবস্থা এক রকম থাকে না।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া ভালো নাকি খারাপ?
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার ফলাফল- ভালো বা মন্দ দুটোই আছে। অর্থাৎ পরিমিত
পরিমাণে খেতে পারলে গর্ভবতী মা এবং গর্ভের সন্তান উভয়ের জন্যই ভালো। অপরদিকে বেশি
মাত্রায় খেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
দিনে ২-৩ চামচ (১০/১৫ গ্রাম) তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ বলে ধরা হয়। অতিরিক্ত খেলে
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি হতে পারে। যদি
ডায়াবেটিস বা নিম্ন রক্তচাপ থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
তেঁতুলে থাকা উপাদান রক্ত পাতলা করতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করতে
পারে।
গর্ভাবস্থায় কতটুকু পরিমাণে তেঁতুল খাবেন- জানুন
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল বেশি খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা, বদহজম হতে পারে।
তাছাড়া অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।
- এ সময় দৈনিক ১০-১৫ গ্রাম এর বেশি তেঁতুল খাবেন না। তবে প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো।
- গর্ভাবস্থায় সকালে খালিপেটে তেঁতুল খাবেন না। যদি খেতেই হয় তাহলে খাওয়ার আধ ঘন্টা বা এক ঘণ্টা পর অল্প পরিমানে খাওয়া যেতে পারে।
- বিভিন্ন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমানে তেঁতুল খাওয়া যেতে পারে। যদি কারো খেতে কোন সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে খাওয়াটাই ভালো। কারণ, সবার শারীরিক অবস্থা এক রকম নয়।
প্রশ্ন ও উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
প্রশ্ন:
তেঁতুল কি কিডনীর ক্ষতি করে?
উত্তর:
তেঁতুলে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে সেজন্য কিডনীর উপর বিরূপ বা ক্ষতিকর
প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া বেশি বেশি খেলে কিডনীতে পাথর সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্ন:
কাদের জন্য তেঁতুল খাওয়া ঠিক হবে না?
উত্তর:
যাদের শরীরে এলার্জি আছে যেমন- চুলকানি, ফোলা ভাব, শ্বাসকষ্ট তাদের তেঁতুল খাওয়া
থেকে বিরত থাকাই ভালো।
প্রশ্ন:
পিরিয়ডের সময় কি তেঁতুল খাওয়া যায়?
উত্তর:
হ্যাঁ, অবশ্যই পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খাওয়া যায়। কারণ সময় জরায়ূর পেশী সংকোচন
এবং সাথে মাসিকের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
প্রশ্ন:
তেঁতুল খেলে কোন কোন রোগ ভালো হয়?
উত্তর:
তেঁতুল খেলে যে সমস্ত রোগ ভালো হয় সেগুলোর মধ্যে- ডায়েরিয়া, জ্বর অন্যতম। এছাড়া
উচ্চ-রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে,
কাঁটা ঘাঁ ভালো হতে সাহায্য করে।
পোস্টের শেষ-কথাঃ গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা- আজকের আলোচ্য বিষয়ে আমরা
জানতে পারলাম যে, গর্ভাবস্থায় পরিমাণ মতো তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ, তবে সন্দেহ হলে
বা শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। অর্থাৎ
গর্ভাবস্থায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তেঁতুল খাওয়া উচিত নয়।
বি: দ্র: এই পোস্টটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আপনার সামনে উপস্থাপন করার
চেষ্টা করেছি মাত্র। আশা করি, উপকৃত হবেন। ভালো থাকবেন। আর ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা
সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।



গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url