বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামুআলাইকুম, বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার - যেটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। এটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতও বলা হয়ে থাকে। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ কিলোমিটার বা ৭৫ মাইল। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের তথা বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র সৈকত অর্থাৎ পর্যটন কেন্দ্র।
এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক এর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য ভীর করেন। আজকে আমরা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো, ইনশাল্লাহ।
পেজ সূচিপত্রঃ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
- বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
- দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার কখন যাওয়া উচিত
- সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার যাবার উপায়সমূহ
- কক্সবাজার এর আশে-পাশে আরো দর্শনীয় স্থানসমূহ
- কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
- পোস্টের ইতিকথাঃ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার। ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দীর্ঘ এই
সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। এটি মসৃণ বালুরাশি দ্বারা আচ্ছাদিত,
যা এর অনন্য বৈশিষ্ট্য। এখানে সমুদ্রের ঢেউ, সূর্যাস্ত এবং শান্ত বাতাস আপনাকে এক
অন্যরকম অনুভূতি দেবে। এটিকে আবার পর্যটনের রাজধানীও বলা হয় থাকে। সৈকতটি
পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এটি একটি মায়াবী ও রূপময়ী
সমুদ্র সৈকত। প্রতিনিয়তই এর রূপ পরিবর্তন করে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, বসন্ত- এমন
কোনো ঋতু নেই যখন সমুদ্র সৈকতের চেহারা বদলায় না। সমুদ্রের বিশাল ঢেউ, মায়াবী
গোধূলী, সূর্যোদয়ের অপরূপ দৃশ্য সবকিছুই যেন মন কাড়ে পর্যটকদের।
কক্সবাজারে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল
ল্যান্ডিং স্টেশন।
দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার কখন যাওয়া উচিত
আমরা যারা ভ্রমণ পিপাসু বা ভ্রমণ করতে পছন্দ করি তারা সাধারণত শীতকালটাকেই ভ্রমণ
বা ঘোরাঘুরির জন্য বেছে নেই। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ সারা বছরই করা
যায়। তবে শীতকাল হলো এই সৈকতে ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এ সময় সমুদ্র থাকে শান্ত এবং
পরিবেশট থাকে আরামদায়ক।
তাছাড়া শীতকাল অর্থাৎ পিক সিজন ছাড়া অন্য সময় গেলে বাড়তি কিছু সুবিধা পাবেন।
যেমন- হোটেল ভাড়া থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুতেই ডিসকাউন্ট ও ভ্রমণের খরচ কমানোর
সুবিধা।
সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার যাবার উপায়সমূহ
দেশের প্রায় সব জেলা থেকেই বাসে অথবা ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়ার সুব্যবস্থা
রয়েছে।
রাজধানী শহর ঢাকা থেকে কক্সবাজার- সড়ক, রেল এবং আকাশ পথে যাওয়ার সুব্যবস্থা
রয়েছে। যেমন-
সড়ক পথে কক্সবাজার: ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বিভিন্ন পরিবহনে আপনি
যেতে পারেন। পরিবহনগুলো হলো-
- হানিফ এন্টারপ্রাইজ
- গ্রীন লাইন
- শ্যামলী পরিবহন
- সোহাগ পরিবহন
- এস আলম পরিবহন
- এস আলম মার্সিডিজ ব্যান্জ
- মর্ডান লাইন
আর এসব এসি, নন এসি কিংবা স্লিপার বাসের ভাড়া ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে
২৫০০-২৬০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
রেল পথে কক্সবাজার: রেল পথে বা ট্রেনে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার
যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশন হতে যেতে হবে।
ট্রেনগুলো হলো-
- কক্সবাজার এক্সপ্রেস
- পর্যটক এক্সপ্রেস
তাছাড়া আপনি যদি ঢাকা টু কক্সবাজার সরাসরি যেতে না পারেন তাহলে চট্টগ্রাম হয়েও
যেতে পারেন।
তবে বিশেষ করে ট্রেনের টিকেট অবশ্যই আগেই কেটে রাখতে হবে নয়তো যাত্রার আগে নাও
পেতে পারেন।
এবং ট্রেন ভাড়া-
- শোভন চেয়ার ৭০০ টাকা,
- এসি স্নিগ্ধা ১৩৫০ টাকা এবং
- এসি বার্থ ২৪০০ টাকা।
আকাশ পথে কক্সবাজার: আপনার বাজেট বেশী থাকলে আপনি আকাশ পথে অর্থাৎ
বিমানে করেও সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে পারেন।
বিমানগুলো হলো-
- বাংলাদেশ বিমান
- নভোএয়ার,
- এয়ার আস্ট্রা
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
আর এসব বিমান ভাড়া সাধারণত ৪,৫০০ থেকে ১১,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ইউরোপের দেশ ইতালি - ভিসা আবেদন ফরম ২০২৬
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশে-পাশে আরো দর্শনীয় স্থানসমূহ
কক্সবাজার যেরকম সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি অর্থাৎ সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব সৌন্দর্যের
পাশাপাশি এর আশে-পাশে কিছু দর্শনীয় স্থানও পর্যটকের হৃদয় আকৃষ্ট করে থাকে। যেমন-
- সেন্টমার্টিন প্রবাল-দ্বীপ
- হিমছড়ি
- ছেঁড়া দ্বীপ
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড
- মহশেখালী জেটি, সোনাদিয়া দ্বীপ
- রামু বৌদ্ধবিহার
- লামারপাড়া বৌদ্ধবিহার
- কদমতলী।
এছাড়া রামু রাবার বাগানের সৌন্দর্য্যও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
প্রশ্ন:
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কোনটি?
উত্তর: বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকতের নাম- কাসিনো প্রাইয়া
ডু ক্যাসিনো (Praia do Cassino)। এটি ব্রাজিলে অবস্থিত যার দৈর্ঘ্য প্রায়
২৫২ কিলোমিটার বা ১৫৮ মাইল।
প্রশ্ন:
কক্সবাজারের আগের নাম কি ছিল?
উত্তর: কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি এবং প্যানোয়া।
প্রশ্ন:
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র বন্দর কোনটি?
উত্তর: মায়ামি- সমুদ্র বন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর।
প্রমোদ-জাহাজ ধারণের দিক থেকেও মায়ামির সমুদ্র বন্দর বিশ্বের বৃহত্তম।
পোস্টের ইতিকথাঃ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ
বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ১২০ কি.মি.- বাংলাদেশ। এই
আর্টিকেলের ইতিকথায় আমরা বলতে পারি যে, সমুদ্র সৈকত কেবল একটি সৈকতই নয়; বরং এটি
এমন এক স্থান যেখানে একইসাথে ভ্রমণের আনন্দ পাওয়া যায় এবং নানান সংস্কৃতির
মানুষের জীবন খুব কাছ থেকে দেখা যায়। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও প্রকৃত সৌন্দর্য
উপভোগ করতে চাইলে আপনার অবশ্যই কক্সবাজার আসা উচিত।


গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url