জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ৩০ জন মহিলা সাহাবীদের নাম
সূচিপত্রঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
- বিশিষ্ট নারী সাহাবীদের নাম
- জান্নাতে সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী
- নবীজির প্রিয় মহিলা সাহাবীদের নাম
- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
- কুরআনে বর্ণিত মহিলা সাহাবীদের নাম
- হাদিসে বর্ণিত মহিলা সাহাবীদের নাম
- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম
- জান্নাতে মহিলা সাহাবীদের সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম অনেক মুসলিম ব্যক্তির অজানা। কারণ বর্তমানে ইসলাম ধর্ম জন্মগহণ করেও ইসলাম চর্চায় মানুষ এখনো অনেক পিছিয়ে। ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু মহীয়সী নারী ছিলেন যারা তাদের ঈমান আমল ও আত্মত্যাগের কারণে মুহাম্মদ (সাঃ) কাছে থেকে দুনিয়াতে থাকাকালীন সময়ে জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করেছিলেন।
জীবনে চলার পথে ভালো পথের অনুসারী হতে হলে অবশ্যই ইসলামের ইতিহাস, ইসলামের জান্নাত প্রাপ্ত সাহাবী, মহিলা সাহাবীদের নাম জানা জরুরী। চলুন নিচে তাদের নাম সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং কুরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করা যাক।
হযরত খাদিজা (রাঃ) তিনি হচ্ছেন ইসলামের প্রথম মুসলিম নারী এবং মোহাম্মদ (সা:) এর প্রথম স্ত্রী। হযরত খাদিজা প্রচুর সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন এবং নিজের সকল সম্পদ ইসলাম প্রচার করার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন"খাদিজাকে জান্নাতে একটি মুক্তার ঘর দেওয়া হবে, যেখানে কোন কষ্ট বা শব্দ থাকবে না।"(সহি বুখারী, হাদিস: ৩৮২০) খাদিজা রাঃ কে জান্নাতের সুসংবাদ ফেরেশতা জিব্রাইল (আ:) এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন।
হযরত ফাতিমা (রাঃ) রাসুল সালাম সালাম এর একমাত্র কন্যা এবং ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন"ফাতিমা জান্নাতি নারীদের সরদার"। (সহি বুখারী, হাদিস: ৩৭৬৯)। তার সাধারণ জীবন যাপন, ধৈর্য, ইবাদত তাকে জান্নাতের মর্যাদা বানিয়েছে।
হযরত মারিয়া কিবতিয়া (রাঃ) তিনি হচ্ছেন নবীজির কনকুবাইন ও ইব্রাহিম (আ:) এর মা। যদি ও তার সম্পর্কে নির্দিষ্ট হাদিসের নাম সহ জান্নাতের ঘোষণা নেই কিন্তু তবে ইসলামী ঐতিহ্য অনুসারে তাকে জান্নাতি নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ও ইব্রাহিম আলাই সালাম এর মা হওয়ার গৌরব তার জন্য জান্নাতের সম্ভাবনার দিকটি প্রমাণ পাই।
আরো পড়ুনঃ আজকের নামাজের নিষিদ্ধ সময় - নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট
হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত (রাঃ) তিনি হচ্ছেন ইসলামের প্রথম শহীদা। ইবনে হিসাম বর্ণিত:"রাসূলুল্লাহ সাল্লাম বলেছিলেন, হে সুমাইয়া ধৈর্য ধরো, নিশ্চয়ই তোমার জন্য জান্নাত আছে"। (সিরাতে ইবনে হিসাম, খন্ড ১) ইসলামের প্রথম নারী শহীদা হওয়া এবং ঈমানের উপর অটল থাকার কারণে তিনি জান্নাতে সুসংবাদ পেয়েছিলেন।
হযরত উম্মে সুলাইম রাঃ তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী মহিলা ছিলেন। দ্বীন ইসলামের জন্য জিহাদে অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং নবীজির সেবা করতেন। রাসূল (সাঃ) বলেন"আমি স্বপ্নের জান্নাতে গেলাম, সেখানে উম্মে সুলাইমের কদরের আওয়াজ শুনলাম।"(সহি বুখারি, হাদিস: ৩৮১৩)
হযরত আসিয়া (রাঃ) ইসলামের অন্যতম একটি মহীয়সী নারী হচ্ছে আসিয়া। তিনি ছিলেন ফেরাউনের স্ত্রী। তিনি ঈমানদার নারী যিনি মুসা (আ.) এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। কুরআনের আয়াতে বর্ণিত আছে "হে আমার রব! আমার জন্য জান্নাতে তোমার নিকট একটি ঘর বানিয়ে দাও"। (সূরা আত-তাহরিম: আয়াত ১১)
হযরত মারিয়াম বিনতে ইমরান (আ:) হযরত মারিয়াম বিনতে ইমরান ছিলেন একজন অবিবাহিত মা। হযরত ঈসা (আঃ) সালামের মা। কুরআনের সবচেয়ে সম্মানিত নারী। কুরআনে বর্ণিত আছে"আর আল্লাহ তাকে (মারিয়ামকে) সকল নারীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।"(সূরা আলে ইমরান: ৪২)। জান্নাতি চারজন নারীর মধ্যে মারিয়াম অন্যতম শ্রেষ্ঠত্ব।
আরো পড়ুনঃ জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ৪১ জন সাহাবীদের নাম
হযরত উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাঃ) তিনি জানাতে সুসংবাদপ্রাপ্ত অন্যতম একটি নারী। নবীজি তাকে জান্নাতে উড়ে চলতে দেখেছেন একটি বাহনের সাথে। হাদিসে বর্ণিত আছে"তুমি তাদের (জিহাদীদের) একজন হবে।"(সহীহ মুসলিম: ১৯১২)
হযরত উম্মে রুমান (রাঃ) তিনি ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত আরেকজন নারী। এছাড়া তিনি ছিলেন হযরত আয়েশা (রাঃ) এর মা। রাসুল (সাঃ) বলেন"যে কেউ জান্নাতি নারী দেখতে চাই, সে যেন উম্মে রুমান কে দেখে"।( মুসনাদে আহমদ)
বিশিষ্ট নারী সাহাবীদের নাম
বিশিষ্ট নারী সাহাবীদের নাম ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। এদের মধ্যে কেউ ইসলামের জন্য জীবন দিয়েছে, কেউ ধৈর্য, উদারতা, মহানুভবতা, ইবাদত এবং অন্যান্য আরো ইসলামিক বিধি বিধান মেনে চলার কারণে ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। আমরা মুসলিম হিসেবে হয়তো নারী সাহাবিয়াদের নাম গুলো জানিনা, চলুন তাদের নামগুলো উল্লেখ করা যাক।
- খাদিজা বিনতে খোয়াইলিদ (রাঃ)
- ফাতেমা বিনতে মোহাম্মদ (রাঃ)
- আয়েশা বিন্তে আবু বক্কর (রাঃ)
- হাফসা বিনতে ওমর (রাঃ)
- জয়নাব বিনতে খুজাইমা (রাঃ)
- সওদা বিন্তে জময়া (রাঃ)
- জুয়াইরিয়া বিন্তে হারিস (রাঃ)
- সাফিয়া (রাঃ)
- রুকাইয়া বিনতে রাসুল (রাঃ)
- জয়নাব বিনতে রাসুল (রাঃ)
- সুমাইয়া বিন্তে খুববাত (রাঃ)
- উম্মে আম্মারা (রাঃ)
- ফাতিমা বিনতে আসাদ (রাঃ)
- আসমা বিন্তে আবু বক্কর (রাঃ)
- লুবাবা আস-সুগরা (রাঃ)
- উম্মে সানান (রাঃ)
- সালমা বিন্তে কায়স (রাঃ)
- উম্মে হানি বিন্তে আবু তালিব (রাঃ)
- রাইতা বিনতে আবু উবাইদাহ (রাঃ)
- উম্মে বশির (রাঃ)
- উম্মে দারদা (রাঃ)
- উম্মে উমাইরা (রাঃ)
- উম্মে জামিলা (রাঃ)
- উম্মে খালিদাহ (রাঃ)
- উম্মে রুফায়দা (রাঃ)
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলবো আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ইসলামের পথে জীবনদানকারী বা ইসলামের জন্য পৃথিবীতে অনেক কিছু উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই জান্নাতে সুসংবাদ পূর্বেই পেয়েছিলেন। চলুন জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তি মহিলাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে তুলে ধরা যাক।
হযরত খাদিজা (রাঃ) তিনি ছিলেন ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম নারী। ইসলামের ইতিহাসে বা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে বর্ণিত আছে হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার কথা। তিনি রাসুল সাঃ এর প্রথম স্ত্রী ছিলেন। এবং হযরত ফাতেমা রাঃ এর মা। খাদিজা রাদিয়ালাতালা তার সমস্ত ধন সম্পত্তি ইসলামের পথে বিলীন করে দিয়েছিলেন। রাসূল (সা:) নিজে বলেছিলেন, "খাদিজাকে জান্নাতে মুক্তার ঘরের সুসংবাদ দাও"।
হযরত ফাতেমা (রাঃ) তিনি ছিলেন নবীজির সালামের প্রাণপ্রিয় কন্যা। নবীজির ঘরে জন্মগ্রহণ করেও তিনি খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। নবীজি তাকে জান্নাতের নারীদের নেত্রী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ইসলামের অন্যতম খলিফা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর স্ত্রী ছিলেন। নবীজির সন্তান হয়েও তার মনে বিন্দুমাত্র অহংকার ছিল না। অত্যন্ত ধৈর্যশীল একজন নারী ছিলেন।
হযরত আয়েশা (রাঃ) তিনি ছিলেন নবীজির প্রিয়তমা স্ত্রী। তিনি নবীজির সবচাইতে কনিষ্ঠ স্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন হাদিসে তার বর্ণনা পাওয়া যায়। হযরত আয়েশা রাঃ ছিল ইসলামের অন্যতম খলিফা হযরত আবু বকর রাঃ কন্যা। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "তোমার(আয়েশার) মর্যাদা অন্য নারীদের তুলনায় তরি তরকারির উপর সীরার মত"।
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) তিনি ছিলেন ইসলামের প্রথম শহীদ নারী। ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু তা'আলা এর স্ত্রী এবং আম্মার রাঃ এর মা। নবীজি তার আত্মত্যাগের জন্য জানাতে সুসংবাদ দেন।
হযরত উম্মে সুলাইম (রাঃ) তিনি ছিলেন অন্যতম জান্নাতের সংবাদপ্রাপ্ত নারী। এছাড়া তিনি ছিলেন আনাস ইবনে মালিকের মা। নবীজি বলেছেন"আমি জান্নাতে উম্মে সুলাইমের পায়ের শব্দ শুনলাম।
উম্মে হারাম (রাঃ) তিনি ছিলেন উম্মে সুলাইমের বোন। এবং জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত অন্যতম মহীয়সী নারী। নবীজির স্বপ্নে দেখেন তিনি জাহাজে করে জিহাদে যাচ্ছেন এবং জান্নাতপ্রাপ্ত।
হযরত উম্মে আম্মরা নুসাইবা বিনতে কাব (রাঃ) তিনি ওহুদের যুদ্ধে নবীজিকে রক্ষা করেন নিজে আহত হয়ে। তার জন্য জান্নাত কামনা করেন। ইসলামের পথে যারা জিহাদ করেছেন তারাই জান্নাতে সুসংবাদ দিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ও ফজিলত দোয়াসহ বিস্তারিত
হযরত মারিয়া কিবতিয়া (রা:) তিনি ছিলেন নবীজির স্ত্রী, ইব্রাহিমের মা। অর্থাৎ নবীজির একটি ছেলে সন্তানের নাম ছিল ইব্রাহিম যে অকালে মারা গিয়েছিল। ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নবীজির ঘরণী হিসেবে মর্যাদা পান। অনেকে তাকে জানার প্রাপ্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হযরত আসিয়া বিনতে মুজাহিম (রাঃ) তিনি ছিলেন ইসলামের অন্যতম একজন ঈমানদার নারী এছাড়া তিনি ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন। একমাত্র ইসলামবিরোধী শাসক। কুরআনের দোয়া এসেছে,"হে আমার প্রভু! আমাকে জান্নাতে তোমার কাছে একটি ঘর দাও"।
হযরত হাফসা (রা:) হযরত হাফসা ছিলেন ইসলামের নতুন খলিফা হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা এর কন্যা এবং রাসূলের স্ত্রী। কুরআন সংরক্ষণের কাজে তার ঘর ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত একজন নারী।
হযরত উম্মে আতিয়া (রা:) তিনি ছিলেন ইসলামের অন্যতম মহীয়সী নারী যিনি জান্নাত লাভের ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। তিনি নারীদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন। নবীজি তার ইবাদত দান এবং সহযোগিতা দেখে জান্নাতের ইঙ্গিত দেন।
হযরত খাওলা বিনতে হাকিম (রা:) তিনি ছিলেন খুবই সম্মানিত একজন নারী। তিনি ছিলেন প্রাথমিক যুগের সাহাবীয়া ও সহযোদ্ধা। নবীজি তার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন এবং দোয়া করেছিলেন জান্নাতের জন্য।
নবীজির প্রিয় মহিলা সাহাবীদের নাম
নবীজির প্রিয় মহিলা সাহাবীদের নাম বেশিরভাগ মানুষের অজানা। তবে মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করে আমাদের ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। সেই হিসেবে মহিলা সাহাবী কিংবা ছেলে সাহাব সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। তবে যারা আগে থেকে জান্নাতে সুসংবাদ পেয়েছিলেন তাদের জীবনী পড়লে ইসলাম সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যাবে। জ্ঞান চর্চা করতে হলে অবশ্যই ইসলামের ইতিহাস পড়তে হবে।
- হযরত খাদিজা (রা:)
- হযরত আয়েশা (রা:)
- হযরত আসমা (রা:)
- হযরত উম্মে সালমা (রাঃ)
- হযরত জয়নাব বিনতে জাহোস (রাঃ)
- হাফসা বিনতে ওমর (রাঃ)
- জুয়াইরিয়া বিনতে আল হারিস (রাঃ)
- রায়হানা বিনতে জায়েদ (রাঃ)
- সওদা বিনতে জামআ (রাঃ)
- হযরত উম্মে আম্মারা (রাঃ)
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: সর্ব প্রথম কোন নারী সবই জানাতে সুসংবাদ পান?
উত্তর: হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা তাকে আল্লাহ তায়ালা সরাসরি জান্নাতের ঘরের সুসংবাদ দেন (সহীহ বুখারী)।
প্রশ্ন: কোন সাহাবীয়ার পায়ের আওয়াজ জানাতে শুনেছিলেন রাসুল (সাঃ)?
উত্তর: উম্মে সুলাইম (রাঃ)
প্রশ্ন: কোন শাহাবিয়া ওহুদের যুদ্ধে নবীজিকে রক্ষা করতে অস্ত্র হাতে নেন?
উত্তর: উম্মে আম্মারা (রাঃ)।
প্রশ্ন: জান্নাতি নারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ চারজন নারী কারা?
উত্তর: মারিয়াম (আ:), ফাতিমা (রাঃ), খাদিজা (রাঃ) ও আসিয়া (ফেরাউনের স্ত্রী)।
প্রশ্ন: কোন নারী সাহাবীর জন্য কুরআনে আয়াত নাজিল হয় তার পক্ষে?
উত্তর: হাওলা বিনতে সালাবা (রাঃ)-সূরা মুজাদিলা
কুরআনে বর্ণিত মহিলা সাহাবীর নাম
কুরআনে বর্ণিত মহিলা সাহাবীর নাম সীমিত আকারে রয়েছে। কারণ সকল জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম কুরআনে বর্ণিত নাই তবে বেশিরভাগ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে। কারণ হাদিসে উল্লেখিত না থাকলে হয়তো এ সকল সাহাবীয়ার নাম সম্পর্কে জানা হত না। তবে এদের মধ্যে কেউ ছিলেন অশেষ প্রশংসার অধিকারী কেউ ছিলেন নবীদের স্ত্রী কন্যা বা মুমিন নারী। চলুন কুরআনে কোন সূরায় মহিলা সাহাবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুনঃ আজকের নামাজের নিষিদ্ধ সময় - নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট
- খাদিজা বিনতে খোয়ালিদ (রাঃ) - সূরা আদ-দোহা ও ইনশিরাহ
- আয়েশা বিন্তে আবু বকর (রাঃ) - সূরা নূর
- হাফসা বিনতে ওমর (রাঃ) - সূরা তাহরীম
- মারিয়া কিবতিয়া (রাঃ) - সূরা তাহারিম
- উম্মে সালামা (রা:) - সূরা আহযাব
- আসমা বিনতে উমাইস (রা:) - সূরা আহযাব
- উম্মে আম্মারা - সূরা তাওবা
- উম্মে আতিয়া (রা:) - সূরা মুনতাহিনা
- জয়নাব বিনতে যাহশ - আহজাব
- হযরত ফাতেমা (রাঃ) -সূরা দাহর
হাদিসে বর্ণিত মহিলা সাহাবীর নাম
হাদিসে বর্ণিত মহিলা সাহাবীর নাম উল্লেখ রয়েছে। কারণ কোরআনে চাইতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাদিসেই মহিলা সাহাবীয়াদের নাম উল্লেখ আছে। এরা ছিলেন অসীম মহানুভবতার অধিকারী। মহিলা সাহাবী হয়েছিলেন একমাত্র আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং পুরানো হাদিসের আলোকে জীবন যাপন করা এছাড়া জীবনে তারা অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা এবং ধৈর্য ধারণ করেছেন। হাদিসে বর্ণিত মহিলা সাহাবীদের নাম উল্লেখ করা যায়।
- উম্মে রোমান (রাঃ)
- সুমাইয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা
- উম্মে হারাম (রাঃ)
- উম্মে সুলাইম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা
- উম্মে ফজল (রাঃ)
- লুবাবা আল কুবরা (রাঃ)
- লুবাবা আস-সুগরা (রাঃ)
- খাওলা বিনতে হাকিম রাদিয়ালাহু তা'আলা
- সাফিয়া রাদিয়ালাহু তায়ালা
- উম্মে আব্দুল্লাহ বিনতে আবু বক্কর রাঃ
- উম্মে আম্মারা বিনতে কাব (রাঃ)
- উম্মে সফওয়ান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা
- ফাতিমা বিন্তে আসাদ (রাঃ)
- হাবিবা বিনতে সাখর (রাঃ)
- জয়নাব বিনতে রাসুল (রাঃ)
- রুকাইয়া বিনতে রাসুল (রাঃ)
- উম্মে কুলসুম বিনতে রাসুল (রাঃ)
- উম্মে হানি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা (রাঃ)
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীর নাম
জান্নাতে সুসংবাদ প্রত্যাশা এদের নাম গুণাক্ষরে কামের ইতিহাসে দেখা রয়েছে। নবী কারীম সা এর জীবন দশায় যে সকল সাহাবীকে জানাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল তাদের সংখ্যা হাদিস অনুযায়ী অনেক জান্নাতে সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম এতক্ষন আলোচনা করেছি চলুন এখন সাহাবীদের নাম উল্লেখ করা যাক।
- আবু বক্কর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাতালা
- ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা
- উসমান ইবনে আফফানা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা
- তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ)
- জুবায়ের ইবনে আওয়াম (রাঃ)
- আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ)
- সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ)
- সাঈদ ইবনে যায়েদ (রাঃ)
- আবু উবাইদা আমের ইবনে যাররাহ (রাঃ)
- হাসান ইবনে আলী (রাঃ)
- হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ)
- সালমান আল ফারসি (রাঃ)
- আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ)
জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: হিজরতের সময় খাদ্য পানি পৌঁছানো তে সাহায্যকারী সাহাবী নারী কে?
উত্তর: আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ)।
প্রশ্ন: কোন সাহাবিয়া দানশীলতায় বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর: জয়নাব বিনতে যাহশ (রাঃ)।
প্রশ্ন: উহুদের যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহসী নারী সাহাবিয়াকে?
উত্তর: উম্মে আম্মারা (রাঃ)।
প্রশ্ন: কোন নারী সাহাবী নবীজিকে বলেন নারীদের জন্য কুরআনে কিছু নেই?
উত্তর: উম্মে উমারা, পরে তার জন্য সূরা আহযাব এর আয়াত নাজিল হয়।
প্রশ্ন: কোন নারী সাহাবী রাসূল সাল্লাম কে স্বপ্নে পান জান্নাতে?
উত্তর: কিছু হাদিস বর্ণনায় দেখা যায়-উম্মে হারাম (রাঃ)।
শেষ মন্তব্যঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
নবীজির জীবন দশায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন অনেক সাহাবী এবং সাহাবীয়া। ইসলামের ইতিহাস পড়লে আমরা সকল সাহাবীদের জীবনী সম্পর্কে এবং তাদের ঈমান, তাকওয়া, ত্যাগ ও ইসলামের প্রতি আত্মনিবেদনের উজ্জ্বল উদাহরণ গুলো জানতে পারবো। ইসলামের ইতিহাসে নারীরা শুধুমাত্র জান্নাতপ্রাপ্ত ছিলেন না বরং তারা ইতিহাসের আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে পরিচিত। তাদের জীবনে থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি বিশেষ করে ঈমান, ধৈর্য, সাহস ও আত্মত্যাগের শিক্ষা নিতে পারি।