শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই চলমান বিশ্বে তার ক্রমবর্ধমান গতি এবং তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সাথে মোবাইল ফোনের আসক্তি বিষয়টা যেন আমাদের কাছে একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুরাও এর থেকে পিছিয়ে নেই। কারণ, আমরা যারা বাবা-মা আছি তারা তাদের অতিরিক্ত কর্ম-ব্যস্ত থাকার কারণে শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের উপর ঠিকমতো মনোযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর ফলে শিশুরা সহজেই স্মার্ট ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এমনকি তারা রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়ছে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে ‘শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায় ’ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো, ইনশাল্লাহ্।
পেজ সূচিপত্রঃ শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
- শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
- কি কি কারণে শিশুরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে থাকে?
- শিশুদের ফোন আসক্তির লক্ষণসমূহ
- মোবাইল ফোন আসক্তির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
- প্রশ্ন ও উত্তরঃ শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
- পোস্টের শেষ কথাঃ শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। তাদের বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলি মোবাইল ফোন আসক্তি (একটি জীবন-হুমকিপূর্ণ) দ্বারা দখল করছে।
অনেক সময় বাবা-মায়েরা বিভিন্ন কারণে শিশুর হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন। দেখতে দেখতে মোবাইল ফোনের ওপর শিশুর আসক্তি তৈরি হয়ে যায়। বাইরে খেলতে না গিয়ে শিশুরা মোবাইল ফোন নিয়ে বাসায় বসে থাকে। খাবার সময়ও তাো মোবাইল ফোন রাখতে চায় না। আর এভাবেই শিশুর নানা রকম শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৩-৫ বছর বয়সী প্রায় ৯৫.০% শিশু স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ৮, ১১ এবং ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে যথাক্রমে প্রায় ২৩%, ৫৩% এবং ৯৫% শিশু স্মার্ট মোবাইল ফোন ডিভাইসের মালিক।
আরো পড়ুনঃ শীতে শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যা - বিস্তারিত আলোচনা
তবে আমরা বাবা-মায়েরা চাইলেই কিন্তু শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি বিভিন্ন উপায়ে প্রতিরোধ করতে পারি। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
- বাটন মোবাইল ব্যবহার: মোবাইল অনেক সময় আমাদের যোগাযোগের জন্য প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আপনার শিশুকে যদি সম্ভব হয় বাটন মোবাইল ব্যবহার করতে দিন। আর যখন শিশু বাহিরে যাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করার জন্য তাকে বাটন মোবাইল দিন। বিশেষ করে সারারাত যাতে তার হাতে মোবাইল না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার শিশুর সারা রাত মোবাইল চালানোর একটা প্রবণতা থেকে যায়।
- মোবাইলের পরিবর্তে ডেস্কটপ ব্যবহার: যদি আপনার শিশুেকে টেকনো ফ্রেন্ডলি করতেই হয় তাহলে তাকে ডেস্কটপ অর্থাৎ পিসি ব্যবহার করতে দিন। এবং সেটা খোলামেলা জায়গায় রাখুন যাতে আপনার শিশু যখন ইন্টারনেটে যাবে তখন আপনি তাকে সুপারভাইজ করতে পারেন বা আপনি যখন বাসায় থাকবেন।
- ওয়াইফাই ব্যবহার: আপনার শিশু যদি মোবাইল ফোনের আসক্তি প্রথম অবস্থায় থাকে তাহলে ওয়াইফাইটা বন্ধ করে দেন অথবা একটা নির্দিষ্ট সময় বেধে দেন বা রুটিন করে দিতে পারেন। এছাড়া শিশু রাতে ফোন ব্যবহার করতে পারবে না সে বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
- শিশুদের বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া: আপনার শিশুকে পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য এন্টারটেইনমেন্ট বা বিনোদনের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। যেমন বাইরের পরিবেশের সাথে অর্থাৎ বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেলামেশা বাড়িয়ে দেওয়া, আত্মীয়-স্বজনদের আমার সাথে মেলামেশা বাড়িয়ে দেওয়া, সামাজিক মেলামেশায় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া, খেলাধুলা করতে দেয়া, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া।
- সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত করা: শিশুরা যে সমস্ত বিষয়ে বেশি আগ্রহী থাকে বা ইন্টারেস্ট পেয়ে থাকে সে সমস্ত কারিকুলাম শেখাতে পারেন। যেমন সাঁতা কাটা শেখাতে পারেন। বিশেষ করে আমরা সেই কাজগুলোই বেশি করতে দিব যেগুলো সে আর দশটা শিশুর সাথে গ্রুপের মাধ্যমে করতে পারে। যেমন সে একটা গানের অনুষ্ঠানে বা সংগীত চর্চার অনুষ্ঠানে থাকতে পারে। কারণ এখানে এসে বিভিন্ন শিশুর সাথে গান গাইতে পারে বা কবিতা আবৃত্তি করতে পারে অথবা স্কাউটের সাথে যুক্ত হতে পারে।
- শিশুর জন্য রং-বেরঙের আকর্ষণীয় বই: আপনার শিশুর জন্য রং-বেরঙের আকর্ষণীয় বই কিনুন, সেগুলো নিয়ে তার সঙ্গে ইন্টারেক্টিভ সময় কাটান। তার সঙ্গে ছড়া বলুন বা গান করুন। শিশু হাসলে ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলে আপনিও হাসুন। বিভিন্ন রং পেন্সিল, রঙিন কাগজ এগুলো নিয়ে তার সঙ্গে বসে ছবি আঁকুন ও রং করুন।
- শিশুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা: আসলে আমরা বাবা-মা শিশুদের সাথে সময় কাটানোর সময় শুধু পড়ালেখা নিয়ে কথা বলে থাকি। কিন্তু শিশুরা এটা পছন্দ করে না। শিশুদের সাথে সময় কাটানোর সময় তাদের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। আর নেতিবাচক মন্তব্য বা কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: আপনার শিশু যদি মোবাইল আসক্তির মাত্রা খুব গভীরে চলে যায় বা অনেক আসক্ত হয়ে পড়েছে সেক্ষেত্রে আপনাকে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতেই হবে। আর তখন আপনি নিজ থেকে চেষ্টা করলে সেটা কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়।
কি কি কারণে শিশুরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে থাকে?
আজকাল বিভিন্ন কারণে শিশুরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। যেমন-
- বাবা-মায়ের ব্যস্ততা: আমাদের বাবা-মায়েদের ব্যস্ততার কারণেই মূলত শিশুরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ব্যস্ততার কারণে শিশুরা একা থাকে তাই মোবাইলই তাদের একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হয়ে ওঠে। কারণ, আকর্ষণীয় বিষয়ে শিশুদের আগ্রহ থাকবে এটা স্বাভাবিক। আবার অনেক বাবা-মা তাদের ছোট সোনামণিদের আদর করে মোবাইল ফোন দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে শিশুটি ধীরে ধীরে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে।
- মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ: বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন হচ্ছে চিত্তবিনোদনের একটি প্রধান মাধ্যম। বিশেষ করে মোবাইল ফোনে শিশুরা বিভিন্ন ধরণের গেমস, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিদিনকার মজাদার বিনোদন ইত্যাদিতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত। আউটডোর গেমস বা বাইরে মাঠে খেলাধূলার কথা মাথায়ই আনতে চায় না তারা। মোবাইল ফোনই একমাত্র বিনোদন বা খেলাধূলার মাধ্যম তাদের কাছে।
- পড়াশোনায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার: আমরা তথ্য-প্রযুক্তির দাস হয়ে গেছি এবং আমাদের শিশুরা সেই দাস হওয়ার পথে। যতদিন যাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতির কারণে পড়াশোনায় ব্যাপকভাবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েই চলছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টের জন্য প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্যতামূলক মোবাইল ব্যবহার করতে হচ্ছে। একইসাথে অনলাইন ক্লাসের কারণেও শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার করতে হচ্ছে।
- সামাজিক প্রভাব: ডিজিটাল বাংলাদেশের সবকিছুই যেন ডিজিটাল হয়ে গেছে আমাদের সমাজে। তারই ফলস্বরূপ মোবাইল ফোন থাকাটা আমাদের জন্য একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা মোবাইল ফোনটাকে একটা গর্বের বিষয় মনে করে থাকে।
তাছাড়া সমবয়সি শিশুরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা যেকোনো শিশুর কাছে ঈর্ষার বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। তাই বন্ধুদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের প্রতিযোগিতা শিশুদের মোবাইলে আসক্তি বাড়িয়ে দেয়।
- পরিবারের অন্য সদস্যদের হাতে মোবাইল: বর্তমান সমাজে পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রায় প্রতিটি সদস্যের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে। ফলে তারা শিশুদের সময় না দিয়ে মোবাইলে বেশি সময় দেয়। যেটা শিশুরা অনুকরণ করে এবং তারাও মোবাইল ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কারণ, বড়রা যা যা করে ছোট ছোট শিশুরা তাই অনুসরণ করে থাকে।
- মস্তিষ্ক বিক্রিয়ার ফল: মোবাইল ফোনে গেম খেলা বা ভিডিও দেখার সময় মস্তিষ্ক থেকে Dopamine নামক একধরনের রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা মানুষকে আনন্দ দেয় এবং আবারো মোবাইল ব্যবহার করার ইচ্ছা জাগায়। ফলে কোনো শিশু একবার মোবাইলে মজা পেয়ে গেলে তা বারবার দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে।
শিশুদের ফোন আসক্তির লক্ষণসমূহ
শিশুদের মধ্যে মোবাইল ফোন আসক্তির বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় যেমন-
- মোবাইল ফোনে বেশি বেশি সময় কাটানোর জন্য পড়াশোনা, খেলাধূলা এবং অন্যান্য সামাজিক কার্যকলাপ এড়িয়ে চলা।
- মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দিলে বা বাধা দিলে রাগ করা।
- অনলাইনে যা দেখেছেন তা নিয়ে প্রায় সময়ই কথা বলা।
- অন্য মানুষের সাথে কথা বলার সময় তাকে এড়িয়ে চলা।
- অন্যদের কথা উপেক্ষা করে তাদের ভার্চুয়াল জগতে বাস করা।
- অতিরিক্ত ভিডিও গেম খেলা এবং ইন্টারনেটে অযথা সময় নষ্ট করা।
- অবসর সময়ে অযথা ফোন হাতে রাখা এবং তা নিয়ে নড়াচড়া করা।
মোবাইল ফোন আসক্তির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
শিশুদের মধ্যে মোবাইল ফোন আসক্তির বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যেমন-
- শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যায়
- তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা পরিলক্ষিত হয়
- আচরণগত সমস্যা দেখা যায়
- শিশুদের স্নায়ুবিক অক্ষমতা দেখা দেয়
- মেজাজ খারাপ বা খিটখিটে হতে থাকে
- নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত দেখা দেয়
- তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটতে থাকে
- ঈর্ষাভাব পরিলক্ষিত হয়
- একাকিত্ব দেখা যায়
- অসামাজিক জীবনযাপন করা
- অশ্লীলতায় এবং যৌনতার দিকে ধাবিত হওয়া
- জুয়ার আসক্তি হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ও উত্তরঃ শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
- মোবাইল ফোন ব্যবহারের যেসমস্ত খারাপ দিক পরিলক্ষিত হয় সেগুলো হলো-
- চোখের সমস্যা
- শারীরিক সমস্যা
- ঘুমের ব্যাঘাত
- ঘাড় ও পিঠের ব্যথা
- শ্রবণ শক্তির ক্ষতি
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে পারে
- পড়ালেখা মনোযোগের অভাব
- এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে
- এর একটি হলো Radio Frequency (RF) তরঙ্গ, যা একটি অ-আয়নাইজিং বিকিরণ।
- আর অন্যটি হলো নীল আলো বা Blue Light, যা স্ক্রিন থেকে নির্গত হয়।
- চোখের শুষ্কতা
- চোখে জ্বালাপোড়া
- চোখের উপর চাপ পড়া
- মাথাব্যথা এবং
- ঝাপসা দৃষ্টির মতো সমস্যা হতে পারে, যা ডিজিটাল আই স্ট্রেন বা কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম নামে পরিচিত।
পোস্টের শেষ কথাঃ শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়
‘শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়’ শিরোনামের উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলটি আলোচনার মাধ্যমে আমরা বলতে পারি যে, মোবাইলে আসক্ত শিশুদের হঠাৎ করে মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা যাবে না। তবে মোবাইল ব্যবহারের উপর নজর রাখতে হবে, বাবা-মায়েদেরকে যথাসম্ভব অর্থাৎ প্রয়োজন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার কমাতে হবে এবং শিশুকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও ধর্মীয় অনুশাসনের শিক্ষার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের ভয়ানক আসক্তি থেকে বের করে আনতে হবে। সর্বোপুরি মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফীক্ব দান করুন।



গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url