ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
প্রিয় পাঠক- আসসালামু আলাইকুম, ইউরোপের কোন্ দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য
উপযুক্ত- সেই বিষয়েই আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আমরা যারা ছোটবেলা
থেকেই ভালো মানের পড়াশোনা অর্থাৎ উন্নত ও উচ্চতর পড়াশোনা করার ইচ্ছা পোষণ করে
থাকি তাদের মনে একটাই প্রশ্ন কোথায় পড়াশোনা করবো।
বিশেষ করে তাদের পছন্দের তালিকায় ইউরোপের দেশগুলোর উপর প্রধান্য থাকে বেশি।
যেখানে শিক্ষার্থীরা বহু-সংস্কৃতির একাডেমিক পরিবেশে পড়ালেখা করতে পারেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
- ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
- ইউরোপে উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত বিভিন্ন দেশ সমূহ
- ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে কিছু আলোচনা
- ইউরোপের দেশ ফ্রান্স সম্পর্কে কিছু তথ্য
- ইতালিতে পড়াশোনা সম্পর্কে কিছু তথ্য
- জার্মানি উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে কিছু আলোচনা
- উচ্চশিক্ষায় ইউরোপীয় দেশ স্পেন
- সুইডেনে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা কেমন
- ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া এবং উচ্চশিক্ষা
- নেদারল্যান্ডসে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
- বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা কেমন - জেনে নিন
- প্রশ্ন ও উত্তরঃ ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
- পোস্টের শেষ-কথাঃ ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
উন্নত ও উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য ইউরোপের কোন দেশগুলো উপযুক্ত সেটা আগে
নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশে পড়ালেখায় আগ্রহী বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পছন্দের
তালিকায় থাকে ইউরোপের দেশগুলো।
যেখানে রয়েছে মহাদেশের প্রাচীনতম সংস্কৃতি, বৈচিত্র্যময় ইতিহাস। এখানে রয়েছে
নানাবিধ সুবিধা যেমন- ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিতি লাভ করা, বিভিন্ন
আকর্ষণীয় স্থাপত্য পরিদর্শন, নতুন নতুন ভাষা শেখা।
ইউরোপের অনেক দেশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে
শিক্ষার্থীরা বহু-সংস্কৃতির একাডেমিক পরিবেশে পড়ালেখা করতে পারেন। আন্তর্জাতিক
ভাষার প্রোগ্রামের আধিক্য থাকায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
এখানকার প্রোগ্রামগুলো সমস্যা-সমাধান বিষয়ক শিক্ষা ও অত্যাধুনিক গবেষণা কাজের
জন্য পরিচিত। সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল দেশগুলোতে উচ্চমানের জীবন উপভোগ করারও
সুযোগ রয়েছে।
ইউরোপে উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত বিভিন্ন দেশ সমূহ
ইউরোপে পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত বিভিন্ন দেশ সমূহের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কয়েকটি
দেশের নাম উল্লেখ করা হলো।
যেমন:
- সুইজারল্যান্ড
- ফ্রান্স
- ইতালি
- জার্মানি
- স্পেন
- অস্ট্রিয়া
- নেদারল্যান্ডস
- পোল্যান্ড
- পর্তুগাল
- নরওয়ে
- ডেনমার্ক
- সুইডেন
- আয়ারল্যান্ড
- বেলজিয়াম
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে কিছু আলোচনা
সুইজারল্যান্ড সম্ভবত অন্য যেকোনো ইউরোপীয় দেশের তুলনায় সাংস্কৃতিকভাবে
বৈচিত্র্যময়। এর চারটি জাতীয় ভাষা রয়েছে যা ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন
অঞ্চলে বা ক্যান্টন-এ প্রভাবশালী।সহনশীলতা, নিরপেক্ষতা এবং প্রত্যক্ষ
গণতন্ত্রের জন্য বিখ্যাত। সুইজারল্যান্ডে রয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবনযাত্রার
মান৷
বিলাসবহুল ঘড়ি ও ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের দেশ হিসেবে নয়,
ক্যারিয়ার-কেন্দ্রিক ও যুগান্তকারী গবেষণার জন্যও বিখ্যাত সুইজারল্যান্ড।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অসংখ্য প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
সুইস বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করা যায় খুব সহজে।
ইউরোপের দেশ ফ্রান্স সম্পর্কে কিছু তথ্য
পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের
উদ্বুদ্ধ করে এদেশের উচ্চশিক্ষা লাভ করতে। যেখানে রয়েছে উন্নত জীবনযাত্রা,
শক্তিশালী অর্থনীতি ও মানসম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সম্বৃদ্ধ এদেশ।
ফ্রান্সে পড়ালেখার প্রধান ভাষা হলো ফ্রেঞ্চ ভাষা। তবে ইংরেজিতেও পড়ালেখা করা
যায়। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি জানা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আইইএলটিএস
(IELTS) বা টোফেল করা থাকলেও চলবে। আন্ডার গ্রাজুয়েটের জন্য ৫.০- ৫.৫
আইইএলটিএস (IELTS) এবং ৫৫০ টোফেল স্কোর এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের জন্য
সাধারনত ৬.০ আইইএলটিএস (IELTS) এবং ৬০০ টোফেলস্কোর দরকার হয়।
ফ্রান্সে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে, সেগুলোর আন্তর্জাতিক
র্যাংকিং দেখলেই এখানকার একাডেমিক পরিবেশ কেমন তা ধারণা করা যায়। আপনি
যদি ফ্যাশনে আগ্রহী হন তাহলে ফরাসি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন
করতে পারেন।
ইতালিতে পড়াশোনা সম্পর্কে কিছু তথ্য
ইতালিতে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থান। ইতালিতে
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। দেশটি
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বৃত্তি প্রদান করে থাকে এবং এর শিক্ষার
খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক ছাত্রদের অনেক কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিকল্প আছে, ইতালিতে
অনেক প্রযুক্তিগত, চিকিৎসা, ব্যবসা এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
স্নাতক ডিগ্রির কোর্সের সময়কাল তিন বছর, এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দুই বছর।
অন্যান্য সুবিধা সমূহ:
- বিভিন্ন বিশেষীকরণে অনেক শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান
- আন্তর্জাতিক ছাত্রদের দ্বারা সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্যস্থান
- সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার ব্যয়
- উচ্চ-মানের শিক্ষা এবং সুগঠিত পাঠ্যক্রম
- আপনি উল্লেখযোগ্যভাবে কম খরচে দেশের অনেক জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন।
- শতকরা ৯৮ ভাগ ছাত্র ভিসা সাফল্যের হার।
জার্মানি উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে কিছু আলোচনা
উচ্চ শিক্ষা অর্জনে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা জার্মানি যাচ্ছে
উল্লেখযোগ্য হারে। উন্নত শিক্ষার পাশাপাশি উন্নত জীবন-যাপনের
জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ ইউরোপিয়ান দেশ জার্মানি।
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় প্রায় ৪২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে ১০৬টি
বিশ্ববিদ্যালয়, ২১৬টি অ্যাপ্লাইড সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়, মিউজিক ও ফাইন আর্ট
বিষয়ক ৫২টি কলেজ এবং ১৬টি থিওলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য, ছাত্রবৃত্তিসহ অন্যান্য তথ্যের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোর মধ্যে জার্মান একাডেমিক একচেঞ্জ সার্ভিস DAAD (
https://www.daad.de/en/ )
গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন সাবজেক্টের তালিকা ও স্কলারশিপের তথ্য পাবেন।
এছাড়া জার্মানিতে বর্তমানে পড়ছেন এমন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরাসরি
পরামর্শ নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
উচ্চশিক্ষায় ইউরোপীয় দেশ স্পেন
উচ্চশিক্ষায় ইউরোপীয় দেশ স্পেন এখন অন্যতম একটি গন্তব্যস্থল। স্পেনে
উচ্চশিক্ষা নেওয়ার অন্যতম সুবিধা হলো, এখানে তুলনামূলকভাবে কম খরচে পড়াশোনা
করা যায়। জীবনযাত্রার ব্যয়ও হাতের নাগালে।
স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ
রয়েছে যা আপনাকে পড়াশোনার খরচ সামলাতে সহায়ক হবে।
স্পেনে পড়াশোনা করতে গেলে আইইএলটিএস (IELTS) স্কোর প্রয়োজন হতে পারে,
যদিও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়াও আবেদন গ্রহণ করে।
ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি ৭৫০ থেকে ২৫০০ ইউরো এবং মাস্টার্স
প্রোগ্রামের জন্য ১৮০০ থেকে ৩৫০০ ইউরো হতে পারে।
সুইডেনে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা কেমন
উত্তর ইউরোপের আধুনিক একটি দেশ হচ্ছে সুইডেন। সুইডেনে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার
ক্ষেত্রে- আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রচুর স্কলারশিপ, স্বাধীন চিন্তার সুযোগ,
শান্ত পরিবেশ, গ্রুপ ওয়ার্ক উল্লেখযোগ্য। সুইডেনের উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে
বিশ্বের প্রায় ৮০ টি দেশের শিক্ষার্থীরা পিএইচডি গবেষণারত আছেন।
সুইডেনের অফিসিয়াল ভাষা সুইডিশ হলেও প্রায় ৯০% মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে
পারে। তাই সেখানে ইংরেজিকে Second ল্যাংগুয়েজ বলা হয়। এখানে সুইডিশ ও ইংরেজি
উভয় মাধ্যমেই পড়াশুনা করা যায়।
সুইডেনের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
- কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজ
- লুন্ড ইউনিভার্সিটি
- ·উপসালা ইউনিভার্সিটি
- স্টকহোম ইউনিভার্সিটি
- চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
- ইউনিভার্সিটি অব গোথেনবার্গ
- ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট
- লিন্কোপিঙ ইউনিভার্সিটি
- উমিয়া ইউনিভার্সিটি
- হালম্স্ট্যাড ইউনিভার্সিটি
এগুলো শুধু সুইডেনের শীর্ষস্থানীয় নয় বরং ইউরোপসহ পুরো বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।
ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া এবং উচ্চশিক্ষা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ইউরোপের দেশ আস্ট্রিয়া। ভিয়েনা রাজধানী আর
ইউরো মুদ্রা বিশিষ্ট আস্ট্রিয়ার ভাষা জার্মান/ডয়েচ। যাদের ইচ্ছা বাইরের
দেশের ডিগ্রী তাদের জন্য বিশ্ব আজ উন্মুক্ত। যে কোন দেশের যে কোন
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউরোপ অনেকের প্রিয়
ডেস্টিনেশন বা গন্তব্যস্থল।
অস্ট্রিয়ার প্রধান পড়াশুনার ভাষা জার্মান হলেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য
ইংরেজী ভাষায় কোর্সও রয়েছে। আপনি যদি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে যেতে চান তাহলে
HSC + ১ বছর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে। সেই সাথে ন্যূনতম ৫০%
মার্ক্স অর্জন করতে হবে।
এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রী
আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী প্রয়োজন হবে।
অস্ট্রিয়ার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-
- University of Vienna
- Vienna University of Technology
- Medical University of Vienna
- University of Graz
- Graz University of Technology
- University of Innsbruck
- Vienna University of Economics and Business
নেদারল্যান্ডসে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস (হল্যান্ড)। এটা হচ্ছে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের একটি দেশ। নেদারল্যান্ডসের
আবহাওয়া, পরিবেশ, শিক্ষাব্যবস্থা এবং উচ্চশিক্ষার খরচ সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক
শিক্ষার্থীদের কাছে দেশটি বেশ জনপ্রিয়।
ডাচ্ শিক্ষাব্যবস্থা খুবই উন্নত ও গবেষণাকেন্দ্রিক। দেশটির জাতীয় ভাষা
ডাচ্ হলেও নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি
ইংরেজি শেখানোর প্রোগ্রাম রয়েছে। মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি বছরে
৮,০০০–২০,০০০ ইউরো।
তবে দেশটিতে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপ রয়েছে- যেগুলি তারা
স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফল ও GMAT স্কোরের উপর ভিত্তি করে প্রদান করে।
নেদারল্যান্ডসে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবেশী দেশগুলোতেও কাজের সুযোগ
পেয়ে থাকেন।
নেদারল্যান্ডসের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ-
- University College Amsterdam.
- Erasmus University College.
- University College Friesland.
- Leiden University College The Hague.
- University College Groningen.
- University College Maastricht
বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা কেমন - জেনে নিন
বৃত্তি নিয়ে ইউরোপে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অনেকেরই। আর ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম
হতে পারে আপনার স্বপ্নের গন্তব্যস্থল। এই দেশে আইইএলটিএস((IELTS)) ছাড়াই
সম্পূর্ণ অর্থায় অধ্যায়ের সুযোগ রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য
আছে নানাবিধ বৃত্তিও।
যেমন-
- গভর্মেন্ট অব বেলজিয়াম স্কলারশিপ
- মাস্টার মাইন্ড স্কলারশিপ
- ইরাসমাস মুন্ডাস মাস্টার্স স্কলারশিপ
- ভিএলআইআর-ইউওএস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
- গ্লোবাল মাইন্ডস ডক্টরাল স্কলারশিপ
উপরের বৃত্তি ছাড়াও বেলজিয়ামের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলইটিএস
ছাড়াই পড়তে পারবেন। এগুলো হলো-
- Vrije Universiteit Brussels
- University of Antwerp
- Ghent University
- KU Leuven
- Hasselt University
- U League.
প্রশ্ন ও উত্তরঃ ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
প্রশ্ন:
ইউরোপের কোন দেশে বিনা খরচে পড়া সম্ভব?
উত্তর:
ইউরোপের যেসমস্ত দেশে বিনা খরচে পড়া সম্ভব সেগুলো হলো-
জার্মানি, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মতো কিছু দেশে
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা
খুবই কম খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ আছে।
প্রশ্ন:
কম খরচের দিক থেকে পড়াশোনা করার জন্য ইউরোপীয় দেশ কোনটি?
উত্তর:
কম খরচের দিক থেকে পড়াশোনা করার জন্য ইউরোপীয় দেশ হচ্ছে- পোল্যান্ড,
ফ্রান্স।
প্রশ্ন: ইউরোপে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS- এর স্কোর কত হলে স্কলারশীপ পাওয়া
যায়?
উত্তর:
ইউরোপে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS- এর স্কোর সাধারণ স্কলারশীপের জন্য
কমপক্ষে ৬.৫ থেকে ৭.৫ পর্যন্ত সামগ্রিক স্কোর প্রয়োজন হয়। কিছু
ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট মডিউলে, যেমন রাইটিংয়ে ৭ বা তার বেশি ব্যান্ড স্কোর
চাওয়া হয়।
প্রশ্ন:
IELTS টেস্ট দিতে যা লাগে?
উত্তর:
IELTS টেস্ট দিতে কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়সের
বাধ্যবাধকতা নেই, তবে আপনার একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট থাকা
আবশ্যক। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর হতে হবে।
এছাড়া, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের
পরীক্ষা পাস করতে হবে এবং সে অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট IELTS স্কোর প্রয়োজন
হবে।
পোস্টের শেষ-কথাঃ ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত - বিস্তারিত আলোচনা
ইউরোপের কোন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত- বিষয়টি উপরের আলোচনা থেকে
মোটামোটি একটা আইডিয়া পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন একটি দেশ বেছে
নিতে পারেন উচ্চশিক্ষার জন্য। তবে এখানে আর্থিক বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
কেননা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে উচ্চতর শিক্ষার খরচ অনেকটাই ব্যয়বহুল। এখন
পছন্দ আপনার।
বি: দ্র: এই পোস্টটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আপনার সামনে
উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আশা করি, উপকৃত হবেন। ভালো থাকবেন। আর ভুল
ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।


গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url