বেলারুশ কাজের ভিসা - বেলারুশ ভিসা ফর বাংলাদেশী ২০২৫
বেলারুশ কাজের ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বেলারুশ ইউরোপিয়ান একটি দেশ তাই যার আগ্রহ অনেক বেশি। বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকজন ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহী। তাদের মধ্যে এক নতুন ও সম্ভাবনাময়ী গন্তব্য হলে বেলারুশ।
সূচিপত্রঃ বেলারুশ কাজের ভিসা
- বেলারুশ কাজের ভিসা
- বেলারুশে কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
- যে অভিজ্ঞতা থাকলে ভিসা সহজে মিলবে
- বেলারুশে কাজের ভিসার খরচ কত
- বেলারুশে থাকা-খাওয়া ও জীবনযাপন কেমন
- বেলারুশ কাজের ভিসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
- বেলারুশে কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা
- বেলারুশে যে সকল কাজের চাহিদা রয়েছে
- বেলারুশে কাজের বেতন কত
- বেলারুস ভিসা প্রসেসিং টাইম
- বেলারুশে কাজের ভিসা সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্নোত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ বেলারুশ কাজের ভিসা
বেলারুশ কাজের ভিসা
বেলারুশ কাজের ভিসা হচ্ছে এমন একটি ভিসা যা আপনাকে বেলারুশে বৈধভাবে কাজ বা চাকরি করার সুযোগ প্রদান করা হয়। এ ভিসা মূলত Type D বা long term work visa নামেও পরিচিত। এই ভিসার মেয়াদ মূলত ৯০ দিন থেকে ১ বছর বা তারও বেশি। আর এই ভিসা ওয়ার্ক পারমিট এর ভিত্তিতে ইস্যু করা হয়। বেলারুশ কাজের ভিসা মূলত তাদের জন্য যারা বেলারুশে কাজ করতে আগ্রহী।
বেলারুশে কাজের ভিসা পেতে হলে আপনাকে বেলারুশে বৈধ কোন কোম্পানির কাছ থেকে অফার লেটার বা কাজের কন্ট্রাক্ট সংগ্রহ করতে হবে। এ ধরনের অফ লিটার পাওয়া কিন্তু সহজ নয় যদি আপনার পরিচিত কেউ বেলারুশে থাকে তাহলে আপনি তাদের দ্বারা কোন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কন্ট্রাক্ট বা অফার লেটার পেতে পারেন।
ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন এমন কেউ যদি থাকে তারাই বেলারুশে কাজের জন্য যেতে পারবেন। এছাড়া কাজের ভিসা তাদের জন্য যারা বৈধভাবে থাকতে ও কাজ করতে চান। বেলারুশ একটি উন্নয়নশীল ইউরোপিয়ান দেশ যেখানে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সতর্কতা অবলম্বন করে, সঠিক নিয়মে কাজ করার জন্য এবং ভালো লাগলো আয় ও অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য যেতে পারেন।
বেলারুশ যাওয়ার জন্য যারা ভিসা করতে চান তারা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এজেন্সি খুঁজে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে কাজের অফার পেলে চুক্তিপত্র ভালোভাবে পড়ে বুঝে তবেই ভিসার জন্য আবেদন করা শুরু করবেন। বেলারুশে গিয়ে প্রথমে অভিবাসন অফিসে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, যদি ভুলে যান তাহলে জরিমানা দিতে পারে।
বেলারুশে কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
বেলারুশে কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের কাজ করতে বেলারুশ যেতে চাচ্ছেন তার ওপর। অর্থাৎ পেশা অনুযায়ী বা কাজের ধরন অনুযায়ী অভিজ্ঞতা নির্ভর করে। কারন যারা দক্ষ শ্রমিক তাদের কাজের ধরন আলাদা হয় এবং যারা অদক্ষ শ্রমিক তাদের কাজের ধরন আলাদা।
যেমন ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার কার্পেন্টার, গাড়ি মেকানিক, নার্স, আই টি এ ধরনের কাজগুলোর ক্ষেত্রে কিছুটা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ বেলারুসিয়ান সরকার এই ধরনের কাজগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময় ২-৫ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা চাইতে পারে। প্রমাণস্বরূপ এই কাজগুলোর সার্টিফিকেট কাজের রেফারেন্স বা কোম্পানির সুনামি চিঠি চাইতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
এবং আইটি বা নার্সিং এর ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা বা ট্রেনিং সনদ থাকলে ভালো হয়। কারণ এই ধরনের কাজগুলোতে অভিজ্ঞতা থাকলে তারা অভিজ্ঞতা প্রবণ প্রার্থীকেই বেছে নিবে অর্থাৎ তাদের প্রাধান্য দিবে। তাই যারা এই ধরনের কাজগুলোতে যেতে তা জান তারা অবশ্যই এই কাজগুলোর একটি সনদ নিজের কাছে সুরক্ষিত রাখবেন।
তবে যারা অদক্ষ শ্রমিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই বেলারুশে কাজের জন্য যেতে চান তারা মূলত কৃষিকাজ, খামারি সহকারী, ক্লিনার, হাউজকিপিং, প্যাকেজিং, ফ্যাক্টরির হেল্পার, ওয়্যার হাউজে এ ধরনের কাজগুলো করার জন্য যেতে পারেন। এ ধরনের কাজগুলোতে অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ছাড়াই সুযোগ দেয়া হয়। তবে যাদের পূর্বে অভিজ্ঞতা এবং ট্রেনিং রয়েছে তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যে অভিজ্ঞতা থাকলে ভিসা সহজে মিলবে
যে অভিজ্ঞতা থাকলে ভিসা সহজে মিলবে কথাগুলো যদি আপনারা আগে থেকেই জেনে থাকেন তাহলে দেশের বাইরে যে কোন দেশে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য সুবিধা হবে। প্রত্যেকেই জানে যে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজের আগে অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে দেয়, কারণ যে প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিবেন, সেই কর্মচারী গুলো যদি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয় তাহলে তাদের কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
তাই দেশে কিংবা বিদেশে কাজের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই কোন একটি নির্দিষ্ট বা ২-৫ টি কাজ শিখে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যে সকল অভিজ্ঞতা থাকলে কাজে লাগবে সেগুলো হলো।
- বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে ফিল্ড কাজের জন্য।
- ট্রেনিং সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ।
- পূর্ববর্তী বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাওয়া।
- স্বাস্থ্য ভালো থাকা অত্যন্ত জরুরি।
- রেফারেন্স লেটার কাজে লাগে।
বেলারুশে কাজের ভিসার খরচ কত
বেলারুশে কাজের ভিসার খরচ কত এ ধরনের চিন্তা তারাই করেন যারা প্রবাসে যাওয়ার আগ্রহ রয়েছে। চলুন যারা বিভিন্ন তাগিদে বেলারুশে কাজের ভিসায় যেতে চান তাদের তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ বেলারুশে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য কত খরচ হয় তার আনুমানিক খরচ সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
বেলারুসে ভিসা ফি আনুমানিক ২৫-৩০ টাকা। তবে এটি ফিক্সড নয় চেঞ্জ হতে পারে এর চাইতে বেশি হতে পারে যেহেতু ইউরোপিয়ান দেশে যাওয়া তাই বেশি হওয়ায় সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া মেডিকেল টেস্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, এজেন্সি ফি, বিমান টিকিট সহ আনুমানিক খরচ ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। তবে অবশ্যই আপনাকে ৭-৮ লক্ষ টাকা ধরে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
কারণ সিজন অনুযায়ী সকল খরচ পরিবর্তন হতে পারে এছাড়া বিভিন্ন এজেন্সির উপরে খরচ নির্ভর করে তাই আপনি সর্বপ্রথম একটি বিশ্বস্ত এজেন্সি পছন্দ করে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। শুধু এজেন্সির উপর নির্ভর করে তা নয় বেলারুশে কাজের ভিসার বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে বিভিন্ন সেক্টর কিংবা ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ পরিবর্তন হয়।
বেলারুশে থাকা-খাওয়া ও জীবনযাপন কেমন
বেলারুশে থাকা-খাওয়া ও জীবনযাপন কেমন এ ব্যাপারে অনেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। বেলারুশ যেহেতু একটি ইউরোপিয়ান দেশ তাই অনেকেই এ দেশ টিতে যেতে চান কিন্তু বুঝে উঠতে পারেন না সেখানে থাকা খাওয়া জীবন যাপন কেমন হবে, আদৌ সেখানে টিকে থাকা সম্ভব কিনা?
তবে আপনাদের জন্য একটি পরামর্শ থাকবে অবশ্যই কোন দেশে যাওয়ার আগে কিংবা ভিসা লাগানোর আগে সেখানকার কাজের ধরন থাকা-খওয়া পরিবেশ বেতন ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন। অনেক ফ্যাক্টরি বা কোম্পানি ডরমেটরি বা শোয়ার রুম দিয়ে থাকে।
সাধারণত একটি রুমে ৪-৬ জন থাকার ব্যবস্থা থাকে। এবং কোন রুমে সিঙ্গেল বেড থাকে আবার কোন রুমে একটি বেডের ওপরে আরেকটি বেডজোড়া লাগানো থাকে। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এসব কিছু ফ্রি। সেখানে বাংলাদেশী চাল পাওয়া যায় না তবে রাশিয়ান পাওয়া যায়। নিজে রান্না করে খেলে খরচ বাংলাদেশী টাকায় ২০০০০ থেকে ৩৫০০০ টাকা পড়বে।
সেখানে শীত একটু বেশি। তাই শীতকালের জন্য গরম কাপড় চোপড় নেওয়া জরুরি। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সহজ লোবো বাস, মেট্রোরেল ইত্যাদি। ট্রাফিক আইন কঠোর কিন্তু সুশৃংখল। হোটেলে খেলে খরচ বেশি পড়বে তবে যারা নিজেরা রান্না করতে জানে তাদের খরচ কিছুটা কম হবে।
বেলারুশ কাজের ভিসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: বেনারসের কোন ভিসা টি কাজের জন্য?
উত্তর: 'Type D' ভিসা বা long- term work visa।
প্রশ্ন: বেলারুসে কাজ করার জন্য কি ওয়ার্ক পারমিট দরকার?
উত্তর: হ্যাঁ, কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট থাকা বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন: ওয়ার্ক পারমিট কে ইস্যু করে?
উত্তর: বেলারুশের নিয়োগ দাতা প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্ন: ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে?
উত্তর: সাধারণত ২০ থেকে ৩০ কার্য দিবস।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আবেদন করা যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, চাকরি ও পারমিট থাকলে সরাসরি ভিসা আবেদন করা যায়।
বেলারুশে কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
বেনারসের কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করুন তাহলে কাজের ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। তবে এখন আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
প্রথমত যারা বেনারসে কাজের জন্য যেতে চান তারা একটি বৈধ নিয়োগকর্তা থেকে কাজের অফার বা contract সংগ্রহ করবেন। এরপর বেলারুশের অভিবাসন দপ্তরে নিয়োগকর্তা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে। যখন আপনি ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবেন এরপর বাংলাদেশে বেলারুশ দূতাবাস বা অফিসের ভিসার জন্য আবেদন করা শুরু করবেন।
এরপর আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন এবং সাক্ষাৎকার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে দিতে পারেন। ভিসা অনুমোদিত হলে এরপর আপনি বিমান টিকিট সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করতে পারেন। এরপর সকল কার্যক্রম ঠিক হলে বিমান টিকিট সংগ্রহ করতে পারলে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা গুলো আপনাদের সুবিধার জন্য সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলো। এখন পর্যন্ত জানেন না বেলারুশে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করেন কিংবা খোঁজ করেন তারা আজকের এই পোস্টে এই সূচিপত্র থেকে আপনার বিভিন্ন অজানা তথ্য জেনে নিতে পারেন।
- প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
- ওয়ার্ক পারমিট অর্থাৎ বেলারুশ থেকে পাঠানো ওয়ার্ক পারমিটের কাগজ।
- নিয়োগপত্র, কাজের অফার লেটার।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট অর্থাৎ স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট যদি চাওয়া হয়।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি যতগুলো চাইবে তত গুলো।
- ভিসা আবেদন ফরম।
- ভিসার জন্য ফি জামা দেওয়ার রশিদ।
- আপনার দক্ষতার বা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট যদি চাওয়া হয়।
- ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা পোস্ট ভিত্তিক।
- করোনা বা কোভিড এর সার্টিফিকেট।
বেনারুশে যে সকল কাজের চাহিদা রয়েছে
বেনারসি যে সকল কাজের চাহিদা রয়েছে এ সকল কাজগুলো যদি অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাওয়া যায় তাহলে সেখানে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। বর্তমানে ইউরোপের একটি উন্নয়নশীল দেশ বেলারুশ আর সেখানে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলো থেকে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
- রাজমিস্ত্রি
- ইলেকট্রিশিয়ান
- টাইলস মিস্ত্রি
- প্লাম্বার
- ওয়েল্ডার
- লেবার
- পেইন্টার
- ফ্যাক্টরি হেলপার
- প্যাকেজিং ওয়ার্কার
- ওয়ার হাউজে কর্মী
- খামারের পরিচর্যা
- পরিষ্কার পরিছন্নতা কর্মী
- গুদাম হেলপার
- হাউসকিপিং
- ক্লিনার
- ওয়েটার
- গাড়ি মেকানিক ইত্যাদি।
বেলারুশে কাজের বেতন কত
বেলারুশে কাজের বেতন কত এ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা নাই তাই যারা এ ধরনের প্রশ্নগুলো করে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। কাজের বেতন কেমন হয়ে থাকে। যারা একবারেই অভিজ্ঞতা ছাড়াই যেতে চান তাদের বেতন প্রথমত কাজ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। তবে আনুমানিক বেতন ৪০-৫০ হাজার থেকে শুরু হয়।
যখন অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে অর্থাৎ দীর্ঘদিন কাজ করবেন তখন বেতন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। এক বছরের বেশি থাকলে কোম্পানি নিজে থেকেই বেতন বৃদ্ধি করে থাকেন। তবে যারা নির্মাণ শ্রমিক, ফ্যাক্টরি হেল্পার, কৃষি কাজ, হাউস কিপিং, ক্লিনার হিসেবে কাজে যান এদের বেতন ৮০-৯০ হাজার থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
তবে আপনি যদি অভিজ্ঞতা দেখাতে পারেন এবং কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বেশি বেতন আশা করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কাজে যতটা পারদর্শী হবেন এবং তাদের মন জয় করে চলতে পারবেন ততই আপনার বেতন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বেতন নির্ভর করবে দক্ষ, অদক্ষ অভিজ্ঞতা, ট্রেনিং, কোম্পানি ধরন, কাজের সময়, ওভারটাইম বিভিন্ন বিষয়ের উপর।
বেলারুশে কাজের ভিসা প্রসেসিং টাইম
বেলারুশে কাজের ভিসা প্রসেসিং টাইম নির্ভর করে কয়েকটি ধাপের উপরে। প্রথমত ব্লাউজের কাজের জন্য যেতে হলে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হয়। এরপর Type D work visa সংগ্রহ করতে হয়। এরপর যদি কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে আবেদন করতে কোন ঝামেলা না থাকে তাহলে ১-২ মাস সময় লাগে।
তবে কিছু কারণে সময় বেশি লাগতে পারে। যেমন: ডকুমেন্ট ইনকমপ্লিট থাকলে, কোম্পানি দেরিতে আবেদন করে, দূতাবাসের ভিসা প্রসেসে ঝামেলা থাকে, মৌসুম ভিত্তিক ভিসার চাপ বেশি থাকে। এছাড়া যদি সরকারিভাবে বেলারুশে ভিসা করতে চান তাহলে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লাগতে পারে অর্থাৎ ৩ থেকে ৬ মাস সময় বেশি লাগতে পারে। বেসরকারিভাবে ভিসা প্রসেসিং করলে সময় কম লাগবে কিন্তু টাকা বেশি লাগে।
বেলারুশে কাজের ভিসা সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কি বেলারস দূতাবাস আছে?
না, নিকটতম দূতাবাস হলো ভারতের দিল্লি।
প্রশ্ন: ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য কি মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক?
উত্তর: হ্যাঁ, হেপাটাইটিস, টিবি ইত্যাদির টেস্ট লাগে।
প্রশ্ন: বেলারু সে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব?
উত্তর: বেলারুশে মাসে ৫০-২০০০০০ টাকা ইনকাম সম্ভব, তবে পেশা অনুযায়ী।
প্রশ্ন: বেলারুশে খাওয়া থাকা কি ফ্রি?
উত্তর: কিছু কোম্পানি ফ্রি তে থাকা খাওয়া দিয়ে থাকে, কিছুতে নিজেকে বহন করতে হয়।
প্রশ্ন: ভাষা জানতে হয় কি?
উত্তর: রুশ ভাষা জানলে সুবিধা, তবে অদক্ষ কাজের জন্য না জানলেও হয়।
শেষ মন্তব্যঃ বেলারুশ কাজের ভিসা
বেলারুশ একটি উন্নয়নশীল ইউরোপিয়ান দেশ। এই দেশটিতে বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে বেলারুশে কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাই যারা বেলারুশ যেতে আগ্রহ তারা আজকের পোস্ট থেকে বেলারুস যাওয়ার সম্পন্ন প্রক্রিয়া জেনে নিতে পারেন।
কারণ এখানে বেতন এবং বেলারুস যেতে কত টাকা লাগে এ ব্যাপারে ও আমার সঙ্গে কারো বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিয়ে তারপরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারেন। আশা করি বেলারুশ যাওয়ার জন্য যে সকল তথ্যগুলো জানার প্রয়োজন আপনাদের সুবিধার্থে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চাইলে পোস্টটি আপনাদের পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
202511
গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url