শীতে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থানসমূহ- বাংলাদেশ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

আসসালামু আলাইকুম- প্রিয় পাঠকগণ, ভ্রমণ শব্দটি শীতের সাথে সম্পৃক্ত অর্থাৎ শীত ও ভ্রমণ শব্দ  দুটি একে অপরের পরিপূরক। বিশেষ করে, সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা প্রকৃতির অপরূপ, মনমুগ্ধকর সাজে-সজ্জিত আমাদের এই ছো্ট্ট চির-সবুজ বাংলাদেশ।

শীতে-ভ্রমণ-পিপাসুদের-প্রিয়-স্থানসমূহ-বাংলাদেশ

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ভ্রমণ পিপাসুদের ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন মনো-মুগ্ধকর ও দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব, ইনশা-আল্লাহ।

পেজ সূচীপত্রঃ শীতে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থানসমূহ- বাংলাদেশ

শীতে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থানসমূহ- বাংলাদেশ

শীতে ভ্রমণ করতে বা বিভিন্ন জায়গা দর্শন করতে বা ঘোরাঘুরি করতে কার না মন চায়। আমরা কমবেশী সবাই চাই নিয়মতান্ত্রিক দৈনন্দিন কর্মজীবনের ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে বা সতেজ হতে। কিন্তু বাস্তব জীবনে ইচ্ছা করলেই কোন কিছু করা যায় না।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি, যারা সারা বছরের একটা প্লান তৈরি করে রাখে অর্থাৎ কখন, কোথায় কি করবে না করবে। তেমনি বৎসরের একটা সময় অর্থাৎ শীতের সময় বাহিরে ঘোরাঘুরির বিষয়টা প্লানের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আর বাংলাদেশের এই চির সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস। যে সমস্ত দর্শনীয় স্থানসমূহে আপনারা ভ্রমণ করতে আনন্দবোধ বা পছন্দ করবেন  অর্থাৎ চোখ জুড়িয়ে যাবে, মন ভরে যাবে সে সমস্ত বিশেষ বিশেষ কিছু দর্শনীয় স্থানগুলো হলো:

বিখ্যাত দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন-প্রবাল দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ, রাঙ্গামাটির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, কাপ্তাই লেক, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র বন্দর, সাজেক ভ্যালি, সুন্দরবন. সিলেটের শ্রীমঙ্গল, চা বাগান, বান্দরবনের হিল ট্রাক্স, নীলগিরি, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, জাফলং,  পাহাড়পুর প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি প্রাচীন বিহার, 

তাছাড়া ঢাকায় বা ঢাকার কাছেই আছে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান। যেমন:

আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, গোলাপ গ্রাম, জিন্দা পার্ক, সোনারগাঁও পানাম নগর, আর জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় শিশু পার্কতো আছেই।

শীতে ভ্রমণ-প্রস্তুতি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

যে কোন কাজ করার আগে একটা ভালো প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তেমনি শীতকালীন ভ্রমণ পিপাসুদের ভ্রমণের জন্য কিছু প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। যেমন,

  • প্রস্তুতির প্রথমেই আসে পোশাক-আশাক: সোয়েটার, জ্যাকেট এবং থার্মাল পরিধানের মতো কাপড়। বিশেষ করে বাংলাদেশে শীতকাল বেশ ঠান্ডা হতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব থেকে দূরে রাখতে টুপি, গ্লাভস এবং একটি স্কার্ফ সঙ্গে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
  • পানি এবং অন্যান্য খাবার: ভ্রমণের জন্য সাথে কিছু খাবার এবংপানি রাখবেন, যদি শীতকালে এটি কঠিন হয়ে যায় তবে আপনি পথে সহজলভ্য স্টক খাবার নিতে পারেন।
  • একটা ফার্স্ট এইড কিটস বক্স: মানুষ যেখানেই থাকুন না কেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ, ড্রেসিং এবং থার্মোমিটার সহ জরুরী ফার্স্ট এইড কিটস বক্স সঙ্গে রাখা উচিত।
সম্ভব হলে একজন ভালো গাইড ভাড়া করে নিতে পারেন। তাতে করে আপনি বিভিন্ন অঞ্চলগুলি ভালো করে দেখতে পারবেন এবং জানতে পারবেন। জানতে পারবেন বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস-ঐতিহ্য।

    শীতে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

    ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। আর এটি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এক অন্যন্যমাত্রায়।

    শীতে-ভ্রমণ-পিপাসুদের-প্রথম-পছন্দ-কক্সবাজার-সমুদ্র-সৈকত

    এটি দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে সারা বছর পর্যটকদের অর্থাৎ ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান। বিশেষ করে শীতকালে এর স্বচ্ছ নীল পানি, চমৎকার সূর্যাস্ত এই জায়গাটিকে সমুদ্র সৈকত প্রেমীদের এবং দম্পতিদের জন্য আদর্শ করে গড়ে তুলেছে।

    শীতের এই সময়টতে সমুদ্রের পাড়ে বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময় দেখা যায়।  আবহাওয়ার জন্য  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঠাণ্ডার প্রকোপ তুলনামূলক কম থাকে।

    কুয়াকাটা সমুদ্র বন্দর -  শীতকালীন ভ্রমণ খুবই রোমাঞ্চকর

    ‘সাগরকন্যা’ নামে পরিচিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যার দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার কুয়াকাটা পৌরসভায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। যদি মন সাগরে ছুটে যেতে চায় তবে সাগরকন্যা কুয়াকাটা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

    কুয়াকাটা-সমুদ্র-বন্দর- শীতকালীন-ভ্রমণ-খুবই-রোমাঞ্চকর

    কুয়াকাটা এমন এক বিশেষ স্থান যেখান থেকে আপনি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। এছাড়া শুটকি পল্লী, ফাতরার বন, গঙ্গামতির জংগল ও লাল কাঁকড়ার দ্বীপ কুয়াকাটার অন্যতম আকর্ষণ।

    চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ

    ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আরো একটি আকর্ষণীয় জায়গা হল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই সমুদ্র সৈকতে সহজেই যাওয়া যায় বলে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

    কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় অবস্থিত পতেঙ্গায় সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই মনোরম। বিশেষ করে বিকেল, সূর্যাস্ত ও সন্ধ্যার সময়টুকু অবশ্যই ভাল লাগবে। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্যে অপেক্ষমান সারি সারি ছোট বড় জাহাজ এইখানের পরিবেশে ভিন্নতা নিয়ে আসে। এই সৈকতের কাছেই রয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের অনেক জেটি এবং প্রজাপতি পার্ক।

    এছাড়া এই সৈকতকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্যে বেশ কিছু পরিকল্পণা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পতেঙ্গা সৈকতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া দৃষ্টিনন্দন সাজ-সজ্জা নজর কেড়েছে সবাইকে।

    রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ - শীতকালীন ভ্রমণ 

    রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ এবং এর চারপাশের পাহাড় ও সবুজ প্রকৃতি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রায় ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই বিশাল জলরাশি যা দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ হিসেবে পরিচিত।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের সাতটি জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটি হচ্ছে, অত্যাশ্চর্য দৃশ্য ও শান্ত-মনোরম পরিবেশের এক অন্যন্য সুন্দরতম জেলা। দেশের বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদএকটি প্রিয় পর্যটন স্থান এবং শীতকালীন ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে সুন্দরতম স্থান ও পরিবেশ। পর্যটকরা শুভলং ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ, পলওয়েল পার্ক, রাজবন বিহার এবং একটি বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল দেখতে পারেন।

    সেন্টমার্টিন প্রবাল-দ্বীপ - শীতকালীন ভ্রমণ

    সেন্ট মার্টিন প্রবাল-দ্বীপ, বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ যার আয়তন প্রায় ১৭বর্গ কিলোমিটার। বর্গকিলোমিটার। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন।

    সেন্টমার্টিন-প্রবাল-দ্বীপ-শীতকালীন-ভ্রমণ

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পরে সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপ পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। যারা কক্সবাজার ভ্রমণ করে তারা সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপ ভ্রমণ করবে না এমনটা হতেই পারে না।

    ভ্রমণ পিপাসুমানুষের জন্য অনুপম অবকাশ কেন্দ্র সেন্টমার্টিন। স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিশ, হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, প্রবাল বিশ্বরহস্যের জীবন্ত পাঠশালায় পরিণত করেছে সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকাকে।

    শীতে ম্যানগ্রোভ বন - সুন্দরবন ভ্রমণ

    বাংলাদেশের বনাঞ্চলের সুন্দরতম একটি স্থান হচ্ছে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যা পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। শীতে সুন্দরবন ভ্রমণ একটি উপযুক্ত সময়। ইউনেস্কো কতৃক বিশ্ব ঐতিহ্যে জায়গা করে নেওয়া প্রায় ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই সুবিশাল ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলটি ওয়াইল্ড লাইফ প্রেমীদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।

    শীতে-ম্যানগ্রোভ -বন-সুন্দরবন-ভ্রমণ

    এটি খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলার অংশ নিয়ে গঠিত।

    এই সুন্দরবনের রোমাঞ্চকর সৌন্দর্যের মধ্যে রয়েছে বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, কুমির, বানর সহ নানা বৈচিত্র্যময় প্রাণীকুল।

    সুন্দরী গাছ থেকে সুন্দর বনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে, যা সেখানে প্রচুর জন্মায়।

    শীতকালীন ভ্রমণ - মনোমুগ্ধকর সাজেক ভ্যালি

    বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। এটি রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আপনাকে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হবে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার।

    শীতকালীন-ভ্রমণ-মনোমুগ্ধকর-সাজেক-ভ্যালি

    ভ্রমণ পিপাসুদের অনেকে সাজেক ভ্যালিকে বাংলার ভূ-স্বর্গ নামে অভিহিত করেন। যার চারপাশে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বিস্তীর্ণ পাহাড় সারি আর তুলার মত মেঘ, এর মধ্যেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সাজেক ভ্যালি। শীতকালে সাজেক এ বেশ ভিন্ন একটা রূপ দেখা যায়। প্রকৃতি যেখানে সকল বিকাল রং বদলায়।

    প্রকৃতিপ্রেমী হলে আপনার কাছে পুরো সাজেক ভ্যালিটাই দর্শনীয় মনে হবে। তারপরও বলতে হয় পর্যটকদের কাছে সবচয়ে আকর্ষণীয় স্থান কংলাক পাড়া। এছাড়া হ্যালিপ্যাড, রুইলুই পাড়া, রক গার্ডেন, লুসাই ভিলেজ উল্লেখযোগ্য।

    সাজেকের নিচে একটি ঝর্ণা আছে। প্রচলিত ভাষায় এটি কমলক ঝর্ণা নামে পরিচিত। এর মূল নাম পিদাম তৈসা বা সিকাম তৈসা।

    সিলেটের শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ

    সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা। শীতে পরিবারসহ ভ্রমণের একটি চমৎকার জায়গা। যতদূর চোখ যায় কেবল সবুজের হাতছানি। চা বাগানের সারি সারি টিলা, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আর ঘন সবুজ অরণ্যের অপরূপ সৌন্দর্য সাজিয়ে রেখেছে প্রকৃতি।

    শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – বাইক্কা বিল, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নীলকণ্ঠের সাত রংয়ের চা, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ৭১’এর বধ্যভূমি, দৃষ্টিনন্দন জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ, শিতেস বাবুর চিরিয়াখানা, চা গবেষণা কেন্দ্র, চা জাদুঘর প্রভৃতি।

    এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পাহাড়-টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, খাসিয়া পল্লী, সিমেট্রি, হরিণছড়া গলফ মাঠ, চা কণ্যা ভাষ্কর্য, নিমাই শিববাড়ী মন্দির, লালটিলা মন্দির, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান, বর্ষীজোড়া ইকোপার্কসহ প্রত্যক্ষ করতে পারবেন স্থানীয় উপজাতিদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি।

    কুতুবদিয়া দ্বীপ- ভ্রমন করুন এই শীতে

    শীতকালীন পর্যটকদের জন্য আরও একটি আকর্ষণীয় সুন্দরতম স্থান হচ্ছে  নানান রকম বৈচিত্র্যমণ্ডিত- কুতুবদিয়া দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ উপজেলা। এর আয়তন প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার। এখানে যে সব দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে হলো:

    • বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র,
    • সমুদ্র সৈকত,
    • লবণ চাষ,
    • বাতিঘর,
    • কুকুবদিয়া চ্যানেল এবং
    • কুতুব আউলিয়ার মাজার।

    ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান

    এই শীতে ইচ্ছে করলেই ঢাকার অদূরে গাজীপুরের জয়দেবপুরে ছায়া সুনিবিড়, সবুজেঘেরা কোলাহলমুক্ত পরিবেশে গড়ে উঠা ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘুরে আসতে পারেন। প্রায় ৫০২২ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান।এটি ১৯৮২ সালে জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি লাভ করে।

    এই উদ্যানে রয়েছে - ৪৩ প্রজাতির বৃক্ষ, ১৯ প্রজাতির গুল্ম, ৩ প্রজাতির পাম, ২৭ প্রজাতির ঘাস, ২৪ প্রজাতির লতা ও ১০৪ প্রজাতির ঔষধি গাছ। এছাড়াও রয়েছে ৬৪ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী যাদের মধ্যে ১৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫ প্রজাতির পাখি ও উভচর প্রাণী অন্তর্ভুক্ত।

    এছাড়া প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এই উদ্যানে ছুটির দিনে অনেকে পিকনিক এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

    প্রশ্ন ও উত্তরঃ শীতে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থানসমূহ- বাংলাদেশ

    ১. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনবা দর্শনীয় স্থান কোনটি?

    উত্তর: বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন বা দর্শনীয় স্থান হলো কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকত। ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।

    ২. প্রশ্ন: ঢাকায় দর্শনীয় স্থানের মধ্যে কি কি উল্লেখযোগ্য?

    উত্তর: ঢাকা আড়াপাড়া জমিদার বাড়ি, বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি, জল্লাদখানা বধ্যভূমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, এয়ারফোর্স বেসক্যাম্প, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর, থ্রিডি আর্ট ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি।

    ৩. প্রশ্ন: বান্দরবানের প্রাচীন নাম কী?

    উত্তর: বান্দরবানের প্রাচীন নাম ছিল বোমাং থং। বানর থেকে "বান্দর" এবং "বান্দরের ছড়া" থেকে "বান্দরবান" নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

    ৪. প্রশ্ন: বাংলাদেশের পর্যটন নগরী বলা হয় কোন জেলাকে?

    উত্তর: বাংলাদেশের পর্যটন নগরী বলা হয় কক্সবাজার জেলাকে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হওয়ায় এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং একে বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানীও বলা হয়।

    পোস্ট উপসংহারঃ শীতে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থানসমূহ- বাংলাদেশ

    পোস্টের শেষ প্রান্তে- শীতের ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থানসমূহ- বাংলাদেশ, এ বিষয়ে যে সমস্ত দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো সে সমস্ত দর্শনীয় স্থানগুলি আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং ইতিহাসের এক অনন্য সম্মান বহন করে থাকে। প্রত্যেকটি স্থান আলাদা ভাবে বিশেষ বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। আর বিশেষ করে ভীন্ন ভীন্ন স্থানসমূহ ভ্রমণ- মানুষের মনকে প্রশস্ত ও শরীরকে প্রফুল্ল করে তোলে। 

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url