শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয় ও উপায়
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় পাঠক-আজকের বিষয় শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। সাধারণত প্রতিটি বাবা-মা তাদের শিশুর শারীরিক অসুস্থতায় সব সময় উদ্বিন্ন থাকন। আর জ্বর হচ্ছে, তার মধ্যে খুবই সাধারণ অসুখ যা এক সময় মারাত্নক আকার ধারণ করতে পারে। তাছাড়া ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হচ্ছে একটি উচ্চ মাত্রার জ্বর।
তাই, আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো শিশুর জ্বর ১০৪ হলে কি কি করতে হবে, কীভাবে জ্বর প্রতিরোধ করা যায় এবং কখনইবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো, ইনশাল্লাহ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয় ও উপায়
- শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলে করণীয়
- কি কি কারণে শিশুদের জ্বর হয়ে থাকে
- শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি হলে নিরাময়ে চিকিৎসা
- শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি হলে তৎক্ষণাৎ ঘরোয়া উপায়
- ঘরোয়া ভাবে শিশুর জ্বর প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- আপনি কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
- আপনাদের মনের প্রশ্ন এবং উত্তর
- পোস্ট শেষকথাঃ শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয়
শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলে করণীয়
জ্বর হচ্ছে উচ্চ তাপমাত্রার একটি উপসর্গ যা রোগ হিসেবে নির্দেশ করে। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাৎ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি হয়, তখন এটি মারাত্নক রোগ হিসেবে গণ্য হয় এবং এই পরিস্থতিতে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
উচ্চ জ্বর শিশুদের জন্য খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে যেমন- পানিশূন্যতা, খিচুনি অথবা অন্যান্য কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আপনার শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরাণাপণ্য হবেন।
আরো পড়ুনঃ চোখের এলার্জি দূর করার দোয়া ও প্রতিরোধের ১২টি টিপস
কি কি কারণে শিশুদের জ্বর হয়ে থাকে
- শিশুর কান, গলা, ত্বক সংক্রমণ হওয়া
- সর্দি বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস লাগা
- মূত্রাশয় বা কিডনির সংক্রমণ হওয়া
- বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন প্রয়োগ
- ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করা
- শরীরে বিভিন্ন প্রকার ব্যাথার কারণ
- শরীরে রক্ত জমাট বাধা
- বিভিন্ন হরমোনের জটিলতা থাকলে
- প্রদাহজনিত অন্ত্রের রোগ থাকলে
শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি হলে নিরাময়ে চিকিৎসা
শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি হলে তৎক্ষণাৎ ঘরোয়া উপায়
- শিশুর জ্বর (১০৪ ডিগ্রি) কমাতে শিশুকে কুসুম গরম পানিতে শরীর মুছে দেন অথবা গোসল করাতে পারেন। তবে মাথায় রাখা ভালো ঠান্ডা পানিতে গোসল করালে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। গরম কাপড় বা কম্বল ব্যবহার করা যাবে না কারণ, তাতে জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। পাশাপাশি হালকা কাপড় পরাতে পারেন।
- জ্বরের মাত্রা ১০৪ ডিগ্রি বা যে মাত্রারই হোক শিশুকে তরল খাবার যেমন- মায়ের বুকের দুধ খাওয়ান এবং পর্যাপ্ত পানি পান করান, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন খাওয়াবেন কারণ শিশুর জ্বর হলে শরীর থেকে দ্রুত পানি কমতে থাকে। এতে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূণ্যতা দেখা দিতে পারে।
- জ্বর হলে শিশুর পূর্ণ বিশ্রামের বিষয়টি মাথায় রাখুন যদি তা হয়ে যায় ১০৪ (ডিগ্রি)র মতো মারাত্নক জ্বর। সঠিক বিশ্রাম শিশুর সুস্থতায় সহায়ক। তাছাড়া একেক শিশুর শারীরিক অবস্থা একেক রকম। কিছু শিশু আছে যারা খু্বই তাড়াতাড়ি দূর্বল হয়ে পড়ে আবার অনেকে তুলনামূলকভাবে বেশ শক্ত।
- শিশুর অসুস্থতায় গরমের মধ্যে ঘরের ফ্যান চালু রাখবেন বা হালকা করে ফ্যান ছেড়ে রাখুন। তাতে শিশুর শরীরে কিছুটা আরাম বোধ করবে।
ঘরোয়া ভাবে শিশুর জ্বর প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এড়াতে আপনার শিশুকে নিয়মিত হাত ধোয়া, হাত-পায়ের নখ কাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত টিকা যেমন: নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন, মিজেলস, ইনফ্লুয়েঞ্জা দেওয়া নিশ্চিত করুন।
- শিশুকে যথাসম্ভব পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্তপরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করান
- আপনার শিশুকে বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হয়েছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
আপনি কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
- আপনার শিশুর বয়স ৩ মাসের কম হলে
- শিশুর জ্বর ৩/৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
- শিশুর যদি খিঁচুনি হয়, ঝিমুনি বা অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে
- ত্বকে লালচে দাগ বা র্যাশ দেখা দিলে
- শিশুর শ্বাসকষ্ট খুব বেশি হলে
- বেশি কাশি হলে
- আপনার শিশুর মল-মূত্র কমে গেলে বা পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে।
গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url