নিজের মোবাইলেই এখন পুরাতন জমির দলিল বের করুন মাত্র ৫ মিনিটে

পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে আসলে এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে মোবাইল দিয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পুরাতন দলিল বের করার কোন পদ্ধতি চালু হয়নি। তবে এ ধরনের পদ্ধতি বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতে চালু আছে।
পুরাতন-দলিল-বের-করুন-খুব-সহজে-নিজের-মোবাইল-দিয়ে
বাংলাদেশে জমির পুরাতন বের করার জন্য মোবাইল ছাড়া উপজেলা সাব রেজিস্টার অফিস অথবা জেলা রেজিস্ট্রি অফিস এ যোগাযোগ করতে হবে। আজকের পোস্টে পুরাতন দলিল বের করার সহজ নিয়ম দলিল হারিয়ে গেলে করণীয় দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল বের করা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করব। 

সূচিপত্রঃ পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে 

পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে 

পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনলাইনে বিভিন্নভাবে সার্চ করে থাকেন। তবে সত্য হলেও আপনাদের জানা উচিত মোবাইল দিয়ে এখন পর্যন্ত দলিল বের করার কোন পদ্ধতি বাংলাদেশের চালু হয়নি। তবে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ায় এ পদ্ধতি চালু করার জন্য তাদের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত একটি ওয়েবসাইট চালু আছে। 

বাংলাদেশের পুরাতন দলিল বের করার জন্য মোবাইলের সাহায্য ছাড়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। এর জন্য হয়তো আপনাকে ৮০০-১০০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে। বিভিন্ন কারণে দলিল নষ্ট হয়ে যায় হতে পারে। সেই নষ্ট হওয়া দলিল কিভাবে ফিরে পাওয়া যায় এ ব্যাপারে হয়তো অনেকেই জানে না। তবে যত পুরনো দলিল হোক না কেন তোলা সম্ভব। 

প্রথমত আপনাকে জমির দাগ নাম্বার জানতে হবে। প্রত্যেক জমির একটি দাগ নাম্বার রয়েছে। এছাড়া আপনি যদি জমির দাগ নাম্বার না জানেন তাহলে নিশ্চয়ই জমিটি চেনেন, জমির আশেপাশে যদি অন্য কারো জমি থাকে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জমির দাগ নাম্বার জেনে নিতে পারেন। তবে দাগ নাম্বারের অনেক ভাগ রয়েছে যেমন cs দাগ, rs দাগ, bs দাগ। 

আরো পড়ুনঃ সোলার প্যানেল এর দাম - সেরা দামে সোলার প্যানেল বাংলাদেশ

এ দাগ নাম্বার গুলো যারা আমিন আছে যারা জমি বেচাকেনা করে তাদেরকে কিছু টাকা দিয়ে জেনে নিতে পারেন। এছাড়া তাদের কাছ থেকে হেল্প না পেলে ইউনিয়নভূমি তহশীল অফিস থেকে এই তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন। এরপর আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে দলিল না থাকলে যদি খতিয়ান থাকে তাহলে খতিয়ানের কার নামে রেজিস্ট্রি বা নাম জারি করা আছে সেটা বের করা।

জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আপনার দলিল পেতে পারেন যদি আপনার দলিলের বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর পূরণ হয়। এছাড়া যদি আপনার দলিলের বয়স এর চাইতে বেশি হয়ে থাকে তাহলে জেলা রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল তুলতে হবে। অর্থাৎ একটি আবেদন করে কিছু টাকা খরচ করে দলিলটি তুলতে হবে। কথার দাগ নাম্বার ধরে ধরে রেকর্ড বের করে এবং অন্যদিকে মৌজার নাম বের করেও দলিল বের করা যায়।

বাংলাদেশে পুরাতন দলিল বের করার সহজ নিয়ম কি 

বাংলাদেশে পুরাতন দলিল বের করার সহজ নিয়ম কি এ ব্যাপারে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। পুরাতন দলিল বের করার জন্য সরাসরি কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অনলাইনে পুরাতন দলিল খুঁজে বের করার জন্য http:/land.go.BD এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। যাওয়ার পর ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ এখানে যেতে হবে। 

এরপর বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজার নাম নির্বাচন করতে হবে। খতিয়ান নাম্বার বা দাগ নাম্বার দিতে হবে। যদি জানা না থাকে তাহলে নাম বা হোল্ডিং নাম্বার দিয়েও চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি সকল তথ্য সঠিকভাবে থাকে তাহলে মালিকের নাম জমির পরিমাণ শ্রেণী খতিয়ান নম্বর সকল কিছু দেখতে পাবেন। এছাড়া অফিস থেকে পুরাতন দলিল সংগ্রহ করা যায়।

উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করতে হবে এবং দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রেশনের সাল, জমির মালিকের নাম, জমির ঠিকানা, আবেদনকারীর পরিচয় পত্র এবং কিছু প্রশাসনের জন্য ৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে ব্যাংক চালান ট্রেজারি চালান ফি ইত্যাদি। এবং ৩-৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জমির দলিলের একটি সার্টিফাইড কপি পেয়ে যাবেন।

জমির দলিল হারিয়ে গেলে কি করবেন 

জমির দলিল হারিয়ে গেলে কি করতে হবে এ ব্যাপারে কমবেশি অনেকের জানা রয়েছে। কারণ যে কোন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হারিয়ে গেলে সর্বপ্রথম যেটা করা উচিত তা হল নিকটস্থ কোন থানায় একটি ডায়েরি/ জিডি করা। জিডিতে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে এবং সঠিকভাবে তথ্যগুলো দেওয়া জরুরী। চলুন কি কি তথ্য দিতে হবে সেগুলো তুলে ধরা যাক। 

  • দলিল হারানোর নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান 
  • দলিলের নম্বর রেজিস্ট্রেশনের সাল (যদি জানা থাকে) 
  • জমির মালিকের নাম 
  • জমির ঠিকানা ও মৌজা 
  • জমির দাগ নাম্বার (যদি মনে থাকে) 

সকল তথ্য দিয়ে থানা থেকে একটি জিডি করা কপি সংরক্ষণ করুন। যতদিন পর্যন্ত আপনি আপনার দলিল পাচ্ছেন না অবশ্যই এই কপিটি গুরুত্ব সহকারে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এছাড়া দলিল হারিয়ে গেলে অন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। যেমন স্থানীয় পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেন। বিজ্ঞপ্তিতে লিখতে পারেন কেউ যদি আপনার দলিল পেয়ে থাকে সে যেন ফেরত দেয়। 

আরো পড়ুনঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে - লিথুনিয়া ভিসা ফি কত ২০২৫

এজন্য আপনার দলিল হারানোর সকল বিস্তারিত নাম ঠিকানা দিদি নম্বর ইত্যাদি পত্রিকায় দিয়ে দিবেন। তৃতীয় ধাপে আপনাকে সাবরেজিস্টার অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে। দলিলটি যেখানে রেজিস্ট্রি হয়েছে সে সাব-রেজিস্টার অফিসে যান। সেখানে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে যেমন: হারানোর জিডির কপি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং, জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদনপত্র, প্রয়োজনীয় ফি, আবেদন ফরম জমা দিয়ে রশিদ গ্রহণ করতে হবে। 

এরপর ৩-৭ কর্ম দিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এর মধ্যে দলিলের একটি প্রত্যায়িত কপি পাওয়া যায়। এটি মূল দলের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে। কারণ সাব রেজিস্টার বা রেজিস্টার অফিসে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা বা কাজের চাপ থাকায় বিকল্প কপি পেতে সময় লাগতে পারে।

দলিল নাম্বার দিয়ে দলিল বের করা 

দলিল নাম্বার দিয়ে দলিল বের করা যায়। অনেকে আছেন যারা দলিল নাম্বার জানেন না। দলিল নাম্বার দিয়ে কিভাবে দলিল বের করা যায় চলুন আলোচনা করা যাক। প্রথমত জমির মালিকানার দলিল বের করতে হবে। এবং জমির দলিলের একটি খতিয়ান থাকে সেটি সংরক্ষণে রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট দলিল নাম্বার এবং খতিয়ান সহ সাব রেজিস্টার অফিসে যান।

সাব রেজিস্টার অফিসে যাওয়ার পরে একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে যার মধ্যে থাকবে দলিল নম্বর এবং সাল, জমির মালিকের নাম, জমির ঠিকানা, আবেদনকারীর এনআইডি কপি, এবং নির্ধারিত ফি। এছাড়া যদি দলিল নাম্বার দিয়ে অনলাইনে দলিল খুজতে চান তাহলে http:/rdportal.land.gov.BD এই সাইটটিতে যেতে হবে। এটি হচ্ছে রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের অনলাইন পোর্টাল। 

সাইটটিতে যাওয়ার পরে বাংলায় দলিল অনুসন্ধান বা e-Deed varification অপশনে যেতে হবে। এবং সেখানে অবশ্যই দলিল নম্বর ও সাল দিতে হবে। দেওয়ার পরে যদি দলিল নাম্বার এবং সঠিক তথ্য দেওয়া হয় তাহলে দলিলের রেজিস্ট্রেশন তথ্য, দলিল মালিকের নাম, জমির বিবরণ, মূল্য ইত্যাদি অনলাইনে দেখা যাবে।

মোবাইল দিয়ে পুরাতন দলিল বের করা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: পুরাতন দলিল কোথায় সংরক্ষিত থাকে? 

উত্তর: সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডরুমে সংরক্ষিত থাকে।

প্রশ্ন: অনলাইনে পুরাতন দলিল খুঁজে পেতে পারি কি? 

উত্তর: দলিলের সারাংশ অনলাইনে দেখা যেতে পারে, তবে মূল দলিল সরাসরি অনলাইনে পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন: দলিল বের করতে কি কি তথ্য লাগবে? 

উত্তর: মালিকের নাম, দলিল নম্বর (যদি জানা থাকে), রেজিস্ট্রেশনের সাল, জমির ঠিকানা, দাগ নাম্বার। 

প্রশ্ন: শুধুমাত্র নাম দিয়ে দলিল বের করা সম্ভব? 

উত্তর: না, কেবল নাম দিয়ে নয় অন্যান্য তথ্যও দরকার। 

প্রশ্ন: দলিল তল্লাশির জন্য ফি কত? 

উত্তর: সাধারণত ২০০-৫০০ টাকা, অফিস ভেদে ভিন্ন হতে পারে।

দাগ নাম্বার দিয়ে জমির দলিল বের করার নিয়ম কি 

দাগ নাম্বার দিয়ে জমিদারির বের করার নিয়ম রয়েছে। তবে দাগ নাম্বার দিয়ে জমির দলিল বের করার নিয়ম কি সকলের জানা আছে? হয়তোবা নেই। জমির খতিয়ান বা দলিল নাম্বার জানা না থাকলেও দাগ নাম্বার দিয়ে জমির দলিল বের করা সম্ভব। এর জন্য প্রথমত আপনাকে http://land.gov.bd অথবা http://eporcha.gov. BD এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

সেখানে যাওয়ার পর জমির মালিকানা যাচাই করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ এখানে প্রবেশ করে বিভাগ,, উপজেলা, ইউনিয়, মৌজা, দাগ নাম্বার, খতিয়ানের ধরন (cs,rs,bs,sa) ইত্যাদি দিতে হবে। এরপর অনুসন্ধান বা সার্চ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে খতিয়ান/পর্চার তথ্য স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। যেমন দেওয়া থাকবে মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, দাগ অনুযায়ী শ্রেণী, হোল্ডিং নম্বর, এবং সংশ্লিষ্ট অফিসের নাম। চাইলে আপনি এটি pdf পর্চা ডাউনলোড করতে পারেন। 

আপনি যদি অফিসে গিয়ে দলিল নাম্বার দিয়ে দলি সংগ্রহ করতে চান তাহলে অনলাইনে দাগ নাম্বার দিয়ে মালিকানা ও খতিয়ান এর তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে। সেখানে অফিসার নিয়ম অনুযায়ী যে সকল তথ্য গুলো চাইবে সকল কিছুর সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। তবে দাগ নম্বর দিয়ে দলিল বের করা সরাসরি সম্ভব নয় বরং দাগ নম্বর দিয়ে জমির খতিয়ান ও মালিকানা যাচাই করে পরবর্তীতে মূল দলিলের একটি কপি সংগ্রহ করা যায়।

পুরাতন জমির দলিল ডাউনলোড করুন শুধু মাত্র নাম দিয়ে 

পুরাতন জমির দলিল শুধুমাত্র নাম দিয়ে ডাউনলোড করা যায় কিনা এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। তবে বাস্তবে বলা যায় যে সরাসরি পুরাতন দলিল নাম দিয়ে ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। কারণ একই নামে অনেক ধরনের দলিল থাকতে পারে। যার কারণে শুধুমাত্র নাম দিয়ে দলিল বের করা এ ধরনের পদ্ধতি বাংলাদেশে ভূমি রেকর্ড এখনো চালু হয়নি। 

কারণ একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারে এছাড়াও রয়েছে জমির মালিকানা একাধিকবার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে নির্দিষ্ট জমির দাগ নম্বর ও খতিয়ান ছাড়া দলিল সনাক্ত করা খুবই কঠিন। তাই সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নাম্বার, দাগ নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে জমির মালিকানা বের করতে হয়।পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে আসলে এ ব্যাপারটা সম্পূর্ণটা সঠিক নয়।

পুরাতন দলিল তল্লাশি  

পুরাতন দলিল তল্লাশি বলতে বোঝানো হয়েছে আসলে অনেক বছর আগে রেজিস্ট্রি হয়েছে যার কারণে মালিকের কাছে থেকে হারিয়ে গেছে অথবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এ ধরনের দলিল আসলে পুরাতন দলিল তল্লাশি বোঝানো হয়েছে। পুরাতন দলিল তল্লাশীর কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো হল পুরাতন দলিল তল্লাশির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে হারানো দলিল খুঁজে বের করা। 

দলিল নম্বর রেজিস্ট্রেশন সাল অথবা জমির দাগ নম্বর জানা এবং নতুন দলিল বের করতে হলে অবশ্যই আগের দলীল খুঁজে বের করতে হবে। জমির মালিকানা নিয়ে কোন সমস্যা যদি থেকে থাকে তা সমাধান করা জরুরী। পুরাতন দলিল তল্লাশি করার জন্য জমির মালিকের নাম বর্তমান অথবা আগের জানা। রেজিস্ট্রেশন সাল আনুমানিক হলেও চলবে। 

জমির অবস্থান অর্থাৎ জেলা উপজেলা এবং মৌজা দাগ নম্বর এবং খতিয়ান যদি জানা থাকে। এবং যে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সেই অফিসের নাম জানতে হবে। পুরাতন দলিল বের করার জন্য পরিবারের কোন সদস্য পৈতৃক কাগজপত্র পুরনো জমানো দলিল খতিয়ান বা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল তল্লাশির জন্য আবেদন করতে হবে। 

তাই যিনি দলিল তল্লাশি করবেন তার ঠিকানা নাম এবং জমির মালিকের নাম সম্ভাব্য দলের সাল মজা দাগ নম্বর জমির ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে এবং একটি রশিদ গ্রহণ করতে হবে। সাব-রেজিস্টার অফিসের রুমে পুরাতন রেজিস্টার বই ঘাটাঘাটি করে দলিলটি খুঁজে বের করা হয়, যার কারণে দলিলটি খুঁজে পেতে সময় লাগতে পারে।

অনলাইনে দলিল অনুসন্ধান বাংলাদেশ

বাংলাদেশে অনলাইনে দলিল অনুসন্ধান সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। এজন্য বাংলাদেশের একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়া যায়। ওয়েবসাইট গুলো http://land.gov.BD এখানে গিয়ে জমির খতিয়ান দলিল ও ম্যাপ বিষয়ক সকল তথ্য অনুসন্ধান করলে পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে Dolil sheba নামে আরেক ওয়েবসাইট। 

এই ওয়েবসাইটে গিয়েও দলিলের বিকল্প নকল সংগ্রহ এবং দলিল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও অনলাইনে দলিলের অনুসন্ধানের জন্য ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও রয়েছে সেগুলো দেখে দলিল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যেতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনে দলিল অনুসন্ধান করা অনেকটা সহজ হয়েছে। 

সরাসরি মূল দলিল ডাউনলোড করা যায় না। খতিয়ান পর্চা ও রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই করে অফিসে আবেদন করার পরে দলিলের কপি পাওয়া যায়। তবে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল সংগ্রহ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবে, তবে অবশ্যই সরকার কর্তৃক ধার্য করে দেওয়া রয়েছে।

পুরাতন দলিল বের করা সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর 

প্রশ্ন: হারানো দলিল কিভাবে উদ্ধার করব? 

উত্তর: জিটি করতে হবে, পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে এবং অফিস আবেদন করতে হবে।

প্রশ্ন: eporcha ওয়েবসাইটে কি পাওয়া যায়? 

উত্তর: জমির খতিয়ান, পর্চা মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য। 

প্রশ্ন: সার্টিফাইড কপি মানে কি? 

উত্তর: অফিস কর্তৃক সত্যায়িত দলিলের প্রতিলিপি যা আইনি কার্যকর। 

প্রশ্ন: দলিলের স্ক্যান কপি কি অনলাইনে পাওয়া যায়? 

উত্তর: এখনো না, কেবল সারাংশ দেখা যায়। 

প্রশ্ন: দলিলের রেজিস্ট্রেশনের সাল ভুল জানলে কি করব? 

উত্তর: কাছাকাছি সাল ধরে অনুসন্ধান করতে হবে।

শেষ মন্তব্যঃ পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে 

আজকের পোস্টে আমরা পুরাতন দলিল বের করা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করেছি যারা দলিল সম্পর্কিত বিষয়ে তথ্য জানতে চান এবং পুরাতন দলিল বের করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না তারা যদি আজকের পোষ্ট মনযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস দলিল বের করা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

তবে পুরাতন দলিল হাতে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে কারণ অনলাইন থেকে দলিল সরাসরি ডাউনলোড করা সম্ভব হয় না। আশা করি উপরোক্ত আলোচনায় পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এ ব্যাপারে বিস্তারিত ধারনা পেয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url