দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এইমাত্র পাওয়া তথ্য ২০২৫
সূচিপত্রঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কি কি লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি ফ্লাইট টাইম কত
- দুবাই থেকে ইতালি চাকরি পাওয়া সম্ভব
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর
- দুবাই থেকেই ইতালি স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ কত
- ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত
- বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই থেকে তাহলে যাওয়ার খরচ সম্পর্কে আরো প্রশ্ন উত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক এ ব্যাপারে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ দুবাইতে এখন অনেকেই বসবাস করছেন এছাড়া বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া একটু ক্রিটিক্যাল তাই জন্য দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহী। কিন্তু খরচ সম্পর্কে জানা নাই এজন্য বিভিন্নভাবে দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার খরচ সম্পর্কে সার্চ করে থাকেন।
ইতালি যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা আছে যার কারণে দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে এটি নির্ভর করবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষ করে ভিসার ধরন ভিসা প্রসেসের মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ ইত্যাদি সকল বিষয়ের উপর। বিভিন্ন ধরনের ভিসার খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে যার কারণে নির্দিষ্টভাবে বলা কিছুটা কঠিন কতটা লাগতে পারে।
ইতালিতে যাওয়ার জন্য সেনজেন ভিসা প্রয়োজন। এ সেনজেন ভিসা টুরিস্ট, স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক পারমিট ক্যাটাগরিতে হয়ে থাকে। দুবাই থেকে ইতালির ফ্লাইটের খরচ ক্লাস অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ ননস্টপ ফ্লাইট এর ইকোনমিক ক্লাসের ভাড়া ১৫৮০০ টাকা, ওয়ান স্টফ ফ্লাইলাইটের ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া প্রায় ২৯০০০ টাকা এবং ওয়ান স্টপ+ফ্লাইটের ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া প্রায় ৬৭৮০০ টাকা। তবে সিজন এবং টাকার মান অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বেলারুশ কাজের ভিসা - বেলারুশ ভিসা ফর বাংলাদেশী ২০২৫
কেউ যদি টুরিস্ট ভিসা লাগিয়ে যেতে চান তাহলে ভিসা খরচ, ফ্লাইট টিকিট, আবাসন খরচ খাবার ও যাতায়াত খরচ অন্যান্য আরো সকল খরচ বাবদ সর্বমোট ৩-৪ লক্ষ টাকা লাগবে। কিন্তু অন্যান্য বিষয় যেমন ওর পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে ৫-৬ লক্ষ্য টাকার মত খরচ হবে। তবে এটি নির্ধারিত খরচ নয়, কারণ এজেন্সির উপর খরচ নির্ভর করে।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কি কি লাগে
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কি কি লাগে অবশ্যই জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে অনেক ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন যেগুলো আগে থেকে যাচাই-বাছাই না করে রাখলে ভ্রমণের সময় অনেক বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া ইউরোপের যেকোনো দেশে যাওয়া এতটা সহজ নয় এজন্য সঠিক কাগজপত্র এবং ব্যবস্থাপনা না হলে যাত্রীদের অনেক সমস্যা হতে পারে।
প্রথমত আপনাকে অবশ্যই একটি উপযুক্ত ভিসা নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন ভিসায় ইতালি যেতে চান এটি নির্ধারিত থাকলে আপনি সেই ভিসা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে তারপরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিবেন। এরপর সকল ভিসার জন্য সাধারণ কিছু কাগজপত্র লাগে যেগুলো থাকা অত্যন্ত জরুরী আর সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পারলে ভিসা লাগানোর ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা হতে পারে। চলুন কি কি ডকুমেন্ট লাগবে নিচে উল্লেখ করা যাক।
- বৈধ একটি পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে। যদিও পাসপোর্ট এর মেয়াদ এখন ৫ ও ১০ বছর হয়ে থাকে।
- দুবাই রেসিডেন্স ভিসা।
- ভিসার জন্য আবেদনকৃত ফরম।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট সাধারণত তিন থেকে ছয় মাসের। ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকতে হবে।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট অর্থাৎ ভ্যাকসিনের প্রমাণপত্র।
- কর্মসংস্থান থেকে পাঠানো চিঠি বা স্পন্সর লেটার (ওয়ার্ক ভিসার জন্য)
- হোটেল বুকিং বা আমন্ত্রণপত্র (টুরিস্ট ভিসার জন্য)
- ট্রাভেল ইন্সুরেন্স (কমপক্ষে ৩০ হাজার ইউরো কভারেজ সহ)
- রিটার্ন টিকিট বা যাত্রার পরিকল্পনার প্রমাণ।
- ফ্লাইট এর টিকিট দুবাই থেকে ইটালির শহরের (রুম ভেনিস মিলন ইত্যাদি) উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাট বুক করতে হবে।
দুবাই থেকে ইতালি ফ্লাইট টাইম কত
দুবাই থেকে ইতালির ফ্লাইট টাইম কত এটি নির্ভর করে গন্তব্যের শহর ফ্লাইট এর ধরন এবং এয়ার লাইনের উপর। কারণ যে কেউ দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার সময় অবশ্যই নির্ধারিত একটি স্থান পছন্দ করে থাকে তাই সেই রুট অনুযায়ী ফ্লাইটের টিকিট কাটতে হয়। এজন্য ফ্লাইটের সময় জানা অত্যন্ত জরুরি। নিচে দুবাই থেকে ইতালির জনপ্রিয় রুট গুলোর আনুমানিক ফ্লাইট সময় দেওয়া হলো।
- দুবাই টু ইতালির রোম আনুমানিক সময় ৬ ঘন্টা থেকে সাড়ে ৬ ঘন্টা।
- দুবাই টু ইতালির মিলন আনুমানিক সময় সাড়ে ৬ ঘন্টা থেকে ৭ ঘন্টা।
- দুবাই টু ইতালির ভেনিস আনুমানিক সময় সাড়ে ৬ ঘন্টা থেকে সাড়ে ৭ ঘন্টা।
তবে ট্রানজিট ফ্লাইটে সময় বেশি লাগে সাধারণত ৯-১৬ ঘন্টা ট্রানজিট সময়ের উপর নির্ভর করে। তবে সরাসরি ফ্লাইটে গেলে সময় বাঁচবে কিন্তু খরচ বেশি হতে পারে। ফ্লাইটের টিকিট আগেভাগে বুকিং করতে পারলে কম খরচে ডিরেক্ট ফ্লাইট পাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
দুবাই থেকে ইতালি চাকরি পাওয়া সম্ভব
দুবাই থেকে ইতালি চাকরি পাওয়া সম্ভব হতে পারে তবে এর প্রসেসিং হতে অনেকদিন লাগে। কারণ কাজ পাওয়ার জন্য ইতালির ভাষার দক্ষতা থাকা জরুরী চাকরি খোঁজার সঠিক কৌশল বৈধ কাগজপত্র এবং ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রথমত ইতালির নিয়োগকর্তার কাছে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে এবং অনুমতি পেলে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
সিজিনাল ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ইতালির সরকার শ্রমিকদের জন্য কিছু সুযোগ দিয়ে থাকে। এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। ভিসার জন্য কোম্পানির স্পন্সর পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার পরে সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি খুঁজে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ পরবর্তীতে আপনি ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন।
চাকরি পাওয়ার জন্য কিছু করণীয় কাজ রয়েছে যেমন
- দিলেন ভাষা শেখা শুরু করতে হবে যদি আপনি কোন হসপিটাল বা কেয়ারগিভার খাতে কাজ করতে চান।
- একটি ইউরোপিয়ান সিভি ও কভার লেটার তৈরি করতে হবে ইউরোপিয়ান ফরমেট অনুসারে।
- বিশ্বস্ত জব পোর্টালে আবেদন করতে হবে।
- কাজের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট প্রস্তুত রাখতে হবে।
- কোন কাজের স্পন্সর পাওয়া গেলে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: দুবাই থেকে ইতালি কিভাবে যাওয়া যায়?
উত্তর: আপনি বিমানের সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইটে ইতালি যেতে পারেন।
প্রশ্ন: দুবাই থেকে ইতালি যেতে কোন ভিসা লাগে?
উত্তর: সাধারণত সেনজেন ভিসা প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন: সেনজেন ভিসা কিভাবে আবেদন করতে হয়?
উত্তর: অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং দূতাবাসের ইন্টারভিউ দিতে হয়।
প্রশ্ন: দুবাইতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ইতালিতে যেতে পারবো?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি বৈধ ভিসা ও কাগজপত্র সঠিক থাকে।
প্রশ্ন: ইতালির কোন দূতাবাসে করতে হয়?
উত্তর: আবুধাবি বা দুবাইয়ের ইতালিয়ান।
দুবাই থেকে ইতালি স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ কত
দুবাই থেকে ইতালি স্টুডেন্ট খরচ কত যারা এ ব্যাপারে জানতে চান তারা আজকের পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তবে দুবাই থেকে ইটালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভর করে যেমন ভিসা ফ্রি ডি টাইপ হলে ভিসা সার্ভিস ফ্রি, স্বাস্থ্য বীমা, এক বছর ইউনিভার্সিটি টিউশন ফি, বাসস্থান, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, নথিপত্র, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ওয়ান ওয়ে এয়ার টিকিট ইত্যাদির ওপর।
মোট আনুমানিক খরচ ২৪০০০ AED বা দিরহাম। বাংলাদেশী টাকায় আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা। তবে সরকারি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে চাইলে খরচ কিছুটা কম হবে এবং বেসরকারিতে খরচ বেশি। উপর নির্ভর করে খরচ কম বেশি হতে পারে। কারণ অনেক এজেন্সি টাকা বেশি নিয়ে থাকে। যার কারণে আনুমানিক খরচ ৮-১২ লক্ষ টাকা হিসাব করে রাখতে হবে।
ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এগুলো জানার আগে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে এটা নিয়ে একটি ইউরোপিয়ান কান্ট্রি যেগুলোতে সহজে যাওয়া যায় না। তবে ভালো এবং বিশ্বস্ত এজেন্সি হলে পারে যাওয়া সম্ভব। তবে ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে যেতে হলে খরচ অন্যান্য দেশের চাইতে অনেকটাই বেশি। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে যাওয়ার স্বপ্ন প্রায় মনে হয় সকলেই কমবেশি দেখে।
- ইলেকট্রিশিয়ান
- Plumber
- নির্মাণ শ্রমিক
- ঘরবাড়ি ক্লিনার
- কেয়ারগিভার ও নার্সিং
- কৃষি ও সিজনাল কাজ
- নির্মাণ ও কারিগরি পেশা
- হোটেল বা রেস্টুরেন্ট খাতে
- ড্রাইভার
- হাউসকিপার
- সেফ
- কৃষিশ্রমিক
ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত
ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত অনেকে জানতে চেয়েছেন। কারণ ইতালিতে বাংলাদেশের হাজার হাজার নাগরিক বসবাস করেন। এবং ইতালি যেহেতু একটি ইউরোপিয়ানদের তাই অনেকেই এ দেশগুলোতে যেতে ইচ্ছুক। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্কার এবং স্টুডেন্ট হিসেবে অনেক নাগরিক ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছেন। সে অনুযায়ী অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে ইতালিতে কাজের বেতন কেমন।
ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিটে যারা গিয়ে থাকেন তাদের বেতন মাসে ১-৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে তবে অবশ্যই কাজের ধরন ও অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এবং বিশেষ নির্দিষ্ট পেশাই এ ধরনের বেতন গুলো হয় যেমন নার্স বা ইলেক্ট্রিশিয়ান এদের। ইতালিতে যারা কেয়ারগিভার হিসেবে গিয়ে থাকেন তাদের বেতন আনুমানিক ১ লক্ষ ১২ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
যারা হোটেল হাউসকিপার এবং ক্লিনারের কাজ করে থাকেন তাদের বেতন ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হয়। কৃষি শ্রমিকদের বেতন প্রায় ১ লক্ষ টাকার মত। এবং যারা রেস্টুরেন্টে সেফ বা কুক হিসেবে কাজ করেন তাদের বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। নির্মাণ শ্রমিক বা রাজমিস্ত্রি বা হেলপারের বেতন ১ লক্ষ ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে অনেকেই এ প্রশ্নের উত্তর জানেন আবার অনেকেরই জানা নাই। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা ইতালি যেতে চান তারা কোন ধরনের ভিসায় যাচ্ছেন কিভাবে যাচ্ছেন এর উপর নির্ভর করে খরচ নির্ধারণ করা হয়। যারা টুরিস্ট ভিসায় ইতালি যেতে চান তাদের খরচ নির্ভর করে ভিসা ফি, ভিসা সার্ভিস ফি, হোটেল বুকিং, বীমা, এয়ার টিকিট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদির ওপর।
এ সকল কিছুর উপর নির্ভর করে টুরিস্ট ভিসার খরচ হয় আনুমানিক ১.৫-২.৫ লক্ষ টাকা। স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সকল কিসের উপর নির্ভর করে হয় আনুমানিক মোট ২-৫ লক্ষ টাকা। ওয়ার্ক পারমিট/ স্পন্সর খরচ পড়বে ৫-৭ লক্ষ টাকা তবে দালাল বা এজেন্সির চার্জ যদি আরো বেশি থাকে তাহলে প্রায় ১৫ লক্ষ মত খরচ হতে পারে। ফ্যামিলি রিইউনিয়ন বিষয় ইতালি যেতে খরচ হবে ২-৩ লক্ষ টাকা। দালাল ছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করলে খরচ অনেকটাই কমে যায়।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার খরচ সম্পর্কে আরো প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন: দুবাই থেকে ইতালিতে গিয়ে চাকরি পাওয়া যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি ওয়ার্ক পারমিট বা স্পন্সরশিপ থাকলে সম্ভব।
প্রশ্ন: ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট পেলে পরিবার নিয়ে যাওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা যাওয়া যায়।
প্রশ্ন: ইতালিতে পড়াশোনার খরচ কত?
উত্তর: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে ৮০০০০ থেকে ২ লক্ষ টাকা।
প্রশ্ন: স্টুডেন্ট ভিসায় পার্ট টাইম কাজ করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত।
প্রশ্ন: ইতালিতে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, বৈধভাবে ১০ বছর থাকলে নাগরিকত্বের সুযোগ থাকে।
শেষ মন্তব্যঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ছিল দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার খরচ সম্পর্কিত। ইতালি যাওয়া অনেকের স্বপ্ন তাই খরচ বেশি হলেও অনেকে আগ্রহী হয়ে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া যতটা কঠিন দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া তুলনামূলক বাংলাদেশের চাইতে সহজ। তবে এর জন্য আপনাকে অনেক কিছু জানতে হবে।
যেমন আপনি যদি ইতালিয়ান ভাষা অথবা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন অন্যান্য আরো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ইফতারের জন্য ভিসা পেতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই সকল প্রসেসিং এবং ভালো এজেন্সিদের কাছে জেনে লেনদেন শুরু করবেন আশা করি দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে আনুমানিক কিছুটা ধারণা পেয়েছেন।
গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url