লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে - লিথুনিয়া ভিসা ফি কত ২০২৫

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? যেহেতু লিথুনিয়া একটি ইউরোপিয়ান সেনজেন ভুক্ত দেশ তাই অনেকেই জানতে চান এ ধরনের প্রশ্ন। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক নাগরিক লিথুনিয়া পড়াশোনার উদ্দেশ্যে কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহী।
লিথুনিয়া-যেতে-কত-টাকা-লাগে
এছাড়া অনেকেরই স্বপ্ন কাজের উদ্দেশ্যে ইউরোপের কোন একটি দেশে যাওয়া তার মধ্যে লিথুনিয়া অন্যতম একটি দেশ তাই আজকের পোস্টে জানতে পারবেন লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ, লিথুনিয়ায় যেতে কি কি লাগে কোন কোন ভিসায় লিথুনিয়া যাওয়া যায় যাবতীয় সকল কিছু।

সূচিপত্রঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এটি মূলত নির্ভর করে কোন ক্যাটাগরির ভিসায় যেতে চান এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তার ওপর। কারণ ভিসা অনুযায়ী লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ নির্ভর করে থাকে। তাছাড়া লিথুনিয়া ইউরোপ মহাদেশের বালটিক রাষ্ট্র এবং সেনজেনভুক্ত যার কারণে অনেক বাংলাদেশী মানুষ লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য আগ্রহী। 

লিথুনিয়া ইউরোপের দেশ হওয়ায় যেতে খরচ বেশি হয়। ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে সচরাচর খরচ বেশি লাগে, কারণ এই দেশে সহজে ভিসা পাওয়া যায় না ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন। তবে ইউরোপের সব দেশে যাওয়া যে কঠিন তা কিন্তু নয় সঠিকভাবে ভিসা প্রসেসিং হলে যাওয়া যায়। তার মধ্যে লিথুনিয়া একটি দেশ যেখানে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার নাগরিক বসবাস করছেন।

বাংলাদেশ থেকে যে সকল নাগরিকরা গিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে কেউ স্টুডেন্ট ভিসায় পড়ালেখা করতে যান আবার অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন। এছাড়াও আরো অন্যান্য ভিসা রয়েছে যেগুলো প্রসেসিং করে যাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়ায় বেশিরভাগ নাগরিক যান পড়াশোনা করার জন্য। পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় আনুমানিক খরচ পরে ৪-৬ লক্ষ টাকা। 

আরো পড়ুনঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এইমাত্র পাওয়া তথ্য ২০২৫

যারা কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে লিথুনিয়ায় যেতে চান তাদের খরচ পড়বে আনুমানিক ৬-১০ লক্ষ টাকা। তবে এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করে ভিসা করে নিলে খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। নিজে থেকে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্যই আবেদন করলে খরচ কিছুটা কম হয়। তবে এটা নিজে থেকে করা খুব একটা সহজ নয়, অনেকে বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। 

 যদি ভালো এজেন্সি পান তাহলে তারাই সকল প্রকার ব্যবস্থা করে দিবেন এবং তারাই খুব সহজেই ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে দিতে পারেন। যদি ভালো এজেন্সি হয় তারা টাকা বেশি নিলেও কাজ সঠিকভাবে করে দেন। সরকারিভাবে লিথুনিয়া গেলে খরচ কিছুটা কম হয়। এবং বেসরকারি ভাবে গেলে খরচ বেশি হয়। তাই ইউরোপের যে কোন দেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে ১০-১২ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখতে হবে। 

লিথুনিয়া ভিসা ফি কত 

লিথুনিয়া ভিসা ফি কত এটি নির্ভর করবেন কোন ধরনের ভিসায় লিথুনিয়া যাচ্ছেন এরপর। কারণ যদি লিথুনিয়া ভ্রমন পড়াশোনা কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া হয় তাহলে ভিসা ফির ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। লিথুনিয়া ভিসা ফ্রি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান কারণ ভিসা ফি অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের চাইতে আলাদা। লিথুনিয়া যাওয়ার প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা খরচ রয়েছে।

যদি ভিসার ধরন ন্যাশনাল ভিসা ডি টাইপ পড়াশোনা/ওয়ার্ক ভিসা এর জন্য ভিসা ফ্রি ১৮-২০ হাজার টাকা। তবে এজেন্সির উপর ভিত্তি করে ভিসা ফি এর চাইতে বেশি হতে পারে। এছাড়া লিথুনিয়ার মুদ্রা ইউরো রেট বেশি হলে টাকার পরিমাণ পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক ভিসার জন্য ভিসা ফ্রি কিছুটা একই রকম লাগে। টুরিস্ট ভিসা ফি সেনজেন ভিসা হলে ১৩০০০ টাকা।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অনেকে লিথুনিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন। লিথুনিয়া যেহেতু একটি ইউরোপিয়ান দেশ তাই অনেকের স্বপ্ন এখানে গিয়ে পড়াশোনা করার কাজ করার এবং ভ্রমণ করার। তবে লিথুনিয়া যারা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যান তাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে। সাধারণ কিছু কাগজপত্র সব ভিসার জন্য একই আবার কিছু কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট লাগে ভিসা ভিত্তিক। চলুন কি ধরনের কাগজপত্র লাগে সেগুলো তুলে ফেলা যাক।

  • বৈধ একটি পাসপোর্ট সর্বশেষ ১০ বছরের মধ্যে ইসু কৃত, কমপক্ষে দুইটি পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকতে হবে এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোম্পানি তিন মাস বইতে থাকতে হবে।
  • সদ্য তোলা রঙিন ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর।
  • সঠিকভাবে পূরণকৃত ও স্বাক্ষরতা আবেদন ফরম। 
  • নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অফার লেটার বা চুক্তিপত্র।
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র/সার্টিফিকেট। 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। 
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট। 
  • আবাসনের প্রমাণ অর্থাৎ হোটেল বুকিং বা আমন্ত্রণপত্র। 
  • আর্থিক সামর্থের প্রমাণপত্র যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • ইউরোপিয়ান স্টাইলের সিভি। 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID কার্ডের ফটোকপি। 
  • সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র (প্রয়োজন ক্ষেত্রে)। 
  • ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)।

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন 

প্রতিবছর লিথুনিয়া সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ অধ্যক্ষ কর্মী নিয়োগ দেন। তাই যারা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে লিথুনিয়া যেতে চান তাদের আগে অবশ্যই সঠিক আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়ার সঠিকভাবে পূরণ না করতে পারলে লিথুনিয়া যাওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। চলুন আজকের পোস্টে প্রয়োজনীয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ধাপগুলো তুলে ধরা যাক।

প্রথমত ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হলে একটি জব অফার লেটার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য অনলাইনে বিভিন্ন জব পোর্টালের মাধ্যমে লিথুনিয়া বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে আবেদন করতে হবে। যদি আপনার আবেদনটি যথাযথভাবে গৃহীত হয় তাহলে তাহলে কোম্পানি আপনার জন্য একটু ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে জব অফার লেটার পাঠাবে।

আরো পড়ুনঃ বেলারুশ কাজের ভিসা - বেলারুশ ভিসা ফর বাংলাদেশী ২০২৫

যখন আপনি জব অফার লেটার সংগ্রহ করতে পারবেন তখন নিজে থেকে লিথুনিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন ফ্রি পরিশোধ ও ইন্টারভিউ সম্পন্ন করতে হতে পারে। তবে আবেদন ফরমটি অবশ্যই ল্যাটিন অক্ষরে ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণের পর এটি প্রিন্ট করে স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস সহ জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশের লিথুনিয়া কোন দূতাবাস নাই এজন্য আবেদন জমা দিতে হবে VFS global সেন্টারে। তবে আবেদন জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। কারণ সেখানে অনেক ধরনের ভিসার কাজের চাপ থাকে যার কারণে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। D টাইপ ভিসার জন্য আবেদন ফ্রি ১২০ ইউরো (প্রায়ই বাংলাদেশী টাকায় ১৬৭০০)। টাকার মানের উপর নির্ধারণ করে বেশি হতে পারে।

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন: লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত?

উত্তর: অন্যান্য আরো সকল খরচ বাদে শুধুমাত্র ভিসা  প্রক্রিয়া ও এজেন্সি ফি সহ খরচ আনুমানিক ১২০০০০-২০০০০০ টাকা।

প্রশ্ন: লিথুনিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত? 

উত্তর: ভি শফি প্লাস ইউনিভার্সিটি সহ মোট খরচ প্রায় ৪০০০০০-৬০০০০০ টাকা। 

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে লিথুনিয়া ফ্লাইট ভাড়া কত? 

উত্তর: ওয়ান ওয়ে টিকিট কাটলে খরচ পড়বে ৭৫০০০-১৩০০০০ টাকা। 

প্রশ্ন: সস্তায় লিথুনিয়া যাওয়ার রুট কোনটা? 

উত্তর: ট্রানজিট সহ তুরস্ক, কাতার হয়ে গেলে ভাড়া কম লাগে। 

প্রশ্ন: লিথুনিয়ায় আবাসনের খরচ কত? 

উত্তর: শেয়ার্ড বাসা/ডরমেটরি প্রতিমাসে ১২০০০-২৩০০০ টাকা অর্থাৎ ১০০-২০০ ইউরো। 

লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি 

যারা প্রবাসী হিসেবে লিথুনিয়া কাজের জন্য যেতে চান তাদের অবশ্যই জানার প্রয়োজন লিথুনিয়া কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচাইতে বেশি। লিথুনিয়া শ্রম বাজারে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন পেশার কাজ রয়েছে তবে যে সকল খাত গুলোতে কাজের চাহিদা রয়েছে অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে সে সকল চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো নিজে উল্লেখ করা হলো। 

  • কারখানায় ফ্যাক্টরি হেলপার 
  • প্যাকেজিং ও লেবেলিং কর্মী 
  • খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কর্মী 
  • স্টোরকিপার গুদাম হাউসে 
  • গুদাম হাউসে মালামাল লোডিং-আনলোডিং কর্মী 
  • রাজমিস্ত্রি 
  • Plumber 
  • ইলেকট্রিশিয়ান 
  • টাইলস বসানো মিস্ত্রি 
  • সাধারণ নির্মাণ শ্রমিক 
  • হোটেল ক্লিনার বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী 
  • হাউসকিপার 
  • কিচেন হেলপার 
  • ডিশ ওয়াশার 
  • হোটেল হেলপার 
  • ডেলিভারি রাইডার 
  • ট্রাক ড্রাইভার 
  • নার্স 
  • কেয়ারগিভার (বয়স্কদের যত্ন নেওয়া) 
  • সিজনাল ফার্ম (ফল সংগ্রহ, সবজি রোপন)

লিথুনিয়া কাজের বেতন কত 

লিথুনিয়া বিভিন্ন কাজের বেতন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশের অনেক নাগরিক লিথুনিয়া কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন যার কারণে অবশ্যই কোন কাজের বেতন কত এ ধরনের আইডিয়া থাকলে তাদের পারমিট আবেদন করতে সুবিধা হবে। যারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাদের ঘন্টা ভিত্তিক বেতন ধরা হয়। এছাড়াও ওভারটাইম করার সুযোগ রয়েছে।

লিথুনিয়া-যেতে-কত-টাকা-লাগে

  • লিথুনিয়ায় যারা ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করেন তাদের বেতন আনুমানিক ৭৫০-৯৫০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৮৬০০০-১১০০০০ টাকা। 
  • নির্মাণ শ্রমিকের বেতন ৯৮০০০-১৩৮০০০ টাকা। 
  • পোশাক কারখানায় আযারা ডেলিভারির কাজ করেন তাদের বেতন মাসিক ৯২০০০-১১৫০০০ টাকা। 
  • হোটেল হেলপার বা ক্লিনারদের মাসিক গড় বেতন ৮০০০০-১০৩০০০ টাকা। 
  • যারা লিথুনিয়া ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন তাদের মাসিক গড় বেতন ১৩৮০০০-১৭০০০০ টাকা। 

অর্থাৎ উপরিউক্ত আলোচনা সাপেক্ষে বলা যায় যে যারা দক্ষতা নিয়ে এবং কাজের অফার লেটার নিয়ে যান তারা ভালো বেতন আশা করতে পারেন। বিদেশে সবচাইতে যেটি বেশি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে ভাষা। আপনি যদি ইংরেজি ভাষা ভালো জানেন তাহলে সেখানকার স্থানীয় লোকজনের সাথে কমিউনিকেশন ঠিক থাকলে আপনি উন্নতি করতে পারবেন।

কম খরচে লিথুনিয়া যাওয়ার উপায় 

কম খরচে লিথুনিয়া যাওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বাংলাদেশ থেকে যারা লিথুনিয়ায় যেতে চান যেকোন ভিসায় যেমন ওর পারমিট স্টুডেন্ট ভ্রমণ ইত্যাদি তারা অনেকেই মনে করেন কম খরচে কিভাবে লিথুনিয়া যাওয়া যায়। লিথুনিয়া যেহেতু একটি সেনজেনভুক্ত ইউরোপিয়ান দেশ তাই এ দেশে যাওয়ার খরচ অন্যান্য এরাবিয়ান দেশগুলোর চাইতে বেশি। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব। 

  • ফ্লাইট বুকিং আগেভাগে করার চেষ্টা করবেন অর্থাৎ যাত্রার ১-৩ মাস আগে টিকিট বুক করার চেষ্টা করবেন এ সময় ফ্লাইটের দাম কম থাকে।
  • ট্রানজিট রোড বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন অর্থাৎ ঢাকা থেকে ইস্তানবুল/দোহা এরপর ভিলনিয়াস রুটে ট্রানজিট নিলে খরচ অনেকটা কম হয়। যদি সরাসরি ভিলনিয়াসের টিকিট না পাওয়া যায় তাহলে পোল্যান্ড বা লাটভিয়ার কোন শহর হয়ে যেতে পারেন সেখান থেকে বাসে লিথুনিয়া।
  • অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভ্রমণ করলে ফ্ল্যাট ভাড়া কিছুটা কম হয়। 
  • যারা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জন্য যান তারা নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল বা ছাত্রাবাস বেছে নিতে পারেন এছাড়া ডরমেটরি বা শেয়ার এপয়েন্টমেন্ট খরচ কম হয়। 
  • এছাড়া ভিসার জন্য নিজে নিজে আবেদন করলে এজেন্সি চার্জ বাঁচানো যায়। 
  • লিথুনিয়া যাওয়ার পরে পাবলিক বাস ও ট্রেন এ যাত্রা করলে ছাত্র কর্মীদের জন্য ডিসকাউন্ট আছে।
  • এ দুনিয়া যাওয়ার পরে নিজে রান্না করে খেলে খরচ কম হয়। 
  • লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ অনেকটাই নির্ভর করে থাকবে আপনার যাওয়ার পরিকল্পনা কৌশল এবং ভিসার উপর।

লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত 

লিথুনিয়া যারা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদের অবশ্যই বেতন সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। ইউরোপিয়ান দেশ আর সবাই জানে ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে বেতন বেশি হয়। অনেকেই যান যারা কাজের দক্ষতা ভিত্তিক কাজের অফার লেটার অর্থাৎ ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আবার অনেকেই অদক্ষ হিসেবে দিয়ে থাকেন। 

তবে লিথুনিয়া যারা সকল প্রসেসিং ঠিকঠাক করে কাজে যান তাদের সর্বনিম্ন বেতন আনুমানিক ৭৪০ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় ৮৫০০০-৮৭০০০ টাকা। ঘন্টা প্রতি সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৫২০-৬০০ টাকা। এ বেতন সাধারণত যারা অদক্ষ শ্রমিক নতুন কর্মী বা ট্রেনিং অবস্থায় রয়েছেন হোটেল ফ্যাক্টরি কৃষি নির্মাণ ইত্যাদি খাতে তাদের জন্য প্রযোজ্য। 

তবে অনেকেই আছেন যারা সর্বনিম্ন ৪০-৬০ হাজার টাকা বেতন পান। এর কারণ হতে পারে তারা হয়তো ভালো কোম্পানি মালিক পান নি, অথবা ইংরেজি ভাষা জানা নাই, কাজের ট্রেনিং ভালোভাবে করেনি এ ধরনের শ্রমিকরা কম বেতন পেয়ে থাকে। তবে অবশ্যই যদি পরিচিত কেউ থাকে তাদের কাছে ভালো করে বুঝে নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই সর্বনিম্ন ৮৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতে পারবেন।

লিথুনিয়া যাওয়ার খরচ সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: লিথুনিয়া প্রথমবার যাওয়ার পরে শুরুতে কত ইনকাম করা যায়? 

উত্তর: সর্বনিম্ন বেতন ৭০-৮৫ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশীরা লিথুনিয়ায় কোন কাজ বেশি করে?

উত্তর: হোটেল, ফ্যাক্টরি, গুদাম, নির্মাণ, কৃষি ইত্যাদি। 

প্রশ্ন: পার্ট টাইম কাজ পাওয়া যায়? 

উত্তর: হ্যাঁ, স্টুডেন্টরাও সপ্তাহে ২০-২৫ ঘন্টা কাজ করতে পারে। 

প্রশ্ন: এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ কত বেশি লাগে? 

উত্তর: এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ১-২ লক্ষ টাকা বেশি লাগতে পারে তবে এটি এজেন্সির উপর নির্ভর করে। 

প্রশ্ন: ভিসা রিজেক্ট হলে টাকা ফেরত আসে? 

উত্তর: না, ভিসা ফি ফেরত যোগ্য নয়।

শেষ মন্তব্যঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

আজকের পোস্টটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে যারা দীর্ঘদিন যাবত ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কারণ অনেকেই ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে চান কিন্তু বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে যাবেন কত টাকা লাগতে পারে ইত্যাদি সম্পর্কে। তবে এটা জেনে রাখা ভালো লিথুনিয়া যেতে ভিসা বাদে শুধু ফ্লাইট খরচ ঢাকা টু ভিলনিয়াস ৭৫০০০-১৩০০০০ টাকা। অবশ্যই ভালো বিশ্বস্ত এজেন্সি যাচাই-বাছাই করে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url