আজকের নামাজের নিষিদ্ধ সময় - নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট

নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট এবং কেন এই সময়ে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ এ ব্যাপারে প্রত্যেক মুসলিম জাতির জানা অত্যন্ত জরুরী। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, তবে এমনও কিছু সময় রয়েছে যে সময়গুলোতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।
নামাজের-নিষিদ্ধ-সময়-কত-মিনিট
তাই যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তাদের অবশ্যই নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। কারণ নামাজ পড়া ফরজ কিন্তু এমন কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে যেগুলোতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ বা অনুচিত। এ নিষিদ্ধ নামাজের সময় সম্পর্কে ধারণা না থাকলে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল হয়ে যেতে পারে।

সূচিপত্রঃ নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট 

নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট 

নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট আজকের পোস্টে এ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। আর যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না সে মুসলিম বলে গণ্য হবে না। অনেকেই নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে জানতে চান। ইসলামে কোন সময়গুলোতে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে সে সম্পর্কে ধারনা নেওয়া উচিত।

অনেকেই হয়তো জানে না তিনটি সময়ে নামাজ পড়া নিষেধ। হ্যাঁ ইসলামিক বিধান মতে কিছু নির্দিষ্ট সময়ের নামাজ আদায় থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে আর সে সময় গুলোতে নামাজ পড়লে গুনাহ হবে। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক নামাজের নিষিদ্ধ সময় গুলোতে কোন ধরনের নফল, সুন্নাত বা অন্য কোন নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। 

  1. সূর্যোদয়ের সময় সাদিকের পর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত প্রায় ১৫-২০ মিনিট নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। 
  2. এবং সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে থাকে অর্থাৎ যোহরের ঠিক আগে ১০-১৫ মিনিট নামাজ আদায় নিষিদ্ধ। 
  3. সূর্যাস্তের সময় অর্থাৎ মাগরিবের আগে ১৫-২০ নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।

আজকের নামাজের নিষিদ্ধ সময় 

আজকের নামাজের নিষিদ্ধ সময় জানতে চান, তাহলে চলুন আপনাদের আজকে ৮ মে ২০২৫, ঢাকা ও রাজশাহী জেলার জন্য নামাজের নিষিদ্ধ সময় উল্লেখ করা যাক। নামাজের নিষিদ্ধ সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় নির্ধারণ থাকে কারণ নিষিদ্ধ সময় মূলত সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের উপর নির্ভর করে হয়, যার কারণে সময় জায়গা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

ঢাকা জেলার ক্ষেত্রে

  • সূর্যোদয়ের সময় সকাল ৮: ১৮ থেকে ৫:২৮ থেকে প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ এ সময় নামাজ পড়লে গুনাহ হবে। 
  • জাওয়াল সূর্য মধ্যাকাশে থাকার সময় প্রায় ১১ঃ৫০ থেকে ১২:০০ পর্যন্ত নামাজ পড়া নিষিদ্ধ অর্থাৎ এ সময় সূর্য ঠিক মাথার উপরে থাকে।
  • সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৬:৪০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ১০ মিনিট নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। 

রাজশাহী জেলার ক্ষেত্রে 

  • সূর্য সূর্যোদয়ের সময় সকাল ৫:২৬ থেকে ৫:৩৬ মিনিট প্রায় প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। 
  • যাওয়াল সূর্য মধ্যাকাশে থাকার সময় অর্থাৎ ঠিক মাথার ওপরে থাকে প্রায় ১১:৫৫ থেকে ১২:৫ মিনিট পর্যন্ত নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। 
  • সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৬:৩৮ মিনিট থেকে ৬:৪৮ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ।

নামাজের নিষিদ্ধ সময় ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ 

নামাজের নিষিদ্ধ সময় ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায় যে নামাজ একটি পবিত্র ইবাদত আর প্রত্যেক মুসলমানের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়েছে। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় ছাড়া কিছু নিষিদ্ধ সময় রয়েছে যেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামী প্রমাণ ও হাদিস অনুযায়ী অনেক আলেম ওলামা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। 

সহীহ মুসলিম ও সহীহ বুখারীতে হযরত ইকবা ইবনে আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত "৩টি সময় আছে যখন  রাসূলুল্লাহ (সা:) আমাদেরকে নামাজ পড়তে ও মৃতকে দাফন করতে নিষেধ করেছেন: সূর্য ওঠার সময়, সূর্য মাধ্যাকাশে থাকা সময় এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়"। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নামাজের জন্য নিষিদ্ধ থাকে।

আরো পড়ুনঃ সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ও ফজিলত দোয়াসহ বিস্তারিত

তবে এই সময় অনেকটা ঋতু এবং স্থানভেদে পরিবর্তন হতে পারে। এই নিষিদ্ধ সময়ে গুলোতে ফরজ, নফল, সুন্নাত নামাজ, কবর জিয়ারতের নামাজ, জানাজার নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। মুসলিম হিসেবে নামাজের নিয়ম মেনেই সময় মত নামাজ পড়া গুরুত্বপূর্ণ। নিষিদ্ধ সময় গুলোতে অবশ্যই নিজেকে নামাজ পড়া থেকে বিরত রাখতে হবে কারণ এটি আল্লাহর বিধান। 

নামাজের নিষিদ্ধ সময় নির্ধারণের কারণ 

ইসলামের সর্বপ্রথম স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ বা সালাত। আর এটি প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরজ করা হয়েছে এবং নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে। যারা নামাজের নিষিদ্ধ সময়ই সম্পর্কে জানেন না চলুন আজকে আলোচনা করা যাক ইসলামে নিষিদ্ধ সময় নির্ধারণ করার কারণ কি। 

ইসলামের অন্যতম একটি মূলনীতি হচ্ছে তাওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর উপর বিশ্বাস। বেশিরভাগ মুশরেকরা সূর্য উদয়ের সময় সূর্যকে পূজা করত যার কারণে ইসলামে তাদের উপাসনার সময়ে নামাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে "তোমরা সূর্য উদয় এবং অস্ত যাওয়ার সময় নামাজ পড়ো না কেননা এটা শয়তানের দুই শিং এর মাঝখানে ও উদয় ও অস্ত যায়"(সহীহ মুসলিম: ৮৩২)।

জাওয়ালের সময় অর্থাৎ সূর্য যখন মধ্যআকাশে থাকে তখন নামাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি এমন একটি সময় যখন দিন ও রাতের ভারসাম্য থাকে যার কারণে এ সময়ে আল্লাহর বিধান মতে নামাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহর সকল ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ইচ্ছামত নামাজ পড়া শৃঙ্খলা লংঘন করার পরিপন্থী বলা যায়। 

সকাল সন্ধ্যা সূর্য উদয় এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় মুশরিকরা তাদের বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করে থাকেন আর এই সময়গুলোতে মুসলমানদের সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ইসলাম তাওহীদের ওপর বিশ্বাস করে অর্থাৎ এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস কিন্তু মুশরিকরা বহু দেব-দেবীতে বিশ্বাস করে, যার কারণে তাদের উপাসনার সময় মুসলমানদের সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ।

নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট এ সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট স্থায়ী হয়? 

উত্তর: নামাজের নিষিদ্ধ সময় প্রায়ই ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়।

প্রশ্ন: কাজা নামাজ এই সময়ে আদায় করা যাবে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, কাজা নামাজের সময় আদায় করা যাবে। 

প্রশ্ন: নিষিদ্ধ সময়ে কি তাওয়াফ করা যাবে?

উত্তর: হ্যাঁ, তবে তাওয়াফ শেষে নামাজ আদায় করা যাবে না। 

প্রশ্ন: এ সময় কি দোয়া করা যাবে? 

উত্তর: হ্যাঁ, নামাজের নিষিদ্ধ সময় যেকোনো ধরনের দোয়া করা যাবে। 

প্রশ্ন: কবর জিয়ারত করা যাবে? 

উত্তর: হ্যাঁ, কবর জিয়ারত করা যাবে।

আজকে ফজর নামাজের নিষিদ্ধ সময় রাজশাহী

নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য নিষিদ্ধ। ইসলামী শরীয়তে সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ কারণ এ সময় সূর্য পূজারীরা সূর্যের উপাসনা করে। রাসূলুল্লাহ (সা:) নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন, কারণ মুশরিকদের রীতির সঙ্গে মুসলমানদের ইবাদত সাদৃশ্য নয়। তাই ইবাদতের সঠিকতা বজাই রাখার জন্য নিষিদ্ধ সময় নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

আজকে সকালে সূর্য ৫:২৬ মিনিটে ও দিতে হবে। যার কারণে ফজরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় হচ্ছে সকাল  ৫:২৬ থেকে ৫:৪১ মিনিট প্রায় ১৫ মিনিট নিষিদ্ধ। কারণ ফরজ নামাজ সূর্যোদয়ের পূর্বেই আদায় করা যথাযথ। সূর্যোদয়ের সময় থেকে প্রায় ১৫ মিনিট যেকোনো নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকুন। সময় পেরিয়ে গেলে ইসরাকের নামাজ পড়তে পারেন।

আজকে জোহরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় রাজশাহী

আজকে জোহরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় জানা থাকলে উক্ত সময়ে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা যাবে। সূর্য মাধ্যাকাশে পৌঁছানোর সময় নামাজ নিষিদ্ধ থাকে। ইসলামে নির্ধারিত সময় গুলোতে নামাজ আদায় করতে হবে এবং নিষিদ্ধ সময় গুলোতে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যোহরের নামাজ জাওয়ালের সময়ের পরে পড়ুন।

নামাজের-নিষিদ্ধ-সময়-কত-মিনিট

আরো পড়ুন 

নিষিদ্ধ সময়ে নফল ফরজ সুন্নত কোন ধরনের নামাজ পড়া যাবে না। আজকের জোহরের নামাজের নিষিদ্ধ সময়সীমা হল দুপুর ১১:৫৭ থেকে ১২:০৭ পর্যন্ত প্রায় ১০ মিনিট নিষিদ্ধ। এই সময়ের মধ্যে জোহরের নামাজ শুরু করা উচিত নয়।

আজকের নামাজের সময়সূচী রাজশাহী জেলা 

নামাজের সময়সূচী প্রত্যেক জেলার ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে যারা রাজশাহী এবং তার আশেপাশে বসবাস করেন তাদের জন্য আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী নিচে উল্লেখ করা হলো। তারা এখন পর্যন্ত। নামাজের সময়সূচী জানা থাকলে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কোন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয় না। আর প্রত্যেক ইবাদত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পালন করা উচিত। 

ফজর - সকাল ৪:০৪ AM - ৫:২৬ AM 

জোহর - দুপুর ১২:০২ AM - ৪:৩৯ PM

আসর - বিকাল ৪:৪০ PM - ৬:৩৬ PM

মাগরিব - সন্ধ্যা ৬:৩৮ PM - ৯:৫৯ PM 

ইশা - ৮:০০ PM - ৪:০৪ AM (পরবর্তী দিন) 

নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে মুসলিমদের জন্য সর্তকতা 

নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কিছু সতর্কতা রয়েছে। সতর্কতা অবলম্বন করে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ প্রত্যেক নামাজের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে আর সেই সময় নামাজ আদায় করায় উত্তম। নামাজের তিনটি নিষিদ্ধ সময় অর্থাৎ সূর্যোদয়ের সময় সূর্য মধ্যাকাশে থাকা এবং সূর্যাস্তের সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। চলুন কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত দেখে নেয়া যায়। 

  • নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়লে নামাজ গ্রহণ হয় না হাদিস দ্বারা স্পষ্ট বলা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়া নিষেধ।
  • নিষিদ্ধ সময় ইচ্ছাকৃত অনেকেই নামাজ পড়ে, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পড়ে তাহলে তার গুনাহ হবে। তবে অনিচ্ছাকৃত ভাবে পড়লে আল্লাহ ও চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। 
  • কেউ যদি নিষিদ্ধ সময়ে নফল নামাজ পড়ে তা বিদআত বা ইসলাম বিরোধী বলে গণ্য হবে।
  • নিশিতা সময়ে নামাজ পড়লে শয়তান ধোকা দেয়। শয়তানের ধোকা থেকে অবশ্যই নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। 
  • তাই নামাজ শুধু পড়া নয় নামাজ কোন সময় পড়া যাবে না সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। নিষিদ্ধ সময় নামাজ পড়া থেকে সচেতন থাকা একজন মুসলিমের পরিচয় বহন করে।

নিষিদ্ধ সময়ে কবর জিয়ারত ও দোয়া 

নিষিদ্ধ সময়ে কবর জিয়ারত ও দোয়া করা যাবে কিনা এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়। কারণ ইসলামের বিধি বিধান মেনে চলতে হলে অনেক কিছুই খেয়াল রাখতে হয়। যারা সচেতন তারা অবশ্যই এ ধরনের প্রশ্নগুলো করে থাকেন। তবে মুসলিম হিসেবে আমাদের ইসলামের সকল বিধি-নিষেধ মান্য করা উচিত। কারণ একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার তাকওয়া ও তাওহীদের মধ্যে প্রমাণিত হয়।

তবে নিষিদ্ধ সময়ে কবর জিয়ারত কিংবা দোয়া করা জায়েজ। ইসলামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী নিষিদ্ধ সময়ে যেকোনো নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। তবে দোয়া, তাসবিহ, তেলাওয়াত, কবর জিয়ারত বা অন্য এবাদত নিষিদ্ধ নয়। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন "তোমরা কবর জিয়ারত করো কারণ তা মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়"(মুসলিম শরীফ)। তবে নিষিদ্ধ সময়ে মৃত ব্যক্তির জানাজা পড়তে নিষেধ করা হয়েছে।

নামাজের নিষিদ্ধ সময়  প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: নামাজের নিষিদ্ধ সময় কেন নামাজ পড়া যাবে না?

উত্তর: কারণ এই সময়ে গুলোতে মুশরিকরা বা হিন্দুরা তাদের পূজা-পার্বণ করে থাকে যার কারণে এই সময় গুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে নামাজের জন্য। 

প্রশ্ন: এ সময় কি ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে? 

উত্তর: হ্যাঁ, ইসলামের সব ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে। 

প্রশ্ন: নামাজের নিষিদ্ধ সময়ের কোন নামাজ গুলো পড়া যাবে না? 

উত্তর: সুন্নাত, নফল (এশরাক, চাশত) ও আরো অন্যান্য নামাজ পড়া যাবে না।

প্রশ্ন: নামাজের নিষিদ্ধ সময় কয়টি? 

উত্তর: নামাজের নিষিদ্ধ সময় তিনটি।

শেষ মন্তব্যঃ নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট 

আমাদের নিষিদ্ধ সময় ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নামাজের নিষিদ্ধ সময় প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট অথবা ২০ মিনিট হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে নামাজ পড়া উচিত নয়। ৩ সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ হলেও কোরআন তেলাওয়াত জিকির কবর জিয়ারত অন্যান্য ইবাদত করা যাবে। 

তবে যারা এখন পর্যন্ত নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে জানেন না তারা আজকের এই পোস্ট থেকে নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে সচেতন এবং শরীয়তের বিধান গুলো জেনে নিতে পারেন। কারণ নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত যেন নামাজ গ্রহণযোগ্য হয় এবং আল্লাহ খুশি হন। নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ এবং খুশু ও খুজুর সাথে আদায় করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url