ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি, ভাড়া ও সেরা ট্রাভেল গাইড ২০২৫

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫ সালের বিস্তারিত অনেকে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক ভাবে পাচ্ছেন না। তাই যারা এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময় ভাড়া বিস্তারিত আলোচনা করব।

ঢাকা-টু-চাঁদপুর-লঞ্চের-সময়সূচি-ও-ভাড়া

ঢাকা টু চাঁদপুর রুটে লঞ্চ ভ্রমণ একটি জনপ্রিয় মনোরম যাত্রা। প্রতিদিনের অসংখ্য যাত্রী এই রুটে যাতায়াত করে থাকেন। যদি আপনি আপনার যাত্রা কে সহজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫ সম্পর্কে জানতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫ 

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ভাড়া ২০২৫ সালের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। যা অনেকেই জানে না। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। ২০২৫ সালের লঞ্চ চলাচলের সময়সূচি ভাড়ার কাঠামো কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে শুধুমাত্র যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য। যাত্রীদের যাত্রাটা আরো আনন্দময় করার জন্য নতুন নতুন কেবিন ও ঘরে বসে যাতে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছে। এখন যে কেউ ঘরে বসে খুব সহজে লঞ্চের টিকিট কাটতে পারে।

বাংলাদেশের নদী ভিত্তিক যোগাযোগ এখনো অনেক অঞ্চলের সাথে দেখা যায়। বিশেষ করে চাঁদপুর কুমিল্লা এই জেলাগুলোতে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের যাত্রা। ঢাকার রাজধানী থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য যাত্রী চাঁদপুরে গমন করে। কেউ ব্যবসার জন্যে বা কেউ ঘুরে ঘুরে জন্য লঞ্চে করে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেকেই জানে না এ যাত্রায়দের সময়সূচি ও ভাড়া। তাই এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর রুটের দূরত্ব ও সময়

ঢাকা থেকে চাঁদপুর রুটের দূরত্ব প্রায় ৭০ থেকে৮০ কিলোমিটার হবে। কিন্তু এই দূরত্ব নির্ভর করে আপনি কেমন লঞ্চের মাধ্যমে যাতায়াত করতেছেন এবং লঞ্চটি কম পথ দিয়ে যাত্রা করছে। নদী পথে দূরত্ব তুলনামূলকভাবে সোজা হলেও মাঝে মধ্যে পরিবর্তন হয়। স্রোতের গতি এবং আবহাওয়ার ভিন্নতার কারণে দূরত্বের ভিন্নতা দেখা যায়। কিন্তু সচরাচর ভালো লঞ্চে চলাচল করলে একই দূরত্ব থাকে।
ঢাকা থেকে চাঁদপুর রুটে চলাচল করার জন্য সময় লাগে তিন থেকে চার ঘন্টার মত। কিন্তু আপনি যদি রকেট স্টিমের বা দ্রুতগতিক স্পিডবোট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার সময় আরো কমে আসবে। তখন আপনি দুই ঘন্টা থেকে আড়াই ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে আবহাওয়ার ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় থামতে হয় যার কারণে অনেক সময় বেশি সময় লেগে যায়। তাছাড়া ভারী বৃষ্টিপাত হলে লঞ্চ আস্তে আস্তে চলে। তখন একটু সময় বেশি লাগে।

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চ ছাড়ার সময় সূচি

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫ আরো উন্নত করেছে সরকার। নিয়মের মধ্যে সব লঞ্চগুলো যাত্রা শুরু করে। বিশেষ করে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে সময়সূচি গুলো ঠিক করা হয়। যাতে করে যথাযথ সময়ে সবাই ভ্রমন করতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই লঞ্চ ছাড়ার সময় সূচি।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়সূচিঃ
  •  বিকেল ৩:০০ টা – কিছু নির্দিষ্ট লঞ্চ যেমন দ্রুতগতির ছোট লঞ্চ বা নির্দিষ্ট সার্ভিস।
  •  বিকেল ৪:০০ টা – অনেক জনপ্রিয় লঞ্চ এই সময় ছাড়ে, যাত্রী তুলনামূলক কম থাকে।
  •  বিকেল ৫:০০ টা – যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়, মাঝারি আকারের লঞ্চ ছাড়ে।
  •  সন্ধ্যা ৬:০০ টা – ভিড় বেশি থাকে, বড় বড় লঞ্চ এই সময়ে ছাড়ে।
  •  সন্ধ্যা ৭:০০ টা – ব্যস্ততম সময়, বেশিরভাগ যাত্রী রাতে যাত্রা করে।
  •  রাত ৮:০০ টা – সর্বশেষ বড় লঞ্চগুলো সাধারণত এই সময়ের মধ্যে সদরঘাট থেকে ছাড়ে।
  •  রাত ৯:০০ টা পর্যন্ত (বিশেষ দিনে) – ঈদ বা সরকারি ছুটির সময় অতিরিক্ত লঞ্চ দেওয়া হয়।

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের নাম গুলো কি কি

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫ সালের সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেও অনেকে আছেন যারা লঞ্চ এর নাম গুলো ভালোভাবে জানেন না। আর না জানার কারণে কোনটা ভালো আর কোনটা ভালো নেই সে সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না। তখন তারা না জেনেই যে কোন লঞ্চে যাত্রা শুরু করে এবং তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে লঞ্চের নাম গুলো বিস্তারিত জানাবো।

ঢাকা টু চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী জনপ্রিয় লঞ্চগুলো দেওয়া হলোঃ ঢাকা টু চাঁদপুর (সকাল–বিকেল)
এম.ভি. সোনার তরী
এম.ভি. মেঘনা রাণী
এম.ভি. বোগদাদীয়া‑৭
এম.ভি আব‑এ‑জমজম‑১/তাকওয়া
এম.ভি মিতালী‑২
এম.ভি স্বর্ণদ্বীপ‑৮
এম.ভি ইমাম হাসান‑২/‑৫
এম.ভি ময়ূর‑২/‑৭
এম.ভি ঈগল‑২/৩
এম.ভি রফ রফ
এম.ভি ঈগল‑৭
এম.ভি সোনার তরী‑১
এম.ভি নিউ আল বোরাক
রাত্রী সেবা ঢাকা টু চাঁদপুর
  • এম.ভি আব‑এ‑জমজম 
  • এম.ভি রফরফ‑২ 

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের এসি চেয়ার ভাড়া

দূরের পথে যাত্রার জন্য অনেকেই আছেন যারা এসি চেয়ার ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে যারা উচ্চবিত্ত ফ্যামিলি। যারা ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চ করে যাতায়াত করতে চাচ্ছেন কিন্তু এই লঞ্চের এসি চেয়ারের ভাড়া কত অনেকেই জানেন না। না জানার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের জন্য যেতে হয়। আর এই সাহায্য নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন। তাহলে চলুন জেনে নেই ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চ এর এসি চেয়ারের ভাড়া।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চের এসি চেয়ারের ভাড়া সাধারণত ২০০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। এসি চেয়ারের পাশাপাশি যদি আপনি ডাবল অথবা সিঙ্গেল কেবিল নিতে চান তাহলে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে ঈদ অথবা হিন্দুদের পূজার সময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নিয়ে থাকেন। তবে টিকিট কাটার সময় অবশ্যই সবকিছু ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে।

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের নন এসি সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিন ভাড়া

ঢাকা থেকে চাঁদপুর  চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে সিঙ্গেল এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া যাত্রীসেবার মান ও লঞ্চের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন  হতে পারে। সাধারণত সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই কেবিনগুলো এক জন যাত্রীর জন্য নির্ধারিত এবং এসি সুবিধা বা উইন্ডো ভিউর ওপরেও দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে। কিছু লঞ্চে নন-এসি কেবিনও পাওয়া যায়, সেগুলোর ভাড়া তুলনামূলক কম, সাধারণত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।

অন্যদিকে, ডাবল কেবিন বা কাপল কেবিনের ভাড়া সাধারণত ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এসব কেবিনে দুইজন যাত্রী খুব আরামদায়কভাবে থাকতে পারেন এবং অনেক কেবিনে আলাদা বাথরুম, এসি, আলাদা টেলিভিশন ইত্যাদি সুবিধা থাকে। ভাড়ার পরিমাণ ঈদ বা বিশেষ মৌসুমে সাময়িকভাবে কিছুটা বাড়তেও পারে। কেবিন বুকিংয়ের জন্য লঞ্চ ছাড়ার ১–২ দিন আগে লঞ্চ অফিসে যোগাযোগ করা ভালো, বিশেষ করে যদি ছুটির দিনে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা থাকে।

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চ কোন কোন দিন বন্ধ থাকে

ঢাকা থেকে চাঁদপুর  প্রতিদিন নিয়মিতভাবে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে থাকে। এই রুটে কোনো নির্দিষ্ট সপ্তাহিক বন্ধ নেই, অর্থাৎ শনিবার, রবিবার বা অন্য কোনো দিন লঞ্চ বন্ধ থাকে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় অনুযায়ী লঞ্চগুলো ছেড়ে যায় এবং যাত্রীরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারেন। তবে সরকারি ছুটি বা ঈদের মতো উৎসবের সময় ভিড় বেশি থাকে, কিন্তু চলাচল বন্ধ হয় না। সাধারণ যাত্রার ক্ষেত্রে আপনি যেদিন যাবেন দিনেই ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যাওয়া যায়।


তবে, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকতে পারে। যেমন– ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড় বা নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ  নিরাপত্তার কারণে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা বা হঠাৎ করে জারি করা কারফিউ বা সরকারি নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকতে পারে। তাই যাত্রার আগে আবহাওয়া পরিস্থিতি ও নৌ-পরিবহন দপ্তরের নোটিশ দেখে নেওয়া  উচিত।

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের অনলাইনে ও অফলাইনে বুকিং এর সুবিধা

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে ভ্রমণের জন্য এখন অনলাইন বুকিং সুবিধা পাওয়া যায় ঘরে বসেই, যা যাত্রীদের জন্য অনেক সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী হয়েছে। বেশ কিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Shohoz.com, Launchbd.com মাধ্যমে যাত্রীরা ঘরে বসেই টিকিট কাটতে পারেন। কষ্ট করে বাইরে যাওয়া লাগে না। প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন লঞ্চ কোম্পানির সময়সূচি, ভাড়া এবং আসন অনুযায়ী টিকিট দেখা যায় এবং মোবাইল  মাধ্যমে পেমেন্ট করে সহজেই বুকিং নিশ্চিত করা যায়। ফলে কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই টিকিট নিশ্চিত করা সম্ভব।

অন্যদিকে, যারা অনলাইন ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না, তারা সহজেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে অফলাইনে বুকিং করতে পারেন।  লঞ্চ ছাড়ার আগের দিন বা একই দিন লঞ্চ কোম্পানির নিজস্ব কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটা যায়। অফলাইনে বুকিং করলে যাত্রীরা সরাসরি লঞ্চ দেখে আসন নির্বাচন করতে পারেন এবং অনেকে এতে বেশি আত্মবিশ্বাস পান। তবে বিশেষ দিবস বা ছুটির সময়ে টিকিট সংকট হতে পারে, তাই আগে থেকে বুকিং করাই ভালো। ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫ জানা অনেক সহজ।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর দ্রুতগামী লঞ্চ কোনটা

ঢাকা থেকে চাঁদপুর রুটে যেসব দ্রুতগামী লঞ্চ চলাচল করে, সেগুলোর বাংলা নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
এমভি সোনারতরী-১
এমভি প্রিন্স আউলাদ-৫
এমভি গ্রীন লাইন
এমভি বাংলা সুন্দরবন-৭
এমভি আওলাদ-১০
এমভি রফরফ-৩
এমভি তাজ প্রতাপ-৫
উপরের উল্লেখিত লঞ্চগুলো সাধারণত দ্রুত গতিতে চলাচল করে এবং সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছায়। তবে যাত্রার আগে নির্দিষ্ট লঞ্চের সময়সূচি যাচাই করে নেওয়া উচিত।

ঢাকা টু চাঁদপুর কোন লঞ্চে এসি চেয়ার আছে ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কেমন

ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যাতায়াতের জন্য এসি চেয়ারে বেশ সুবিধা হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্যতম এমভি গ্রীন লাইন, এম ভি সোনার তরী-১, এমভি প্রিন্স আওলাদ-৫। এ কয়েকটি লঞ্চে এসির চেয়ার রয়েছে। আর এগুলোতে এসির চেয়ার রাখার কারণে যাত্রীরা গরমে আরাম করে যেতে পারে। বিশেষ করে গ্রীন লাইন ওয়াটার বাসে আধুনিক আসন , টিভি স্কিন ইত্যাদি থাকার কারণে সবাই অনেক আরামদায়ক যাত্রা করে
ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হিসেবে  এসি চেয়ার লঞ্চে যাত্রা অত্যন্ত আরামদায়ক এবং সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছায় বলে যাত্রীরা সন্তুষ্ট থাকেন। অনেকেই পরিবারসহ এই ধরনের লঞ্চে যাতায়াত করে থাকেন কারণ এতে শব্দদূষণ কম, ভিড় কম হয় এবং সিট নম্বর নির্ধারিত থাকে বলে বিশৃঙ্খলা কম থাকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ভদ্র আচরণও এসব লঞ্চের বড় একটি দিক। যাত্রাপথে পদ্মা-মেঘনার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতেও সুযোগ থাকে, বিশেষ করে কাচের জানালা দিয়ে বসে বসে নদীর প্রকৃতি দেখতে বেশ ভালো লাগে।

ঢাকা টু চাঁদপুর সন্ধ্যার পর লঞ্চ যাত্রার নিরাপদ সতর্কতা বিষয়ক পরামর্শ

সন্ধ্যার পর লঞ্চে যাত্রা করার সময় নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ  সবার জন্য।  বিশ্বস্ত ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত লঞ্চ নির্বাচন করা উচিত, যেমন ঃগ্রীন লাইন, সোনারতরী বা প্রিন্স আউলাদ-এর মতো নির্ভরযোগ্য সার্ভিস। লঞ্চে ওঠার আগে যাত্রীর নাম, টিকিট নম্বর এবং গন্তব্য স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মালামাল নিরাপদে রাখার জন্য ব্যাগে তালা ব্যবহার করা এবং মূল্যবান জিনিস আলাদা করে সাবধানে রাখা উচিত।

সন্ধ্যার পর যেহেতু লঞ্চঘাট এবং নদীপথে আলোকস্বল্পতা থাকে, তাই নিজেকে অন্যদের থেকে সচেতন রাখতে হবে। অপরিচিত কারো সঙ্গে অতিরিক্ত কথা না বলা, খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকা এবং লঞ্চে নির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য আসনে বসা উচিত। পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে যাত্রা করা এবং প্রয়োজনে লোকেশন শেয়ার করা নিরাপদ। যাত্রাপথে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে জানানো দরকার। এসব ছোট ছোট সতর্কতা আপনার যাত্রাকে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত করে তুলবে।

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের পরিবার নিয়ে যাওয়ার সেরা সময় ও কেবিন

পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যাওয়ার সেরা সময় হচ্ছে সকালে অথবা বিকালে। দেখা যায় যে এই সময় নদীপথগুলো শান্ত অবস্থায় থাকে এবং আবহাওয়া অনেক ভালো থাকে। এই সময়টা শিশু এবং বয়স্কদের জন্য যাতায়াতের সেরা সময় বলা যেতে পারে। যদি আপনি সকালবেলা রওনা দেন তাহলে যেতে যেতে সকালের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। আর যদি বিকাল বেলা বের হন তাহলে সূর্যাস্তের সময় টুকুকে উপভোগ করতে পারবেন। তাই বলা যায় সকল বা বিকালে যাওয়াটাই ভালো।

যদি আপনি পরিবার নিয়ে যেতে চান তাহলে ডাবল অথবা এসি কেবিন গুলো ভালো হবে। এগুলোতে সবার প্রাইভেসি বজায় রাখা হয়। কেবিনের ভিতরে বাইরের অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারে না । চাইলে আপনি আরাম করি এর মধ্যে নির্দ্বিধায় ঘুমাতে পারেন। আর যদি বেশি সংখ্যক হয় তাহলে পাশাপাশি ২ টি কেবিন নিলে ভালো হয় । কেবিনের দাম সাধারণ চেয়ারে তুলনায় বেশি হলেও যাত্রাপথে এটি অনেক আরামদায় হয়ে থাকে।

ঢাকা টু চাঁদপুর বৃষ্টির সময় লঞ্চ চলে কিনা

বৃষ্টির সময় সাধারণত ঢাকা থেকে চাঁদপুর  লঞ্চ চলাচল চালু থাকে, তবে বৃষ্টি যদি অতি ভারি হয় বা ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, তাহলে বিআইডব্লিউটিএ এর নির্দেশে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এটি মূলত যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই করা হয়। সাধারণ বৃষ্টিপাত লঞ্চ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে না, কারণ আধুনিক লঞ্চগুলোতে ছাদ ও কাচের জানালা থাকার ফলে যাত্রীরা ভিজে যাওয়ার ভয় ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।

তবে বর্ষাকালে বা নিম্নচাপের সময় নদীতে প্রবল স্রোত ও ঢেউ দেখা দিতে পারে, তখন কিছু সময়ের জন্য লঞ্চ ছাড়ার সময় পেছাতে পারে বা সম্পূর্ণ বাতিলও হতে পারে। এই কারণে বৃষ্টি বা ঝড়ের সময় যাত্রার আগে লঞ্চ ঘাটে খোঁজ নেওয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নোটিশ দেখা খুব জরুরি। অনেক সময় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পেজে বা মোবাইল নম্বরে আপডেট দিয়ে থাকে। নিরাপদ যাত্রার জন্য যাত্রীদের উচিত আবহাওয়া বিবেচনায় পরিকল্পনা করা এবং অতিরিক্ত সময় হাতে রাখা।

শেষ কথাঃ ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া ২০২৫ আলোচনা করা হয়েছে।ঢাকা থেকে চাঁদপুর রুটে লঞ্চ চলাচল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও নিয়মিত একটি যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লঞ্চ যেমন ডেক, নন-এসি চেয়ার, এসি চেয়ার, সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিন, এমনকি ভিআইপি কেবিনও পাওয়া যায়। যাত্রার সময় গড়ে ৩ থেকে ৩.৫ ঘণ্টা লাগে এবং সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিনিয়ত লঞ্চ ছেড়ে যায়। যাত্রীদের সুবিধার্থে সকাল ৬ঃ৪৫ থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট বিরতিতে লঞ্চ চলাচল করে। যা পরিবার, একক ভ্রমণকারী বা ব্যবসায়ী যাত্রী সবার জন্যই উপযুক্ত।

ভাড়ার দিক থেকে লঞ্চে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির আসনের জন্য ভিন্ন রেট নির্ধারিত আছে। যা ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকার ভিআইপি কেবিন পর্যন্ত । আবহাওয়ার অবস্থা, সরকারি নির্দেশনা ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের নীতিমালার উপর ভিত্তি করে সময় ও ভাড়ায় পরিবর্তন আসতে পারে, তাই যাত্রার আগে তথ্য যাচাই করে নেওয়া উচিত। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে লঞ্চে ভ্রমণ সহজ, আরামদায়ক ও নিরাপদ – বিশেষ করে যারা পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য কেবিন সুবিধা বড় একটি সুবিধা হিসেবে কাজ করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url