প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় ২০টি ট্রেন্ডিং উপায়ে ২০২৫

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন আপনার পছন্দের কাজ করে। আপনি কি জানেন সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়ে নিজের ইচ্ছামত এমনকি হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে কাজ করে আয় করতে পারেন। অনেকেই বাড়তি আয়ের খোঁজ করে থাকেন। 
প্রতি-সপ্তাহে-৪০০০-টাকা-পর্যন্ত-আয়-করুন
তাই যারা এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারেন না কোন ধরনের কাজ করে আপনি সপ্তাহে কিংবা মাসে ৪০০০-২০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন, তারা আজকের পোস্ট থেকে ঘরে বসে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজের আইডিয়াগুলো নিতে পারেন।

সূচিপত্রঃ প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন 

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার ২০টি উপায়

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন শুনতে অবাক লাগলেও হ্যাঁ এটাই সত্যি। প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার বা এর চাইতে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন যদি আপনার মেধা, ধৈর্য, ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম দিয়ে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই জীবনে সফলতার জন্য করতে পারবেন। আমাদের সবচাইতে বড় সমস্যা অধৈর্য এবং হতাশাগ্রস্থ। এ দুইটা কারণে আমরা সামনে এগোতে পারিনা। চলুন কিছু আইডিয়া তুলে ধরা যাক।

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংঃ অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করে সপ্তাহে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং শেখাটা সবচাইতে বেশি জরুরী। আপনি ভালোভাবে শিখে তারপরে কাজ শুরু করতে পারেন। যেমন কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি। এই কাজগুলো ভালোভাবে শিখে fiverr, upwork, freelancer এ প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করতে পারেন। এই প্লাটফর্মে কাজ করে দৈনিক ৫০০-১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ছোটখাটো অনলাইন বিজনেসঃ ঘরে বসেই ছোটখাটো অনলাইনে বিজনেস করতে পারেন। ঘরে তৈরি পণ্য যেমন কসমেটিক, হ্যান্ডি ক্রাফট, খাবার তৈরি করে, অনলাইনে অথবা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এ ধরনের বিজনেস করলে খুব সহজেই সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। তাছাড়া মানুষ বাড়ির তৈরি খাবার ও যে কোন পণ্য নিতে বেশি আগ্রহী হয়।

আরো পড়ুনঃ ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট ২০২৫

ক্ষুদে দোকান বা চা স্টলঃ সর্বপ্রথম যেটা বলা দরকার কোন ব্যবসা বা কোন কাজকে ছোট করে দেখার কোন প্রয়োজন নেই। যারা ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পাচ্ছে না তাদের জন্য ক্ষুদে দোকান বা চাই স্টল অন্যতম একটি পদ্ধতি বলা যেতে পারে। প্রথম চায়ের ব্যবসা অনেক লাভজনক কারণ শীত গরম এমন কোন দিন নাই যে মানুষ চা পান করে না। তাই ব্যস্ত এলাকায় চায়ের ব্যবসা করলে আয় বেশি হবে। 

বাসায় সেলাই কাজঃ অনেকেই মেশিনে সেলাই করতে পছন্দ করেন বা অভিজ্ঞতা আছে তারা সেলাই মেশিনের কাজ করে ব্লাউজ, কুর্তি, স্কুল ড্রেস ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাহলে সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করার কোন ব্যাপার নয়। আপনার হাতের তৈরি কাজ যদি ভালো হয় তাহলে অনেক অর্ডার পাবেন হলে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। 

ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিংঃ যারা উচ্চ শিখা অর্জন করে বেকার বসে আছেন তারা একটি কোচিং সেন্টার খুলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ক্লাস ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত অথবা ৬ থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের কোচিং এর ব্যবস্থা করতে পারেন। কোচিং এর ব্যবসা করে বর্তমানে অনেক হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কারণ একটা কোচিংয়ে যদি ২০ জন থাকে এবং মাসিক বেতন ৫০০ টাকা করে হলেও অনেক ইনকাম করা যায়। 

অনলাইন টাইপিং জবঃ অনলাইন টাইপিং জব করে বর্তমানে অনেক বেকার যুবক তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিয়েছে। বর্তমানে অনেক কম্পিউটারের দোকান অথবা অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে টাইপিং জব পাওয়া যায়। যদি আপনি টাইপিং এ খুব ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে এ ধরনের কাজগুলো করে আপনি সপ্তাহে ৪-৬ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

Youtube ভিডিও তৈরিঃ ট্রেন্ডিং একটি আয়ের উৎস হচ্ছে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করা। ছোট থেকে বড় সবাই এখন ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড দিচ্ছেন এবং সেই ভিডিও আপলোড দেওয়ার ফলে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। আপনিও যদি কষ্ট করে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে এবং প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করেন তাহলে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা বেশি আয় করতে পারবেন। 

কনটেন্ট রাইটিংঃ কনটেন্ট রাইটিং আয়ের অন্যতম একটি উৎস। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা কনটেন্ট লিখে নাই যেমন facebook পেজের জন্য কনটেন্ট ইউটিউব এর জন্য কনটেন্ট অথবা ব্লগিং ওয়েবসাইটের জন্য। তবে আপনি যদি খুব ভালো কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে যেমন Fiverr, Upwork ইত্যাদিতে একউন্ট খুলে গিগ পাবলিস্ট করে কনটেন্ট ডেলিভারির মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

গিফট আইটেম তৈরি করাঃ গিফট আইটেম তৈরি করে বিক্রি করা অন্যতম একটি আকর্ষণীয় আয়ের মাধ্যম হতে পারে। বর্তমান অনেকেই এখন অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের গিফট কিনে তাদের প্রিয়জনদেরকে দিয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যবসা খুব কম খরচে শুরু করা যায়, বাড়িতে বসে তৈরি করা যায়। আপনার হাতে তৈরি বানানো গিফট গুলো ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করুন ফেসবুক পেজ ইনস্টাগ্রাম বা ই-কমার্স সাইডে বিক্রি করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ক্যাসিনো গেম অনলাইন টাকা ইনকাম - ক্যাসিনো গেম ডাউনলোড ২০২৫

রং তুলির কাজ করে বিক্রি করাঃ রং তুলির কাজ গুলো অনেক চমৎকার। রং তুলির কাজ মানে হচ্ছে ক্যানভাস, কাগজ, কাপড় বা অন্যান্য মাধ্যমে ছবি আঁকা এবং তা বিক্রি করা। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের কাজগুলো করে আয় করা যায়। বাড়িতে বসেই মানুষের চাহিদা সম্পন্ন যেমন বাসা সাজানো, অফিস ডেকোরেশন, গিফট আইটেমের জন্য তৈরি করতে পারেন। কাগজের উপরে রঙের কাজ, পোশাকের উপরে বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজ নাম আর্ট করে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বিক্রয় করতে পারেন।

স্টক ভিডিও বিক্রি করাঃ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও যেমন প্রকৃতির, শহরের ব্যস্ততা, বিজনেস মিটিং, টেকনোলজি, খাবার প্রস্তুত, ট্রাভেল ভিউ, স্পোর্টস, লাইফ স্টাইল ইত্যাদির ভিডিও বানিয়ে আপনি স্টকে রাখতে পারেন। ভালো মানের ভিডিও বানিয়ে এডিট করে রাখলে বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেমন: shutterstock, Adobe stock, pond 5 এগুলোতে বিক্রি করতে পারেন। একটি ভালো ভিডিও বছরে ১০০+বার বিক্রি হতে পারে।

ইউটিউবের জন্য থাম্বনেইল ডিজাইন করাঃ ইউটিউবের জন্য থাম্বনেইল ডিজাইন করা ফ্রিল্যান্সিং ও ব্যক্তিগত ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ রয়েছে। অনেক ইউটিউবাররা থাম্বনেল এর জন্য পেমেন্ট করে। খুব সহজেই থাম্নেল শেখা যায়, বাড়িতে বসে কাজ করা যায়। থাম্নেইল তৈরির জন্য সাদা উজ্জ্বল ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করুন। এ ধরনের কাজ করে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সপ্তাহে ৪ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করা যায়।

ঘরে বসে আচার তৈরি করে বিক্রিঃ বর্তমানে অনলাইনে অনেকেই হোমমেড আচার ক্রয় করে থাকেন। সিজনালী বিভিন্ন ফলের টক মিষ্টি ঝাল আচার তৈরি করে facebook পেজে পোস্ট দিন এবং পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিন তাহলে গ্রাহকের ক্রয় করতে সুবিধা হবে। ফেসবুক পেজে মেসেজের অপশন রাখুন যেন গ্রাহকরা আপনার সাথে যোগাযোগ করে পণ্য ক্রয় করতে পারে। এভাবে সপ্তাহে অনেক টাকা আয় করা যায়। 

রেফারেল মার্কেটিংঃ রেফারেল মার্কেটিং হচ্ছে কোন এপ্স ওয়েবসাইট কোর্স বা প্রোডাক্ট অন্যকে রেফার করলে সে রেফার থেকে আয় করা যায়। কেউ আপনার রেফারের লিংক ব্যবহার করে একাউন্ট খুললে বা কিছু কিনলে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন। বিকাশ/ নগদ অ্যাপ রেফারেল ক্যাম্পেইন চালু রয়েছে। বিকাশ কিংবা নগদে ৫০ জনকে রেফার করলে ২৫০০-৫০০০ টাকা ইনকাম সম্ভব। দারাজ, এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এগুলোতে কাজ পাওয়া যায়।

অনলাইন সার্ভে করে আয়ঃ বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে পূরণ করে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি আয় করা যায়। এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলে ভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অর্থাৎ সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে অনেক বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট রয়েছে সার্ভে পূরণ করার সেগুলোর বিশ্বস্ততা যাচাই করে কাজ করবেন। 

ফেসবুক পেজ থেকে আয়ঃ বর্তমানে আয়ের অন্যতম একটি প্রধান উৎস হচ্ছে ফেসবুক পেজ। সকলে এখন ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিচ্ছে। এবং ভালো মানের ভিডিও আপলোড দিলে এক সময় মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন। তবে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা না, এর চাইতেও বেশি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে খুবই ট্রেন্ডিং চলছে ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার মাধ্যমে।

বই বিক্রির ব্যবসা করে আয়ঃ বর্তমানে মানুষ অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের বই ক্রয় করে থাকেন। চাইলে আপনি একটি বইয়ের দোকান দিতে পারেন অথবা অনলাইনে বইটির জন্য ফেসবুকে পেজ খুলে সেখানে পাবলিক করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের বই বিক্রয় করতে পারেন যেমন গল্পের বই, ইসলামিক বই, একাডেমি বই ইত্যাদি। এবং সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের বইগুলো বিক্রি করে আপনি 4000 টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম Daily Taka - প্রতিদিন ইনকাম

অনলাইন রিচার্জ/ মোবাইল ফ্লেক্সিলোডঃ অনলাইন রিচার্জ অথবা মোবাইল ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা অন্যতম একটি আয়ের উৎস বলা যায়। বর্তমানে ফোনে টাকা ভরে না এমন কেউ নাই। প্রত্যেকেই এখন মোবাইল ব্যবহার করে এবং রিচার্জের প্রয়োজন হয়। তাই এ ধরনের ব্যবসা গুলো খুবই লাভজনক প্রতিদিন এ ধরনের ব্যবসায়ী ৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। সপ্তাহে এর চাইতে আরো বেশি আয় করা সম্ভব। তাই যারা ঘরে বসে থেকে ভাবছেন কি করবেন এ ধরনের কাজগুলো করে আয়ের উৎস করে নিতে পারেন।

ব্রয়লার মুরগির খামারঃ যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা বয়লার মুরগির খামার তৈরি করে সপ্তাহে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে বয়লার মুরগি দামে কিছুটা সস্তা জন্য সব ধরনের পেশার লোকজন ক্রয় করতে পারে। তাই গ্রামে এ ধরনের মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। চাইলে ছোট একটি জায়গায় অল্প সংখ্যক ব্রয়লার মুরগি পালন করতে পারেন এবং নিজের একটি আয়ের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। 

মুদিখানার দোকানঃ আপনার বাড়ির মধ্যে কিংবা বাইরে ছোট কোন জায়গা থাকলে একটি ঘর তৈরি করে সেখানে ছোট একটি মুদি খানা দোকান দিতে পারেন। আর বাড়ির আশেপাশে খুচরা পণ্যের খুবই চাহিদা থাকে যার কারণে বিক্রয় অনেক বেশি হয়। আর এ ধরনের মুদিখানার দোকানগুলো দিয়ে সপ্তাহে 4000 এর তিন ডাবল বেশি ইনকাম করা সম্ভব। প্রথমত আপনাকে কোন ব্যবসা বা কাজকে ছোট করে দেখা চলবে না তাই এ ধরনের কাজগুলো আপনি নির্দ্বিধাই করতে পারেন।

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা ইনকাম কিভাবে সম্ভব? 

উত্তর: ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন টিউশন, রেফারেল মার্কেটিং বা ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে আয় করতে পারেন।

প্রশ্ন: শুধু মোবাইল দিয়ে কি ইনকাম সম্ভব? 

উত্তর: হ্যাঁ, অনলাইন সার্ভে, রেফারেল মার্কেটিং,  ফেসবুক পেজে ভিডিও বানানো ইত্যাদি করা যায়।

প্রশ্ন: কোন দক্ষতা না থাকলে কোথা থেকে শুরু করা যায়? 

উত্তর: শুরুতে youtube থেকে ফ্রিল্যান্সিং, ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং শেখা শুরু করুন আস্তে আস্তে ছোট ছোট কাজ নিন।

প্রশ্ন: ঘরে বসে মেয়েরা কিভাবে সপ্তাহে 4000 টাকা ইনকাম করতে পারে? 

উত্তর: ঘরে বসে সেলাই, মেহেদি ডিজাইন, অনলাইন কেক অর্ডার, রিভিউ লেখা বা অনলাইন ক্লাস নিয়ে আয় করতে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় 

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম একটি প্লাটফর্ম গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেক কাজ আছে যেমন লোগো, পোস্টার, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ক্যাটালগ, ফ্লাইয়ার ডিজাইন ইত্যাদি। এই কাজগুলো ভালোভাবে শিখে canva, Photoshop এই সফটওয়্যার গুলো দিয়ে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।

প্রতি-সপ্তাহে-৪০০০-টাকা-পর্যন্ত-আয়-করুন
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করতে পারেন যেমন canva, Adobe Photoshop, Adobe illustrator, pixellab, photopea  ইত্যাদি খুব সহজেই এ ধরনের কাজ শিখতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইন করে সপ্তাহে অনেক টাকা ইনকাম করা যায় যদি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলো ফেসবুকে ও লোকাল ক্লায়েন্ট শেয়ার করবেন এবং linkedin অ্যাকাউন্টে পোর্টফলিও শেয়ার করে কাজ পাওয়া যায়।

অনলাইন টিউশন করে আয় প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয়

অনলাইন টিউশনি করে অনেকেই সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করছে। যদি আপনি কোন একটি স্পেসিফিক সাবজেক্ট অথবা কয়েকটি সাবজেক্টে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন যেমন গণিত, ইংরেজি, বাংলা, ইসলাম শিক্ষা, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদি তাহলে ঘরে বসে zoom, whatsapp এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে পারেন। যদি ব্যাচ আকারে পড়ান তাহলে প্রত্যেক ব্যাচে ১০ জন স্টুডেন্ট থাকলে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

ঘরে বসে কেক বা স্ন্যাকস বিক্রি সপ্তাহে 4000 করে আয়

যদি আপনি রান্নার প্রতি খুবই পারদর্শী হন এবং রান্নার করতে ভালবাসেন তাহলে অবশ্যই ঘরে বসে কিছু খাবার বানিয়ে সেগুলো অনলাইনে অর্ডার নিয়ে বিক্রি করতে পারেন। ঘরে বসে কি এক বিস্কুট বা হালকা খাবার তৈরি করে লোকাল কাস্টমারদের কাছে বিডি বিক্রি করে খুব সহজেই প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন বা এর চেয়ে বেশি আয় করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকাম apps বিকাশে পেমেন্ট ২০২৫

এ ধরনের কাজগুলো বিশেষ করে গৃহিণী শিক্ষার্থী বা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পার্ট টাইম ইনকামের উপায় বলা যায়। ফেসবুক পেজ তৈরি করুন আকর্ষণীয় নাম দিন যেমন cake corner BD, Homemade Treats নিজের তৈরি খাবারের কোয়ালিটি ফুল ছবি পোস্ট করুন প্রাইস লিস্ট বানিয়ে পোস্ট করুন।

টি শার্ট ডিজাইন করে আয় প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা

টি শার্ট ডিজাইন অন্যতম একটি ইনকামের উৎস বলা যায়। বিভিন্ন ধরনের ইত্যাদি প্রিন্ট করে ডিজাইন তৈরি করুন এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বিক্রি করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। Canva, বা Adobe illustrator দিয়ে ডিজাইন শিখুন। ডিজাইন শিখে টি শার্ট বা মগে বসে আপলোড করুন পন্যের দাম নির্ধারণ করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করুন। 

একবার ভালো ডিজাইন করতে পারলে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন এবং সপ্তাহে ৪০০০ টাকা তো সম্ভাব্যই বরং মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। অনেক আকর্ষণীয় ডিজাইনগুলো শিখে যদি কাজ করতে পারেন তাহলে কম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে আপনি আপনার আয়ের উৎস আরও জমজমাট করতে পারেন।

ঘরে বসে বিউটি সার্ভিস দিয়ে আয় করা

ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিউটি সার্ভিস দিয়ে আয় করা যায়। যেমন: মেহেদী ডিজাইন, চুল কাটা, ফেসিয়াল ইত্যাদি করে সপ্তাহে ৪০০০ টাকা আয় করতে পারেন। মহল্লা গ্রামে বা পরিচিত মহিলাদের মাঝে সার্ভিস দিয়ে প্রথমে আপনার ব্যবসার প্রচার শুরু করবেন। এরপর যদি আপনার হাতের দক্ষতা ভালো হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই এ ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন এবং আপনার নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন মেহেদি ডিজাইন ছবি পোস্ট করুন। এই কাজগুলো এখন ঘরে বসেই অনলাইনে শেখা যায়। বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রির সাথে সাথে অন্যের বাড়িতে গিয়ে সার্ভিস দিয়ে বাড়িতে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে বিউটি সার্ভিস অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রত্যেকে এখন ত্বকের যত্ন নিতে পছন্দ করে তাই এ ধরনের কাজগুলো করে খুব সহজেই করতে পারেন।

প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন (FAQ) প্রশ্নোত্তর 

প্রশ্ন: কোন ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম করা যাবে? 

উত্তর: হ্যাঁ, অনেক কাজ আছে যেখানে বিনা খরচে শুধু সময় ও দক্ষতা দিয়েই শুরু করা যায় যেমন রাইটিং, ভিডিও তৈরি, রেফারেল প্রোগ্রাম ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ব্যবহৃত পোশাক বিক্রি করা কতটা লাভজনক? 

উত্তর: খুব লাভজনক, আপনি ২০০-৩০০ টাকায় সংগ্রহ করুন এবং ৫০০+টাকায় বিক্রি করতে পারেন। 

প্রশ্ন: ফেসবুক পেজ থেকে কিভাবে ইনকাম করব? 

উত্তর: প্রোডাক্ট বিক্রি, রিভিউ পোস্ট, রেফারেল লিংক, ও স্পন্সর কনটেন্ট দিয়ে আয় সম্ভব।

প্রশ্ন: সময় কম থাকলে কোন কাজ করা যায়?  

উত্তর: কনটেন্ট রিভিউ লেখা, রেফারেল মার্কেটিং এবং এক দুই ঘন্টা টিউশন। 

প্রশ্ন: কিভাবে আয় নিয়মিত ও স্থায়ী করা যায়? 

উত্তর: ভালো কাস্টমার সার্ভিস, নিয়মিত কাজ, নতুন নতুন স্কিল শেখা এবং মার্কেটিং করে।

শেষ মন্তব্যঃ প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করা কিন্তু চারটি খানেক কথা নয় এর জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা থাকতে হবে। আপনার যদি টার্গেট থাকে সপ্তাহে ৪ হাজার বা এর চেয়ে বেশি আয় করতে তাহলে কোন পদ্ধতিটি আপনি বেছে নেবেন এবং কেন এটি আপনার জন্য উপযুক্ত এটি আগে সঠিকভাবে যাচাই করতে হবে। যে সকল কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি থাকবে অবশ্যই সে ধরনের কাজ করার চেষ্টা করবেন। উপরে উল্লেখিত কাজগুলো করে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url