আজ বাংলাদেশে আরবি মাসের কত তারিখ ২০২৫ লাইভ

আজ বাংলাদেশে আরবি মাসের কত তারিখ এ ব্যাপারে অনেক মুসলমানের প্রতিনিয়ত জানার আগ্রহ থাকে। কারণ আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মুসলিমদের অনেক ইসলামিক বিধি বিধান পালন করা হয়, যার কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
আজ-বাংলাদেশে-আরবি-মাসের-কত-তারিখ
তাই আজকের পোস্টে হিজরী বা আরবি মাসের তারিখ সহ আরবি মাসের গুরুত্ব, চাঁদ দেখার মাধ্যমে আরবি তারিখ নির্ধারণ, আরবি ১২ মাসের তালিকা সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যারা এ ধরনের প্রশ্নগুলো জানতে চান আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

সূচিপত্রঃ আজ বাংলাদেশে আরবি মাসের কত তারিখ

আজ বাংলাদেশে আরবি মাসের কত তারিখ

আজ বাংলাদেশে আরবি মাসের কত তারিখ একটু শুনতে কে অনেকেই সাধারণ মনে করেন কিন্তু একটি মুসলিমের জন্য এই তথ্যটি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম ধর্মের অনেক ইবাদত এই হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া হিজরী ক্যালেন্ডার এবং চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই রোজা রাখা, বিভিন্ন ধরনের ফরজ এবং সুন্নত পালন করা, সালাত আদায় করা হয়ে থাকে।

বর্তমানে মুসলিমদের অবস্থা এমন হয়েছে তারা আরবি ক্যালেন্ডার মনে রাখেন না, কারণ তারা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। তবে ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর পাশাপাশি আরবি তারিখ মনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। আজকে আরবি তারিখ ৫ জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরী, রবিবার এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৪ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, বাংলা তারিখ হল ২১ ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।

যারা এখন পর্যন্ত হিজরি বা আরবি তারিখ পর্যন্ত জানতে পারেন নি তারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আরবি তারিখ সহ আরবি মাসের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। আরবি মাসের তারিখ জানার প্রয়োজনীয়তা বিশেষ করে ইসলামিক নিয়ম কানুন পালন করার ক্ষেত্রে বিশেষ জরুরী। 

১৪৪৬ হিজরী জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার 

১৪৪৬ হিজরী জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার জানা থাকলে প্রত্যেক মুসলমানের ক্ষেত্রে তারিখ জানা বা নির্ধারণ করা সহজ হবে। কারণ আরবি প্রত্যেক মাসের ১২, ১৩, ১৪ তারিখ মুসলিমদের চাঁদের রোজা করতে হয়। যদিও এটি ফরজ নয় তবে প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোজা রাখা ভালো। জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার নিচে উল্লেখ করা যাক।

রবিবার সোমবার মঙ্গলবার বুধবার বৃহস্পতিবার শুক্রবার শনিবার



১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯


বাংলাদেশ আরবি মাসের তারিখ নির্ধারণের প্রক্রিয়া 

বাংলাদেশ আরবি মাসের তারিখ নির্ধারণের প্রক্রিয়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়। যাতে চাঁদ দেখা কমিটি এটা নির্ধারণ করে থাকে। বাংলাদেশের সরকার প্রতি মাসে এই দায়িত্ব চাঁদ দেখা কমিটির ওপর দিয়ে থাকেন আর এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের কোথাও যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে পরদিন থেকে আরবি নতুন মাসের গণনা শুরু হয়।

যেহেতু সৌদি আরব হিজরি ক্যালেন্ডার বিশেষ ভাবে অনুসরণ করে থাকে তাই বাংলাদেশও তাদের ওপর নির্ভর শীল হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশে আরবি মাসের তারিখ নির্ধারণ করা হয় মূলত চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং তারিখ নির্ধারণ হলে সরকারিভাবে সেটি ঘোষণা করা হয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল কিংবা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে। 

আরবী জিলকদ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

আরবি জিলকদ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জিলকদ মাস হচ্ছে হিজরী ১১ তম মাস। বাংলা এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর যেমন বারটি মাস রয়েছে তেমনি আরবিতেও বারোটি মাস রয়েছে। এরমধ্যে জিলকদ একটি মাস। জিলকদ আরবি শব্দ এর অর্থ হচ্ছে "বসে থাকা" বা "যুদ্ধ থেকে বিরত থাকা"। 

আরো পড়ুনঃ জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ৪১ জন সাহাবীদের নাম

এ মাসটির বিশেষভাবে গুরুত্ব এই জন্য এ মাসে সকল কিছু থেকে বিরত থাকতে বলেছেন এবং হজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসলামে চারটি মাসকে পবিত্র মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রজব, জিলকদ, জিলহজ্ব এবং মহরম। এ মাসগুলোতে কোন ধরনের যুদ্ধ বিগ্রহে না জড়ানোর কথা বলা হয়েছে এবং  নিজেকে আত্মশুদ্ধির জন্য মনোযোগী এবং হজের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

  • সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে এই জিলকদ থেকে হজের জন্য আহ্বান করা হয়েছে এবং হজের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
  • এই পবিত্র মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত, রোজা, কোরআন তেলোয়াত, দান-সদকা ইত্যাদি করলে অনেক সোয়াব পাওয়া যাবে।
  • এ মাসে কোন ধরনের কলহে জড়ানো উচিত নয় এবং আত্ম সংযমী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 
  • ইসলামের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এ মাসে ঘটেছিল তার মধ্যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এ মাসে ওমরা হজের প্রস্তুতি নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এছাড়া ইসলামের অন্যতম একটি চুক্তি হুদায়বিয়াহ এ মাসে সম্পন্ন হয়।
  • এ মাসে বিভিন্ন ধরনের গুনাহ থেকে বিরত থাকা উচিত।

আজ বাংলাদেশে আরবি মাসের কত তারিখ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: আরবি তারিখ কোথা থেকে শুরু হয়েছে? 

উত্তর: হিজরতের বছর ৬২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে যেদিন নবী (সাঃ) মক্কা থেকে মদ নাই হিজরত করেন। 

প্রশ্ন: হিজরী ক্যালেন্ডার কিসের উপর নির্ভরশীল? 

উত্তর: চাঁদের অবস্থান বা চাঁদ দেখা অনুযায়ী। 

প্রশ্ন: আরবি তারিখ গণনায় দিন শুরু হয় কখন? 

উত্তর: সূর্যাস্তের পর থেকে পরের দিন শুরু হয়। 

প্রশ্ন: ইসলামিক নববর্ষ কবে? 

উত্তর: ১ মহাররম।

প্রশ্ন: ইসলামিক উৎসব ক্যালেন্ডার কেন বদলায়? 

উত্তর: হিজরি বছর ছোট হওয়ায় প্রতিবছর ১০-১১ দিন আগে আসে।

আরবি ১২ মাসের নাম ও অর্থ 

আরবি ১২ মাসের নাম ও অর্থ অনেকেই জানেনা। কারণ বাংলাদেশে প্রত্যেকটি মানুষ ইংরেজি ক্যালেন্ডার দেখায় অভ্যস্ত তাই আরবি ক্যালেন্ডার সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা থাকে না। তাই যারা মনে করেন যে ইংরেজি কিংবা বাংলা ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি আরবি মাস গুলোর নাম এবং তাৎপর্য সম্পর্কে জানা দরকার তাদের সুবিধার্থে আদি বারো মাসের নাম উল্লেখ করা হলো। 

  1. মহররম - নিষিদ্ধ (যুদ্ধ নিষিদ্ধ মা) 
  2. সফর - খালি, ফাঁকা 
  3. রবিউল আউয়াল - প্রথম বসন্ত 
  4. রবিউস সানি - দ্বিতীয় বসন্ত 
  5. জমাদিউল আওয়াল - প্রথম শুষ্ক মাস 
  6. জমাদিউস সানি - দ্বিতীয় শুষ্ক মাস 
  7. রজব - সম্মানিত মাস 
  8. শাবান - বিভাজনের মাস 
  9. রমজান -পুড়িয়ে দেওয়া (গুনাহ ধ্বংসের সময়) 
  10. শাওয়াল - উঠিয়ে নেওয়া 
  11. জিলকদ - বসে থাকার মাস (যুদ্ধহীনতা) 
  12. জিলহজ্জ - হজের মাস 

আরবি মাসের উল্লেখযোগ্য দিন ও দিবস সমূহ 

আরবি উল্লেখযোগ্য দিন ও দিবস সমূহ আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে। আরবি এক মাসের বিভিন্ন দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে অনেকের অজানা। প্রত্যেক আরবি মাসের চাঁদের রোজা করা হয় অর্থাৎ প্রত্যেক মাসে তিনটি রোজা করলে অনেক ফজিলত রয়েছে। আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য দিন ও দিবস সমূহ তুলে ধরা যাক।

তারিখ দিবসসমূহ
১ মুহাররম হিজরি নববর্ষ
১০ মুহাররম আশুরা
১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী
২৭ রজব শবে মেরাজ
১৫ শাবান শবে বরাত
১ রমজান রোজার শুরু
১৭ রমজান বদরের যুদ্ধ দিবস
২১ রমজান হজরত আলী (রা.)-এর শাহাদাত দিবস
২১-৩০ রমজান শেষ দশকের রাতসমূহ
১ শাওয়াল ঈদুল ফিতর
৮-১৩ জিলহজ হজের সময়কাল
১০ জিলহজ ঈদুল আজহা
১১-১৩ জিলহজ পশু জবাই ও তাশরিকের দিন

হিজরী বা ইসলামীক ক্যালেন্ডার এর উৎপত্তি 

হিজরী বা ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর উৎপত্তি হয়েছিল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময়কার ঘটনা থেকে। এবং হযরত ওমর (রাঃ) সময় থেকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবর্তিত হয়। ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক বিধি-বিধান গুলো স্বতন্ত্রভাবে পালন এবং সময় গণনার ব্যবস্থা করা। 


আজ-বাংলাদেশে-আরবি-মাসের-কত-তারিখ
চন্দ্র ভিত্তিক ইসলামিক ক্যালেন্ডার গণনা করলে ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর তুলনায় আরবি তারিখ 10 থেকে 11 দিন আগে আসে। চাঁদ দেখার মাধ্যমে আরবি মাস শুরু হয় এবং চাঁদ দেখার মাধ্যমে শেষ হয়। আরবি মাসের চারটি মাস সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানীয় যেন পবিত্র মাস হিসেবে ধরা হয়। যথা মুহাররম, রজব, জিলকদ, জিলহজ্জ। 

এছাড়া আরবি ক্যালেন্ডার উৎপত্তি হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেক রমজান মাসে রোজা রাখার নিয়ম, শবে কদরের রাত খোঁজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পালন, হজ পালন ইত্যাদি তারিখগুলো ইসলামিক ইতিহাস ও শিক্ষা অনুধাবন করে প্রত্যেক মুসলমানের চলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আরবি প্রতিটি মাস তাদের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে বা আবর্তন  অনুযায়ী ২৯ বা ৩০ দিনে হয়ে থাকে।

আরবি মাসের তারিখ কেন ইসলাম ধর্মে গুরুত্বপূর্ণ 

আরবি মাসের তারিখ কেন ইসলাম ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ এটি মুসলিম হিসেবে প্রত্যেক মুসলমানের জানা দরকার। কারণ আমরা সবাই জানি আরবি মাস গণনা করা হয় কেবলমাত্র চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। আর হিজরি বা আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইসলামের প্রায় সব ইবাদত, উৎসব ও ঐতিহ্য, ঘটনাবলী নির্ধারিত হয়।

ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যেমন রমজানের রোজা, হজ্জ ও কুরবানী, যাকাতের হিসাব, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এ সকল কিছু আরবি মাসের নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী পালিত। বিশেষ করে পহেলা রমজান থেকে রমজান মাস শুরু হয় ১০ জিলহজ এ ঈদুল আযহা এবং কুরবানী পালন করা হয় ১ শাওয়াল ঈদুল ফিতর এছাড়া ৯ জিলহজ্জ আরাফার দিন পালিত হয়।

আরো পড়ুনঃ পুরুষ বিড়ালের নাম বাংলা আপনার বিড়ালের জন্য সেরা নামের তালিকা

মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন "তোমরা চাঁদ দেখে রোজা শুরু কর এবং চাঁদ দেখে ঈদ কর"। এছাড়া আরবি তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ঘটনা এবং গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য রয়েছে।যেহেতু আমাদের নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক বিধি-বিধান মেনে চলতেন এবং সে অনুযায়ী জীবন ধারণ করতেন তাই আমাদের মুসলিম হিসেবে ইসলামিক ক্যালেন্ডার যেন জরুরী। 

রোজা, ঈদ ও ইসলামিক উৎসবের সাথে আরবি তারিখের সম্পর্ক

রোজা, ঈদ ও ইসলামিক উৎসবের সাথে আরবি তারিখের সম্পর্ক অতপ্রত ভাবে জড়িত। একজন মুসলিম হিসেবে প্রত্যেক মুসলমানের ইসলামিক বিধানগুলো আরবি মাস অনুযায়ী পালন করা উচিত। বাংলাদেশের প্রত্যেকে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরবি দিনগুলো পালন করে থাকে। ইসলামিক বিধিবিধান গুলো আরবি মাস অনুযায়ী জানা থাকলে ভালো হয়। যেমন

  • রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি। রমজান মাস হলো হিজরী সালের ৯ম মাস। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই এ রমজান মাস শুরু হয় আরবি মাসের ১ রমজান থেকে। এছাড়া রমজান মাস হচ্ছে কুরআন নাযিলের মাস। 
  • ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম একটি উৎসব। শাওয়াল মাসের ১ তারিখে এই ঈদুল ফিতর পালন করা হয়। দেখো এক মাস রোজা রাখার পরে এই ঈদুল ফিতর পালিত হয়। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই ঈদের দিন নির্ধারিত হয়। এছাড়া যাকাতুল ফিতরা এ রমজান মাসে পালন করতে হয়। 
  • এছাড়া আরেকটি অন্যতম উৎসব রয়েছে ঈদুল আযহা। মুসলিমদের অন্যতম আরেকটি উৎসব হচ্ছে ঈদুল আযহা ১২ তম মাসের ১০ই জিলহজ্জ পালিত হয়। অর্থাৎ যাকে আমরা কোরবানি ঈদ নামে চিনি। 
  • এছাড়া হজ পালনের নির্দিষ্ট কার্যক্রম এই জিলহজ মাসেই আরম্ভ হয়। ৮ জিলহজ থেকে শুরু করে ১৩ জিল হজ পর্যন্ত এর কার্যক্রম চলে। মুসলমানদের জন্য এই তারিখ গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • এছাড়া রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত গুলোতে শবে কদর তালাশ করা আমি তোমায় একটু গুরুত্ব আরবি মাসের। রমজান মাসের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ এবং ২৯ তারিখ শবে কদর তালাশ করতে হয়।
  • এছাড়া রয়েছে শবে বরাত ১৫ শাবান অর্থাৎ শাবান মাসের ১৫ তারিখ শবে বরাত পালিত হয়। 
  • মেরাজের রাত অর্থাৎ ২৭ শে রজব মহানবী (সাঃ) এ রাতে আসমান ভ্রমণ করেন আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন।

 বাংলাদেশে আরবি তারিখ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: হিজরী ক্যালেন্ডার এ বছর কয়টি দিন থাকে? 

উত্তর: প্রায় ৩৫৪ দিন। 

প্রশ্ন: জিলকদ মাসের ফজিলত কি? 

উত্তর: এটি শান্তির মাস, হজের প্রস্তুতির মাস।

প্রশ্ন: রোজার নিয়ত করার সময় আগে তারিখ জানা জরুরী কি? 

উত্তর: হ্যাঁ, কারণ সঠিক তারিখই নিয়ত করতে হয়।

প্রশ্ন: আরবি তারিখ ছাড়া কি ইসলামী নিয়ম কানুন পালন করা যায়? 

উত্তর: না, অধিকাংশ ইবাদতের নির্দিষ্ট তারিখ রয়েছে। 

প্রশ্ন: হিজরীর তারিখ অনুযায়ী মাসের দিন সংখ্যা কত?

উত্তর: প্রতিমাসে ২৯ অথবা ৩০ দিন থাকে।

শেষ মন্তব্যঃ আজ বাংলাদেশে আরবি মাসের কত তারিখ 

উপরোক্ত সকল আলোচনায় বলা যায় যে বাংলাদেশে আরবি তারিখ নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই চিন্তা ভাবনা করে না। তবে আরবি তারিখ অনুযায়ী ইসলামিক বিধি-বিধান রীতি নীতিগুলো পালন করা হয়। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত আরবি তারিখ সম্পর্কে ধারণা রাখা এবং ইসলামিক জীবন বিধান নিশ্চিত করা। 

যারা আজকের তারিখ সম্পর্কে জানেন না তাদের সুবিধার জন্য আরবি তারিখ সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন ইসলামিক বিষয় তুলে ধরা হলো। আরবি তারিখ নির্ধারিত হয়ে মূলত চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে সে অনুযায়ী আজকে বাংলাদেশে আরবি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক মুসলমানের সঠিক সময়ে এবাদত ও সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা এবং আরবি তারিখ জানার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url