৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় - স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
সূচিপত্রঃ ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
- কমলার খোসা গুড়ো ও দই ব্যবহারে ফর্সা
- শসার রস ব্যবহার করে ফর্সা
- ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
- গোলাপজল ও চন্দন গুড়া ব্যবহারে ফর্সা হওয়া
- ফর্সা হওয়ার জন্য মুলতানি মাটি ও গোলাপজল
- ফর্সা হওয়ার জন্য ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস
- ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম
- স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য খাবার
- দ্রুত ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত (FAQ) প্রশ্নোত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় যারা খোঁজেন তারা হয়তোবা নিজের ত্বক নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তবে ফর্সা হতে কেনা পছন্দ করে। ফর্সা হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে হয়তোবা ক্রিম মেখে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করে এবং ত্বকের বিভিন্নভাবে যত্ন নিয়ে। তবে ত্বক ফর্সা করার জন্য শুধু ক্রিম ব্যবহার কিংবা ত্বকের যত্ন নিলেই চলবে না এর জন্য স্বাস্থ্য কর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আজকের ব্লগে ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ক্রিম থেকে শুরু করে ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব তবে ফর্সা হওয়ার জন্য এবং নিজের সৌন্দর্য রাখা ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস থাকা সবচাইতে বেশি জরুরী। তবে সমাজে ফর্সা মেয়েদের বেশি কদর করা হয় এটা এক ধরনের মানসিক চিন্তাভাবনা বলা যায়।
লেবু ও মধুর ফেসপ্যাকঃ লেবু ও মধুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বকে খুব সহজেই উজ্জ্বল এবং দাগ মুক্ত করতে পারেন। লেবু যেহেতু ভিটামিন সি রয়েছে যার কারণে এ ত্বকের দাগ, রোদে পরা দাগ ও কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। প্রথমে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ খাটি মধু নিয়ে ভালো মিশিয়ে নিন।
ত্বক পরিষ্কার করে এটি সুন্দরভাবে মুখে,গলায়, হাতে যে সকল জায়গায় দাগ রয়েছে সেগুলোতে লাগাতে পারে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে কুসুম হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এরপর একটি ভালো মানের ময়শ্চারাইজার লাগানো। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা সবচাইতে ভালো। তিন দিন ব্যবহার করলে পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
বেসন ও দুধের মাস্কঃ বেসন ও দুধের মাস একটি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায় পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ফর্সা করতে। সব ধরনের ত্বকের জন্য এই ব্যক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই ফর্সা হতে পারেন। ২ টেবিল চামচ বেসন ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এক চিমটি হলুদ। একটি বাটিতে এ সকল উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। পরিষ্কার করে সম্পূর্ণ মুখে প্যাকটি লাগিয়ে দিন।
একটি বিশ মিনিট রাখার পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পরে ত্বকে হালকা মশ্চারাইজার লাগান। দিনে একবার এই প্যাকটি লাগান সকালে অথবা রাতে। ৩ দিনের মধ্যেই ত্বকের ফর্সা ভাব এবং উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করা যাবে। কারণ বেসনে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, মুখের অতিরিক্ত তেল শুষে নেই এবং কাঁচা দুধ প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও ত্বকে আদ্রতা যোগায়, ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে।
টমেটোর প্যাকঃ টমেটো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটা কি প্রাকৃতিক উপাদান যা সব সময় পাওয়া যায় যার ফলে ত্বকের যত্ন নিতে কোন ধরনের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় না। প্রথমত একটি টমেটো নিতে হবে এবং চাইলে এর সাথে লেবুর রস মেশাতে পারেন। লেবুর রস ব্যবহার করতে হয় তৈলাক্ত ত্বকের জন্য। মাঝ বরাবর কেটে নিন এবং কাটা অংশের ভেতরে কাটা চামচ দিয়ে বিভিন্নভাবে ফুটো করে নিন এবং সেই ফুটোর ওপরে লেবুর রস চিপে নিন।
আরো পড়ুনঃ
এরপর সেই কাটা টমেটোটি মুখে বা গলাতে কালোর অংশগুলোতে ভালোভাবে ঘষে নিন। ভালোভাবে ৭-৮ মিনিট মেসেজ করুন বিশেষ করে কাল যে অংশগুলোর উপর বেশি বেশি করে। এরপর আরো ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন যেন টমেটো রস ভালোভাবে ত্বকের সাথে লেগে যায়। এরপর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। টমেটোর পেটে ব্যবহার করলে ত্বকের রং হালকা করে রোদে পোড়া দাগ দূর করে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস কমিয়ে দিতে সহযোগিতা করে তাকে ঠান্ডা অনুভুতি দেয় এবং ফ্রেশ দেখায়।
কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কারঃ কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং তার ফর্সা করা যায় খুব দ্রুত। পরিমাণ মতো কাঁচা দুধ একটা বাটিতে নিয়ে তার ভিতরে তুলা ডুবিয়ে ত্বকে গলাতে, ঘারে ভালোভাবে মেসেজ করুন প্রায় ৫-১০ মিনিট। ১০ মিনিট রাখার পরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা দুধ ত্বকের গভীরে ময়লা ও ধুলাবালি পরিষ্কার করে, ডেড স্কিন তুলে ফেলে, ত্বক হাইড্রেট করে এবং মশ্চারাইজ করে ত্বকের রোদে পরা দাগ, কালচে দাগ হালকা করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
আলুর রসঃ আলুর রস ব্যবহার করে ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করা যায়। আলু ত্বকের মেলানিন উপাদান কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কালচে ভাব দূর করে। প্রথম একটি মাঝারি সাইজের আলু অর্থাৎ আপনার পরিমাণ মতো নিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে কুচি করে কেটে নিন। এছাড়া খোসা সহ আলুটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন এবং পাতলা কাপড় এবং ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নেন। এর সাথে ১-২ ফোঁটা লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন
এরপর সেই রসটি তুলো দিয়ে মুখে গলায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন।। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। দিনে ১ বার রাতে অথবা সকালে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ৩-৫ দিন ব্যবহার করলেই ফল পাবেন। এই প্যাকটি রোদে পড়ার ত্বক অর্থাৎ সানবার্ন পোড়ার ক্ষতি কমায়।
এছাড়া ত্বকের রং ফর্সা করে ব্রণের দাগ চোখের নিচে কালি পিগমেন্টেশন হালকা করে ত্বক টানটান করে ও মুসলিম রাখে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। অবশ্য একটি ব্যবহারের আগে টাটকা তৈরি করে ব্যবহার করুন ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই কারণ এটির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
মেথি ও দুধের উপকারিতাঃ মেথি ও দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় পাওয়া যায়। এ দুটি উপাদান দিয়ে ঘর অভাবে একটি প্যাক তৈরি করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। প্রথমত ২ টেবিল চামচ মেথি রাতে ভিজে রাখবেন এবং সকালে বেটে নেবেন। ১-২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ। এ দুটি উপাদান নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। মুখ পরিষ্কার করে প্যাকটি ভালোভাবে মুখে মেসেজ করে লাগিয়ে দিন।
১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে প্যাকটিস শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরে অবশ্যই একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন এভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে থাকুন। তবে সকাল অথবা রাতে এই ধরনের প্যাকগুলো ব্যবহার করলে বেশি ভালো হয়। মেথি এন্টিঅক্সিডেন্ট, ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে যা ব্রণ এবং কালচে দাগ ও ত্বক রুক্ষতা থেকে বাঁচায়। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ত্বকের ফর্সা ভাব ফুটে উঠবে।
৩ দিনে ফর্সা হওয়ার জন্য পাকা পেঁপে ম্যাসাজ
৩ দিনে ফর্সা হওয়ার জন্য পাকা পেঁপে ম্যাসাজ অন্যতম একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি। প্যাপিন নামক এক ধরনের এনজাইম রয়েছে পেপেতে যার কারণে মৃত কোষ গুলো দূর করে এবং ত্বকের টোন মিলাতে সাহায্য করে। প্রথমত পাকা পেঁপে পরিমাণ মতো টুকরো নিয়ে চটকে নিন অর্থাৎ পেস্ট বানিয়ে নিন। এর সাথে চাইলে আপনি হলুদ গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
ভালোভাবে সবগুলো উপাদান মিস করিয়ে পরিষ্কার মুখে হালকা করে ম্যাসাজ করে প্যাকটি লাগিয়ে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবং ত্বক টানটান মনে হলে একটি মশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তোকে পাকা পেঁপে লাগালে সকল ধরনের কালচে ভাব রোদে পোড়া দাগ ব্রনের দাগ দূর করে। ত্বক মসৃণ এবং কোমল করে। সপ্তাহে দুই তিনবার ব্যবহার করুন।
হলুদের সাথে দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাকঃ হলুদের সাথে দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি একটি আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি বলা যায়। এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকে থাকা দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা ব্রণের দাগ দূর করে। এক চিমটি খাঁটি হলুদের গুঁড়ো দুই টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এক চা চামচ বেসন যাদের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন নেই পরে তাদের জন্য। এই উপাদানগুলো একটি বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিন এবং মুখ পরিষ্কার করে প্যাকটি ভালোভাবে মুখে গলায় মেসেজ করে লাগিয়ে দিন।
১৫-২০ মিনিটে রাখার পরে প্র্যাকটিস শুকিয়ে গেলে ভালো পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং পরে হালকা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার করলে নিজেই এর ফলাফল পাবেন। হলুদের রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এন্ড ব্যাকটেরিয়াল ও ফর্সা করার প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান। এবং কাঁচা দুধে রয়েছে ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করার ক্ষমতা এবং ত্বক মশ্চারাইজ করে রোদে পোড়া দাগ ব্রণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর।
কমলার খোসা গুড়ো ও দই ব্যবহারে ফর্সা
কমলার খোসা গুড়ো ও দই ব্যবহারে দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়। ঘরোয়া ভাবে ত্বক ফর্সা করতে চাইলে দুর্দান্ত এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। কমলা তে যেহেতু ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করতে এবং উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ১ টেবিল চামচ কমলার খোসার গুড়া, ১ টেবিল চামচ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে।
প্যাকটি ভালোভাবে মুখে এবং গলায় ঘষে লাগিয়ে দিন। ১৫-২০ ২০ মিনিট লাগে রাখার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে সবচাইতে বেশি ভালো হয়। কমলার খোশার গুড়ো প্রাকৃতিক ভাবে ব্রণের দাগ রোদে পড়া দাগ কাউকে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
এবং টক দই ত্বক মশ্চারাইজ করে ত্বকের রং হালকা করে এবং ব্রনের বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার কারণ হলো ত্বকের বিভিন্ন ধরনের মৃত কোষ তৈরি হয় এবং ময়লা পড়ে সূর্যের তাপে ত্বকের কালচে ভাব দেখা দেয়। অনেকটা কালো দেখায়। তবে অবশ্যই এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
শসার রস ব্যবহার করে ফর্সা হওয়া
সাচার রস ব্যবহার করে খুব সহজে ফর্সা ভাগ ফোটানো যায় ত্বকের উপরে। সহসা যেহেতু একটি প্রাকৃতিক উপাদান তাই এটি ব্যবহারে ত্বকের কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট বা ক্ষতি করেনা যার করেনা রূপচর্চার জন্য খুবই উপযোগী একটি উপাদান। একটি মাঝারি আকারের শসা নিয়ে ভালোভাবে খোসা সহ ব্লাইন্ড করে নিন। এরপর পরিষ্কার পাতলা কাপড় অথবা ছাকনি দিয়ে ছেকে রস আলাদা করে নিন।
চাইলে রস আপনি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে পারেন তবে না করলেও কোন সমস্যা নেই। তুলার বল বানিয়ে রসে ডুবে মুখে চোখে গলায় ভালো হবে ঘষে লাগিয়ে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন সকালে এবং রাতে। শসা ব্যবহারের ফলে ত্বক ঠান্ডা ও হাইড্রেট হয়।
যেহেতু শসাতে পানি এবং ভিটামিনের ভরপুর তাই এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য ভালো। ত্বকের ফোলা ভাব তক উজ্জ্বল ফর্সা চোখের নিচের কালো দাগ অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যারা শ্যামলা বা কালো ত্বক রয়েছে তারা এ ধরনের ব্যাগ তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন এবং খুব অল্পদিনেই নিজেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলতে পারেন।
৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: ৩ দিনে ফর্সা হওয়া সম্ভব কি?
উত্তর: তিন দিনের পুরোপুরি ফর্সা হওয়া সম্ভব নয়, তবে কিছু ঘরোয়া উপকরণের মাধ্যমে ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়ানো যায়।
প্রশ্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য কোন ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার করতে হবে?
উত্তর: দুধ, হলুদ, টমেটো, বেসন, মধু, লেবু, শশা ইত্যাদি দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বক উজ্জ্বল করা যায়।
প্রশ্ন: মধু দিয়ে কি ত্বক ফর্সা করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, মধু ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে ত্বককে উজ্জল করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: মেথি বাটা ও দুধ ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে?
উত্তর: হ্যাঁ, মেথি বাটা ও দুধ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বল দেখায়।
প্রশ্ন: আলুর রস কি ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে?
উত্তর: আলুর রস ত্বকের দাগ এবং মেস্তা কমাতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বল দেখায়।
গোলাপ জল ও চন্দন গুড়া ব্যবহারে ফর্সা হওয়া
গোলাপ জল ও চন্দন গুড়া ব্যবহারে ফর্সা হওয়া অন্যতম একটি উপায়। গোলাপ জল টক টানটান করে ফ্রেশ করে। চন্দন গুড়া ব্রনের দাগ রোদে পোড়া দাগ কালকে ভাব কমায়। ১ টেবিল চামচ চন্দন গুড়া ও ২-৩ চা চামচ গোলাপ জল। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস ২ ফোঁটা মেশাতে পারেন। ছোট একটি বাড়িতে সকল উপাদান নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
এটি একটি আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে তাকে ব্যবহার করা হয়। চন্দনে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। চন্দন ব্যবহারের ফলে ত্বকে প্রাকৃতিক গ্লো ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ত্বক ফর্সা মুসলিম এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ফর্সা হওয়ার জন্য মুলতানি মাটি ও গোলাপজল প্যাক
ফর্সা হওয়ার জন্য মুলতানি মাটি ও গোলাপজল প্যাক দুর্দান্ত একটি ঘরোয়া রূপচর্চা করার পদ্ধতি। একটি পরিষ্কার পাত্রে ২ চা চামচ মুলতানি মাটি 2/3 চা চামচ গোলাপ জল চাইলে ১ চা চামচ মধু এবং ২ ফোঁটা লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন। ব্রণের দাগ দূর করতে মূলত লেবুর রস ব্যবহার করা হয়। প্যাকটি ভালোভাবে মিশিয়ে মুখ ও গলায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে দিন।
১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরবর্তীতে মুখে একটি মশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যাবে। এই প্যাকটি ব্যবহারের ফলে ত্বক পরিষ্কার ফর্সা ব্রহ্মুক্ত ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে। মুলতানি মাটি প্রাকৃতিক প্লে জাতকের গভীরে গিয়ে ময়লা বের করে আনে। আর গোলাপ জল ত্বকের সতেজতা ধরে রাখে ত্বক টোন ঠিক করে।
ফর্সা হওয়ার জন্য ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস
ফর্সা হওয়ার জন্য ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস অন্যতম একটি কার্যকরী উপাদান। প্রথমত একটি পরিষ্কার পাত্রে ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। যদি ডিমের গন্ধ লাগে তাহলে এর সাথে ২/১ ফোটা গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত দখলে ১ চা চামচ বেসন যুক্ত করতে পারেন। সকল মিশ্রণ একসাথে একটি প্যাক তৈরি করুন।
একটি ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে তুলা অথবা ব্রাশ দিয়ে মুখে লাগিয়ে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে অর্থাৎ যতক্ষণ একটি শুকিয়ে না যায় তো তখন রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। এবং পরে একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এখানে ডিমের সাদা অংশ ত্বকের পরস ছোট করে, টক টান টান রাখে ও উজ্জ্বল করে।
অন্যথায় লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট যা ত্বক ফর্সা করে, ডনের দাগ ও কাল যে ভাব দূর করে, ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এভাবে প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ফর্সা ভাব ফুটে উঠবে। যারা দ্রুত ফর্সা এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে চান তারা এই প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম
ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করে খুব কম সময়ে অর্থাৎ দ্রুত চেহারার উজ্জ্বলতা ফিরে আসে এবং তখন ফর্সা করা যায়। তবে বেশ কিছু ভালো নাইট ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আনতে, ত্বক ফর্সা, স্বাস্থ্যকর করে। বেশিরভাগ মেয়েরাই রাতে নাইট ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জলতা ফিরিয়ে এনেছে। যারা খুব কম সময়ে ত্বক ফর্সা করতে চান তারা নিচের উল্লেখিত নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- Olay regenerist night recovery cream - দাম ৩২৯০ টাকা।
- 4K plus whitening night cream - দাম ৯৯০ টাকা।
- Lotus herbal white glow skin brightening and nursing - দাম ১৫৬৫ টাকা।
- No 7 future renew damage reversal night cream - দাম ২৪২৮ টাকা।
- L'Oreal Paris revitalift bright reveal brightening night cream - দাম ৩৭৫০ টাক।
- Ponds flawless white brightening night cream - দাম ১১৮০ টাকা
- Himalaya clear skin night cream - মূল্য ৮৫০ টাকা।
- Lakme absolute perfect radiance skin lightening night cream - দাম ৭৫০ টাকা।
- Olay white radiance brightening night cream মূল্য ২৯৫০ টাকা।
- Mamaearth skin illuminate face cream (night) - মূল্য ৭৪০ টাকা।
- The body shop vitamin e nourising night cream - মূল্য ৯৫০ টাকা।
- L'Oreal Paris white perfect laser night cream - দাম ৩২৭৯ টাকা।
- Olay natural white 7 in 1 fairness night cream -মূল্য ৬৬০ টাকা।
- Garnier skin naturals white complete night cream - দাম ৩৯৯ টাকা
- Jovees brightening night cream -দাম ২৬২ টাকা।
উপরোক্ত সকল নায়িকাদের গুলোর দাম অনলাইন কিংবা বিভিন্ন শপ ও ক্রিমের ওজন অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য খাবার
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য শুধু রূপচর্চা কিংবা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে তা কিন্তু নয়। ফর্সা হওয়ার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ খাদ্য অভ্যাস ভালো না হওয়ার কারণে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তা কালকে হয়ে যায়। এই সর্বপ্রথম রূপচর্চা করার পাশাপাশি অবশ্যই সুষম খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- কমলালেবু
- লেবু
- স্ট্রবেরি
- বাদাম
- সানফ্লাওয়ার সিডস
- তেল যুক্ত মাছ
- অ্যাভোকাডো
- তাজা শাকসবজি (পালং শাক, করলা, ব্রকলি)
- ডার্ক চকলেট
- চিয়া সিড
- পানি
- টমেটো
- মাছ, মাংস, ছোলা
- গাজর
- পাকা পেঁপে
- গ্রিন টি
- হলুদ
- দই
- মধু ইত্যাদি।
দ্রুত ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত (FAQ) প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: ত্বক ফর্সা করতে কি বেশি পানি পান করা উচিত?
উত্তর: হ্যাঁ, পানি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে শরীর করে ত্বককে সতেজ রাখে।
প্রশ্ন: কোন ধরনের খাবার ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়?
উত্তর: ভিটামিন-সি ভিটামিন-ই এবং এন্টিঅক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার (যেমন কমলা স্ট্রবেরি বাদাম শাকসবজি) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: কোন স্কিন কেয়ার রুটিন ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে?
উত্তর: ত্বক পরিষ্কার করা, মশ্চারাইজিং এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বক ফর্সা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: ত্বক ফর্সা করতে কোন lifestyle পরিবর্তন করা উচিত?
উত্তর: পর্যাপ্ত ঘুম, পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া উচিত।
শেষ মন্তব্যঃ ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
ফর্সা হওয়া নিজেকে একটু সুন্দর দেখা উজ্জ্বল ত্বক প্রায় সকলেরই কাম্য। কারণ যারা একটু কালো দেখতে তাদের সব সময় মাথায় চিন্তা থাকে কিভাবে একটু ফর্সা হওয়া যায় কি মাখলে কি করলে কি খেলে ফর্সা পাওয়া যায় এ নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত থাকেন। যদিও আল্লাহ তালা প্রত্যেককে তার নির্দিষ্ট সৌন্দর্য অনুযায়ী তৈরি করেছেন। তবে বিভিন্ন কারণে তাকে ময়লা জমে তখন অনেক ক্ষেত্রে কালো দেখায়। তাই উপরোক্ত আলোচনায় ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় অথবা অল্প সময়ে ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি শেয়ার করা হলো চাইলে আপনারা এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url