ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম গোপনীয় ২০টি উপায়ে

ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করতে আজকের দিনে অনেকেই এ ধরনের উপায় গুলো খুঁজে থাকে। বিশেষ করে যারা নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনভাবে আয় করতে চান তাদের জন্য হাতের কাজ একটি দারুন সুযোগ। নিজের হাতে পণ্য তৈরি করে বিক্রি করা সম্ভব।
ঘরে-বসে-হাতের-কাজ-করে-ইনকাম
তাই যারা ভাবছেন কিভাবে হাতের কাজ করে ঘরে বসে ইনকাম করা যায় তারা আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে হাতের কাজ করার আইডিয়াগুলো পেয়ে যাবেন। সেলাই, গহনা ডিজাইন, কুশন তৈরি, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি থেকে শুরু করে নানান ধরনের হাতের কাজ আপনাকে এনে দিতে পারে বাড়তি আয়ের সুযোগ।

সূচিপত্রঃ ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম 

ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম 

ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। শুধু প্রয়োজন আপনি কোন ধরনের হাতের কাজগুলো পারেন অথবা কোন ধরনের কাজগুলো আপনি শিখতে আগ্রহী সে ধরনের কোন একটি কাজ আপনি ভালোভাবে শিখে দক্ষতা অর্জন করে তারপরে আপনি সেগুলো তৈরি করে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বিক্রয় করতে পারেন। চলুন কিছু হাতের কাজের আইডি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।

সেলাই মেশিনের কাজঃ সেলাই মেশিনের কাজ করে এখন অনেক মহিলারা ঘরে বসে ইনকাম করছে। কারণ খুব সহজেই এখন ঘরে বসে ইউটিউব থেকে সেলাই কাটিং এর ভিডিও দেখে শিখে নিয়ে বাড়িতেই বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। পোশাকের চাহিদা মানুষের সারা জীবনেরই থাকবে তাই আপনি যদি আসলে মেশিনের কাজ জানেন তাহলে এটা আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। 

ব্লক প্রিন্ট করা কাপড় তৈরিঃ ব্লক প্রিন্ট করা কাপড় তৈরি এটিও হাতের একটি সূক্ষ্ম কাজ। এই কাজগুলো করে এখন অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে। এছাড়া বাজারে এখন কাপড়ের প্রচুর চাহিদা। আপনি চাইলে হ্যান্ডমেড শাড়ি, কুর্তি, স্কার্ফ, বেডশীট টবিল ক্লথ, ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন। এবং এগুলো ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল, লোকাল হস্তশিল্প মেলায় বিক্রি করতে পারেন। কাস্টম ডিজাইনের অর্ডার নিতে পারেন বিশেষ করে গিফট আইটেম ও বিয়ের পোশাকের জন্য।

উল বুনন কাজঃ উল বুনন কাজ ঘরে বসেই ইনকামের সহজ উপায়। উল বুনন হলো সুতা ও একটি ছোট বুকের মাধ্যমে কাপড় বা বিভিন্ন পণ্য তৈরি একটি জনপ্রিয় হাতের কাজ এটা শুধু মজারই নয় বরং ঘরে বসে নারী পুরুষ সবাই আয় করার একটি দারুন মাধ্যম। প্রতিদিন যদি ২০ থেকে ২৫ টি ছোট ছোট বিভিন্ন কাজগুলো করতে পারেন তাহলে নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন। 

এমব্রয়ডারি করে পণ্য তৈরিঃ বর্তমানে এমব্রয়ডারি হাতের কাজের অনেক চাহিদা। মানুষ একটু রুচিসম্মত আনকমন পোশাক করতে পছন্দ করে যার ফলে অনেকেই বোরখা ওড়না কিংবা কাপড় ইত্যাদিতে এমব্রয়ডারির কাজগুলো করে নেয়। বর্তমানে এমব্রয়ডারি করা মেশিন পাওয়া যায় সেই মেশিনে হাতের দ্বারাই এমব্রয়ডারি সুন্দর সুন্দর কাজগুলো করে আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইনে বিক্রয় করতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৫

হাতে বানানো চুড়িঃ হাতে বানানোর চুড়ি হলো এমন একটি সৃজনশীল কাজ যেটা খুব অল্প খরচে ঘরে বসে শুরু করা যায় এবং খুব সহজেই অনলাইন কিংবা অফলাইনে বিক্রয় করা যায়। সুন্দর সুন্দর রঙিন চুড়ি সব মেয়েদের পছন্দের তালিকায় থাকে তাই এই কাজটি করে খুব সহজেই এবং দ্রুত লাভবান হওয়া যাবে। 

পুতির মালাঃ পুতির মালা অন্যতম একটি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় হস্তশিল্প। বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের এখনো অনেকেই পুতির মালা ফ্যাশন হিসেবে পছন্দ করেন। শুধু পুথির মালা নয়, পুথি দিয়ে কানের, হাতের ব্রেসলেট ইত্যাদি তৈরি করে ছোটখাটো অনলাইনে বিজনেসের জন্য অসাধারণ একটি আইডিয়া হতে পারে। খুব অল্প খরচে এবং কম সময়ে ঘরে বসেই কাজ শুরু করা যায়।

কাপড়ের তৈরি কানের দুলঃ কাপড়ের তৈরি কানের দুল আজ কাল অনেক ফ্যাশন পিপাসুদের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ হালকা রঙিন স্টাইলিশ এবং নানান রকম আকারে সাইজের তৈরি করা যায়। কাপড়ের ছোট ছোট টুকরো পুথি, লেস, স্টোন ইত্যাদি লাগে কাস্টমাইজ করা যায়। এগুলো বানিয়ে ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে পোস্ট দিয়ে অর্ডার নন। ইনস্টাগ্রাম শপ খুলুন স্টাইলিশ ফটো আপলোড করুন। 

পলিমার ক্লে দিয়ে গয়না তৈরিঃ পলিমার প্লে দিয়ে গয়না তৈরি করা যায়। পলিমার ক্লে হলো একটি প্লাস্টিকের মতো মডেলিং প্লে যা গরম করলে শক্ত হয়ে যায় এবং তৈরি করা যে কোন ডিজাইন বা অন্য দীর্ঘস্থায়ী হয়। গুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গয়না তৈরি করা যায় অনলাইন বিক্রি করতে পারেন। এই ক্লে গুলোর দামও বর্তমানে অনেক কম আর অনেক কালার থাকে।

বুটিক জুয়েলারি তৈরিঃ বুটিক জুয়েলারি তৈরি করে দুর্দান্ত আয়ের সুযোগ হতে পারে। যদি আপনি ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ হন তাহলে এ ধরনের হস্তশিল্প গুলো করে অনলাইনে বা অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন। বুটিক জুয়েলারি গুলো তৈরি করতে সোনা, রুপা, তামা, স্টেনলেস স্টিল, ফেব্রিক, পুথি, গ্লাস স্টোন ইত্যাদি লাগে।

চাবির রিং তৈরিঃ চাবির রিং তৈরি করা একটি জনপ্রিয় হস্তশিল্প ব্যবসায়িক ধারণা যা আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।  নাম লেখা চাবির রিং ফুল বা প্রাকৃতিক ডিজাইন, এনামেল পেইন্টিং বিশেষ ডিজাইন তৈরি করা যায়। এগুলো তৈরি করে আপনি হস্তশিল্প মেলা দার আজ অনলাইনে বিক্রি এবং instagram এ অথবা ফেসবুক পেজে ছবি পোস্ট করে বিক্রি করতে পারেন। 

কাগজের ফুল তৈরিঃ কাগজের ফুল তৈরি করা সৃজনশীল এবং সহজ কাজ। ইতিহাসের একটি জনপ্রিয় শাখা খুব কম খরচে অসাধারণ গয়না বা গিফট আইটেম তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা বাড়ির সাজ শয্যার জন্য ব্যবহার করা যায় কাগজের ফুলগুলো। কাগজের ফুল তৈরি করার জন্য ক্রাফট পেপার রং করা কাগজ বা গ্লিটার পেপার ব্যবহার করতে পারেন।

পেন্টিং করা মগ বা প্লেটঃ পেন্টিং করা মগ বা প্লেট তৈরি একটি খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনক হস্তশিল্প ব্যবসা হতে পারে। বিশেষ করে এগুলো গিফট আইটেম হিসেবে বিক্রয় করতে পারেন। চিনামাটির মগ বা প্লেট এর উপর ব্যক্তিগত বা সৃজনশীল ডিজাইন পেইন্ট করে এগুলোকে আকর্ষণীয় গড়ে তুলতে পারেন। আর এই মগ বা প্লেটগুলো অনেকেই ঘর সাজানো কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিফট হিসেবে ক্রয় করে থাকেন। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইন টাইপিং জব ডেইলি পেমেন্ট বিকাশে ২০২

হ্যান্ড পেইন্ট টি-শার্টঃ হ্যান্ড পেইন্ট টি শার্ট তৈরি অন্যতম একটি সৃজনশীল আইডিয়া এবং ঘরে বসে আয় করার অন্যতম মাধ্যম। বর্তমানে t-shirt পছন্দ করেনা এরকম নাই। ছেলে মেয়ে উভয়েই বিভিন্ন ধরনের কালারফুল ডিজাইনের টি-শার্টগুলো পছন্দ করে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের এটি শার্টগুলো ডিজাইন করে অর্ডার নিয়ে কাজ করতে পারেন এগুলো বর্তমানে অনেক ট্রেনিং এবং লাভজনক। 

ক্যালিগ্রাফি করে পণ্য তৈরিঃ ক্যালিগ্রাফি করে পণ্য তৈরি অন্যতম একটি সৃজনশীল হস্তশিল্প। বিশেষ করে বিয়ের কার্ড গিফট কার্ড লেটারিং বা ব্যক্তিগত বার্তা দেওয়ার জন্য এই ক্যালিগ্রাফি হসপিটাল ব্যবহার হয়। তবে এগুলোর প্রতি যদি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি এগুলো শিখে ঘরে বসেই কাজগুলো করে ইনকামের সুযোগ করে নিতে পারেন। চিত্রশিল্পের বই, ডায়েরি বা ক্যালেন্ডার পেজের উপর ক্যালিগ্রাফি অ্যাড করতে পারেন।

মোমবাতি তৈরিঃ মোমবাতি তৈরি একটি জনপ্রিয় হস্তশিল্প বিশেষ করে ঘর সাজানো কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কালারিং এবং ডিজাইন করা মোমবাতি গুলোর অনেক চাহিদা। বিভিন্ন রং ,সুগন্ধ এবং আকারের সঙ্গে কাস্টমাইজ পণ্য তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন। আর এই কাজগুলো আপনি খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারেন। 

সুগন্ধি সাবান তৈরিঃ সুগন্ধি সাবান তৈরি করে বিক্রয় করা এটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। বিভিন্ন কালারের সাবান তৈরি করে facebook পেজ বা ইনস্টাগ্রামে সাবানের ছবি এবং বর্ণনা দিয়ে পোস্ট করুন। এছাড়া দারাজ আজকের দিন এগুলোতে সামান্য লিস্টিং করুন, লোকাল স্টোরে সরবরাহ করুন যেমন গিফট শপ বা সেলুন ইত্যাদিতে।

হোমমেড কেক তৈরিঃ হোমমেড কেক তৈরি একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য। কারণ বর্তমানে ঘরে বসে অনেক নারীর উদ্যোক্তারা হোমমেড বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে অনলাইনে এবং অফলাইনে বিক্রয় করছেন। এছাড়া হোমমেড কেক তৈরি করা সহজ বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন বিবাহ, জন্মদিন অথবা অন্যান্য বিশেষ উপলক্ষে কাস্টম কেক অর্ডার দেওয়া হয়।

কুকিজ ও বিস্কুট বানানোঃ কুকিস ও বিস্কুট বানানো অন্যতম একটি হোমমেড পণ্য। বর্তমানে অনেকেই এই হোমমেড কুকিজ এবং বিস্কুট গুলো পছন্দ করে যার ফলে তারা অর্ডার দিয়ে সেগুলো নিয়ে থাকেন।হোমমেড কুকিজ এবং বিস্কুট তৈরি করে ঘরে বসেই আপনি খুব সহজেই ইনকামের পথ খুঁজে নিতে পারেন। কারণ বাড়ি তৈরি খাবারের চাহিদা লোকজনের এখন বেশি। 

আচার তৈরিঃ আচার বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় এবং গ্রাহকদের পছন্দনীয় একটি খাবার। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ফলমূল পাওয়া যায় তাই সিজন অনুযায়ী আপনি বিভিন্ন ধরনের এই আচার গুলো তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন। যেমন আমের আচার, বড়ই আচার, লেবুর আচার, জলপাইয়ের আচার, চালতার আচার ইত্যাদি। গিফট শপ বা ফুড স্টলে আচার বানিয়ে সরবরাহ করতে পারেন।

মিনি গিফট আইটেম তৈরিঃ মিনি গিত আইটেম তৈরির ধারণা অন্যতম একটি ব্যবসার মাধ্যম হতে পারে। ছোট এবং মনোরম উপহার বা গিফট তৈরির উপরে আপনাকে ফোকাস দিতে হবে। যেমন জন্মদিন, বিবাহ, ক্রিসমাস ইত্যাদিতে দেওয়ার জন্য জনপ্রিয় কিছু গিফট যেমন মিনি মগ, ছোট নোটবুক, চাবির রিং, ছোট পুতুল বা টেডি বিয়ার ইত্যাদি।

গাছের টব তৈরিঃ গাছের টব তৈরি অন্যতম একটি জনপ্রিয় হস্তশিল্প। বাড়ির সাজসজ্জার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে এই গাছের টব গুলো। আপনি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ যেমন মাটি, সিমেন্ট, কাজ, কাঠ দিয়ে গাছ লাগানোর টব বা পট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। যেমন ফুলের পট টেবিল পট বা গাছের হ্যাঙ্গিং পট। তৈরি করতে পারেন। 

ডিজিটাল ডিজাইন তৈরিঃ ডিজিটাল ডিজাইন তৈরি এবং বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি ফ্রিল্যান্সিং এর মতই একটি কাজ। যেমন লোগো ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ওয়েব পেজ ডিজাইন, গ্রাফিক্স তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন অনলাইনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছেন তাদের জন্য ডিজিটাল ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্যাকেট ফুড তৈরিঃ প্যাকেট ফুড তৈরি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি স্বাস্থ্যকর এবং ঘরে তৈরি স্ন্যাকস তৈরি করতে পারেন তাহলে বাজারে বিক্রি করতে হলে প্যাকেজিং এবং কাস্টমারদের আকৃষ্ট করার জন্য সতর্কতার সাথে বাজারজাত করতে হবে। বাড়িতে তৈরি আলুর চিপস, মুড়ি, পপকর্ন বিভিন্ন ধরনের শুকনো স্ন্যাকস খাবার ইত্যাদি প্যাকেটিং করে স্থানীয় মার্কেট এবং ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ব্যবহার করে বিক্রি করতে পারেন।

শুকনো ফলের প্যাকেজিংঃ শুকনো ফলের প্যাকেজিং বলতে আসলে বোঝানো হয়েছে খেজুর কিসমিস কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম আখরোট ইত্যাদি প্যাকেট করে বিক্রি করতে পারেন। এই খাবারগুলো আকর্ষণীয় প্যাকেটে প্যাক করুন এবং প্রতিটি প্যাকেটের ওপর ব্র্যান্ড এবং লেভেল, অন্যের তথ্য দিন। অনলাইন মার্কেটপ্লেস সোশ্যাল মিডিয়া লোকাল সুপার মার্কেটে এগুলো বিক্রি করতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম সেরা apps ও website ২০২৫

বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরিঃ বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি একটি লাভজনক এবং সামাজিকভাবে খুব দরকারী একটি ব্যবসা। স্বাস্থ্যের বা পুষ্টির বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে না বরং অভিভাবকরাও চিন্তা মুক্ত থাকেন তাদের সন্তানদের ভালো এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর জন্য। স্বাস্থ্যকর উপকরণ যেমন ওটস, ফল, আলমন্ড বাটার, হোমমেড সিরিয়াল, মাইক্রোওয়েভ স্ন্যাক্স ইত্যাদি বিক্রয় করতে পারেন।

হাতের কাজ শুরু করার নতুনদের জন্য সহজ টিপস 

হাতের কাজ শুরু করার নতুনদের জন্য সহজ টিপস গুলো চাইলে আপনারা ফলো করতে পারেন। কোন একটা কাজ কিংবা ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছু টিপস মেনে চলতে হবে। আপনি যদি নতুন হন তবে প্রথমে আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ কোন কাজ বা আইডিয়া আপনার জন্য বেশি ভালো হবে এটা যাচাই করবেন। 

  • এরপর সহজ থেকে শুরু করতে হবে, প্রথমে ছোট ছোট এবং সহজ কাজগুলো দিয়ে শুরু করুন বেশি জটিল কাজ দিয়ে শুরু করলে আপনার প্ল্যান নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনি হতাশায় ভুগবেন। প্রথমে এমন কিছু কাজ বেছে নেবেন যা কম বিনিয়োগে সহজেই তৈরি করা যায়। 
  • উপকরণ সংগ্রহের জন্য বাজেট তৈরি করা একটি অন্যতম মাধ্যম। হাতের কাজ শুরু করতে হলে আপনাকে কিছু উপকরণ ক্রয় করতে হবে সঠিক বাজেট নির্ধারণ করে উপকরণ গুলো সংগ্রহ করতে পারেন এবং কম খরচে কিনুন। 
  • অনলাইনে আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য সহজ মাধ্যম রয়েছে যেমন facebook, instagram ইত্যাদিতে। অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো আপনার বেশি কাস্টমার পাওয়ার জন্য খুবই উপযুক্ত। আপনার পণ্যের ভালোভাবে ছবি তুলে আকর্ষণীয় ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে। 
  • একটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন না একে একে নতুন কাজ শিখুন এবং ইউটিউবে টিউটোরিয়াল এবং অনলাইন কোর্স থেকে নতুন কাজ শিখতে পারেন। 
  • পণ্যটির প্যাকেজিং ভালোভাবে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনি বিক্রি করতে পারবেন না যদি আপনার প্যাকেজিং ভালো না হয় একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজিং অন্যকে আরো প্রফেশনাল এবং জনপ্রিয় করে তোলে। সস্তা উপকরণ দিয়ে আকর্ষণীয় প্যাকেজিং করুন। 
  • প্রতিযোগিতার বিষয় আপনাকে চিন্তা করতে হবে। আপনার ব্যবসা শুরু করার আগে বাজারে যারা কাজ করছে তা পর্যবেক্ষণ করুন এবং আপনার পণ্যের দাম মান এবং বিক্রয় কৌশল সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। 
  • মনোযোগী এবং ধৈর্যশীল থাকা একটি অন্যতম গুণ। আপনি যদি মনোযোগী এবং ধৈর্যশীল না হন তাহলে কখনোই ঘরে বসে ইনকাম করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই যে কাজ করবেন সেটা অবশ্যই ধৈর্য সহকারে এবং নিয়মিত করার চেষ্টা করুন সময়ের সাথে আপনার সেল বাড়ান। 
  • প্রথমত খুব বড় বিনিয়োগ না করে ছোট বিনিয়োগ শুরু করুন। অর্থাৎ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য তৈরি করে দেখুন কেমন বিক্রয় হয় পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আরো বেশি বিনিয়োগ করবেন।
  • নিয়মিত আপনার পণ্যের প্রচার করুন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে। আপনার কাজের সঙ্গে। অর্ডার নিয়ে পণ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে টাইম মতো নির্দিষ্ট টাইমে অর্ডার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার ব্যবসার মান বৃদ্ধি পাবে।

হাতের কাজ করতে কতটুকু পুঁজি প্রয়োজন 

হাতের কাজ করতে কতটুকু পুঁজি প্রয়োজন এটি অনেকেই জানতে চান। জীবনের তাগিদে যারা ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করতে চান তারা আসলে বুঝতে পারেন না কোন কাজ দিয়ে শুরু করলে এবং কতটুকু পুঁজি দিয়ে শুরু করলে তাদের জন্য ভালো হবে। চলুন এ ব্যাপারে আপনাদের সাধারণ কিছু বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করি। 

ছোট পরিসরের হাতের কাজের জন্য ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পুঁজি থাকলেই চলবে। এই টাকাতে নতুনরা ছোট পরিসরে কাজ শুরু করতে পারবেন। বাজেটের মধ্যে যে কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো হল পুতির মালা তৈরি, কাগজের ফুল তৈরি, মোমবাতি তৈরি, হাতের চুড়ি বা কানের দুল ইত্যাদি। 

আরো পড়ুনঃ মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার ৪০টি লাভজনক ব্যবসায়িক আইডিয়া

মাঝারি পরিসরের হাতের কাজের জন্য ৫০০০-১৫০০০ টাকার মধ্যে যে সকল হাতের কাজ গুলো করতে পারবেন সেগুলো হলো ব্লক প্রিন্টের কাজ, গিফট আইটেম তৈরি হ্যান্ড পেইন্ট কেক বা বিস্কুট তৈরি ইত্যাদি। শুরুতে খুব বেশি বিনিয়োগ না করে ছোট স্টক নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করুন। এরপর লাভ হলে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ বাড়াতে থাকুন।

ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: হাতের কাজ দিয়ে কি কি পণ্য তৈরি করা যেতে পারে? 

উত্তর: পুতির মালা, ফটো ফ্রেম, হ্যান্ড পেইন্ট মগ, কুশন কভার, হোম ডেকো আইটেম, জুয়েলারি, হোম মেড খাবার, সাবান, মোমবাতি ইত্যাদি তৈরি করা যেতে পারে।

প্রশ্ন: শুরুতে কত খরচ হবে? 

উত্তর: এটি আপনার ফোনের ধরন এবং উপকরণের উপর নির্ভর করে তবে সাধারণত ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে শুরু করতে পারবেন। 

প্রশ্ন: হাতের কাজের জন্য কোন ধরনের উপকরণ প্রয়োজন হয়? 

উত্তর: সুতা, রং, কাঠ, পুঁথি, কাগজ, পেইন্ট, সুতা, কাচ, ফোন ইত্যাদি উপকরণ প্রয়োজন হতে পারে।

প্রশ্ন: আমি কিভাবে আমার পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবো? 

উত্তর: পণ্যের উপকরণের খরচ, আপনার সময়ের মূল্য, এবং বাজারে চাহিদা অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করুন।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির কৌশল 

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির কৌশল জানতে হয় তাছাড়া অনলাইনে ব্যবসা লাভজনক সম্ভব হয় না। অনলাইনে ব্যবসা বা মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির কৌশল সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ঘরে-বসে-হাতের-কাজ-করে-ইনকাম

  • অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি করার আগে অন্যের ছবি আকর্ষণীয় করে তুলে অনলাইনে পোস্ট করুন। কারণ ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়ে তারপরে পণ্য কিনা সিদ্ধান্ত নেয়। পরিষ্কার ব্যাকগ্রাউন্ডে পণ্যের ছবি তুলুন প্রয়োজনে মোবাইল দিয়ে ভালো কোয়ালিটির ছবি তোলার চেষ্টা করুন। 
  • প্রোডাক্টের বিস্তারিত বিবরণ দিন। কারণ ক্রেতারা বিস্তারিত বিবরণ বা তথ্য দেখে তারপরে পণ্য কিনা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যেমন মাপ উপকরণ ব্যবহার পদ্ধতি কেয়ার ইন্সট্রাকশন ইত্যাদি। 
  • প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুন। আপনার পণ্যের মূল্য এমন ভাবে নির্ধারণ করুন যেন বাজারের সাথে সামঞ্জস্য থাকে। তবে নতুন বিক্রেতা হলে কিছুটা কম দামে বা ডিসকাউন্টে বিক্রি করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে মূল্য বানাতে পারেন। 
  • ডেলিভারি দেয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি ব্যবস্থা করুন। কুরিয়ার সার্ভিস বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর ডেলিভারি সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। দেওয়ার সময় পণ্যের সুন্দরভাবে প্যাকেজিং করুন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ডেলিভারির আপডেট ক্রেতাকে জানাতে কখনো ভুলবেন না। 
  • নিয়মিত পোস্ট এবং আপডেট তথ্য দিন। আপনার পেজে নিয়মিত আপনার পণ্যের ছবি এবং সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন এতে ক্রেতারা আপনাকে বিশ্বাস করার সুযোগ পাবে। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন পোস্ট করুন। ক্রেতাদের সাথে মেসেজ এবং কমেন্ট দ্রুত করুন। 
  • সন্তুষ্ট কে তাদের কাছ থেকে রিভিউ নিন এবং তা আপনার পেজে প্রকাশ করুন ভালো রিভিউ আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রিভিউ সংগ্রহ করার জন্য আপনি কিছুটা হলেও গ্রাহকদের ডিসকাউন্ট দিতে পারেন এটা আপনার পণ্যের নাম বৃদ্ধি পাবে। 
  • প্রমোশন বা ডিসকাউন্ট অফার রাখুন বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসব ঈদ নিউ ইয়ার পূজা বৈশাখ ইত্যাদিতে গিফট অফার দিন। এতে বিক্রয় বৃদ্ধি পায় এবং ক্রেতারাও আকৃষ্ট হয়। যেমন buy one get one এর মতো ক্যাম্পেইন করতে পারেন। 
  • সঠিক মার্কেটপ্লেস বেঁছে নিন ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ ইনস্টাগ্রাম, দারাজ bikroy.com এগুলো। 
  • গ্রাহক সেবা উন্নত করুন অনলাইন ক্রেতাদের সাথে খুবই সুন্দর এবং মার্জিত আন্তরিক আচরণ করুন। পণ্য নিয়ে কোন সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করুন এবং এসএমএস এর উত্তর দিন এটা আপনার ব্র্যান্ডের জন্য সুনাম হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং হস্তশিল্প করে ইনকাম 

বর্তমান যুগে ঘরে বসে ইনকামের অন্যতম দুটি মাধ্যমে হলো ফ্রিল্যান্সিং এবং হস্তশিল্প। প্রথমে এ দুইটিকে আলাদা মনে হলেও এ ২ টির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। চলুন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এবং হস্তশিল্প দুইটির সাথে কেমন মিল রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি। 

ফ্রিল্যান্সিং এবং হস্তাশিল্প দুটি হাত দিয়ে তৈরি কাজ। তবে পৃথিবীতে কোন কাজে হাত ছাড়া হয় না। ফ্রিল্যান্সিং ঘরে বসে ফোন দিয়ে অথবা ল্যাপটপ দিয়ে করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক সেক্টর রয়েছে যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেখালেখি ইত্যাদি করতে পারেন। হস্তশিল্প গুলোর মধ্যে পুথির মালা, হাতের তৈরি খাবার ইত্যাদি করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করতে যেমন ফাইবার আপ ওয়ার্ক এর মত অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো বেছে নিতে হয় তেমনি হাতের কাজের পণ্য অনলাইনে বিক্রয়ের জন্য ফেসবুক, instagram,দারাজ ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম গুলো বেছে নিতে হয়। ফ্রিল্যান্সারদের যেমন ভাল পোর্টফোলিও তৈরি করে কাজের নমুনা দেখাতে হয়।

তেমনি হস্তশিল্প বিক্রেতাদের সুন্দর সুন্দর পণ্যের ছবি তুলে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হয়। পোর্ট ফুলের যত আকর্ষণীয় হবে গ্রাহক ততই আকৃষ্ট হবে। কাজের জন্য ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে অনলাইনে। তেমনি হস্তশিল্প ক্রেতাদের অর্ডার ডেলিভারি দেওয়া বা অর্ডার নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের সাথে কথা বলতে হয়। 

ফ্রান্সিং ক্ষেত্রেও অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে তেমনি হস্তশিল্পের ও নতুন আইডিয়া উন্নত মানের কাজ সম্মত ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হয়। নতুন কিছু শেখার জন্য মনোযোগী হতে হয়। তাই দুটোই ভালো নিজের ট্যালেন্ট সময় এবং পরিশ্রম দিয়ে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার জন্য অবশ্যই নিজেকে আগ্রহী থাকতে হবে।

হাতের কাজ করে ছাত্রীদের আয়ের সুযোগ 

হাতের কাজ করে ছাত্রীদের আয়ের অনেক সুযোগ রয়েছে। যারা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করতে চান তাদের জন্য নিজের কিছু ইনকামের আইডিয়া দেওয়া হল সেগুলো ফলো করতে পারেন। ঘরে বসে পড়াশোনা পাশাপাশি হাতের তৈরি এ ধরনের কাজগুলো করে আপনি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবেন। 

  • উল বুনন কাজ করে ছোট ছোট টুপি, স্কার্ট, ব্যাগ বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন কম খরচে এগুলো শুরু করা যায়।
  • হ্যান্ড মেড গিফট তৈরি করে ছাত্র-ছাত্রীরা ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের প্লে দিয়ে জুয়েলারি কিংবা ঘর সাজানো আসবাবপত্র তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন। 
  • লেখালেখির কাজ করে ও ছাত্র-ছাত্রীরা ইনকাম করতে পারেন। অনেকে আছেন যারা প্র্যাকটিক্যাল খাতা, লিখে দিয়ে একটি অ্যামাউন্ট নিতে পারেন। 
  • এছাড়া যারা আঁকা আঁকি বা আর্ট করতে বা প্যান্ট করতে পছন্দ করেন তারা মগ, টি-শার্ট, কার্ড ডিজাইন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
  • পুঁথি দিয়ে অনেক ধরনের গয়না বানানো যায় যেমন পুতির মালা, কানের দুল, চুড়ি, ব্রেসলেট, আংটি ইত্যাদি বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
  • হোমমেড খাবার তৈরি যেমন কুকিস কে চকলেট বানিয়ে বন্ধু বান্ধবীর মধ্যে বিক্রয় করতে পারেন। 
  • বর্তমানে আরেকটি ট্রেনিং হস্তশিল্প যেমন চটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ যেগুলো টোট ব্যাগ নামে পরিচিত, এগুলো তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন। এ ব্যাগগুলো তৈরি করে এর উপরে হালকা পেইন্ট করে বিক্রি করতে পারেন।
  • এছাড়া তেতুলের চাটনি বানিয়ে ছোট ছোট প্যাকেটিং করে ৫-১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। পড়াশোনা পাশাপাশি এগুলো ছোটখাটো এক ধরনের ইনকামের মাধ্যম।

আর্টিকেল রাইটিং ঘরে বসে ইনকামের সৃজনশীল উপায় 

আর্টিকেল রাইটিং ঘরে বসে ইনকামের সৃজনশীল উপায় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে চলুন কিভাবে আর্টিকেল রাইটিং করে ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারেন আলোচনা করা যায়। বর্তমানে এখন অনেক ছেলে মেয়ে গৃহিনী বিভিন্ন বয়সী লোকজন ঘরে বসে হাত দিয়ে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করছে।

বর্তমানে ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে হাত দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করতে পারবেন। অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে যারা হাতের লেখা আর্টিকেল অফার করেন যেমন Fiverr, Upwork Freelancer.com। এছাড়া অনেক আইটি প্লাটফর্ম আছে যারা তাদের ব্লগিং ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে নেয়। ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করা অন্যতম একটি মাধ্যম। 

আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য আপনাকে খাতা কলম কোন ধরনের পেপার প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসেই এখন আপনি হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজগুলো করতে পারেন। হাতে লেখা আর্টিকেল রাইটিং অন্যতম এক ধরনের সৃজনশীল কাজ যা কম খরচে এবং সহজে শুরু করা যায়। 

হাতের তৈরি হোম ডেকর পণ্য তৈরি ও বিক্রি 

হাতের তৈরি হোম ডেকর পণ্য তৈরি ও বিক্রি করার জন্য আপনাকে হাতের তৈরি কাজগুলো শিখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড আইটেম যেটা আপনি ভালো পারেন সেই কাজগুলো করে আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে নিজের একটি পেশা তৈরি করে নিতে পারেন। হোম ডেকর পাপ পণ্যের মধ্যে আপনি কাঠের তৈরি ফটো ফ্রেম, সাইনবোর্ড, ওয়ালমেট তৈরি করতে পারেন। 

এছাড়া পেইন্টিং করতে যদি পছন্দ করেন বিভিন্ন ধরনের মাটির পাতিলে প্যান্ট করে সেগুলো বিক্রয় করতে পারেন। এছাড়া পাটের তৈরি বিভিন্ন বস্ত্র শিল্প আছে যেগুলো তৈরি করে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাটি বা কাঁচের পট গাছ লাগানোর জন্য কাস্টমাইজ করে যেমন পুথি, গ্লাস, রং, অথবা পেইন্ট ব্যবহার করে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

এগুলো তৈরি করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন দারাজ শফিফাই ইত্যাদিতে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া লোকাল মার্কেটে যোগাযোগ করে সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারেন বা স্থানীয় ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার পণ্যের সুন্দর আকর্ষণের ছবি তুলে পোস্ট করতে পারেন।

হাতের কাজ করে ইনকাম সম্পর্কে তারও কিছু প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: কিভাবে হাতের কাজের পণ্যের প্রমোশন করা যায়? 

উত্তর: সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ওয়েবসাইট এবং প্রমোশনাল অফার দিয়ে প্রচার করতে পারেন।

প্রশ্ন: আমি কিভাবে আমার ব্রান্ড তৈরি করতে পারি? 

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট লোগো, নাম এবং কাস্টম প্যাকেজিং দিয়ে আপনি একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন।

প্রশ্ন: হাতের তৈরি পণ্য কি সস্তা হবে? 

উত্তর এটি আপনার উপকরণের খরচ, সময় এবং সৃজনশীলতার উপর নির্ভর করে তবে হাতের কাজের কোন সাধারণত বেশ মানসম্পন্ন এবং কাস্টমাইজ হয়।

প্রশ্ন: আমি কি পণ্য তৈরীর সাথে সাথে প্রমোশনও করতে পারি ?

উত্তর: হ্যাঁ, আপনি একসাথে পণ্য তৈরি ও প্রমোশন করতে পারেন যেমন পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া শেয়ার করা এবং প্রমোশনাল কন্টেন তৈরি করা। 

শেষ মন্তব্যঃ ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম 

ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা হল নিজের সময় মত কাজ করা এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনভাবে আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এখানে বর্তমানে ঘরে বসে আয় করার চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে বিশেষ করে যারা সংসারের পাশাপাশি হাতের কাজ জানেন তাদের জন্য এগুলো সুবর্ণ সুযোগ বলা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url